সংবিধানই সেনাবাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে
দেশের সংবিধান অনুযায়ীই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কিছু বিশেষ সুবিধা ভোগ করে। সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ডও সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত। গত বৃহস্পতিবার সামরিক গোয়েন্দা (এমআই) শাখাকে প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চের সামনে এ কথা বলেন। আইনজীবী ইবরাহিম সাট্টি সর্বোচ্চ আদালতের তিন সদস্যের বেঞ্চের উদ্দেশে বলেন, সেনা আইনের কিছু ধারা মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী—এই যুক্তিতে সর্বোচ্চ আদালত ওই আইন খারিজ করতে পারেন না। তিনি আরও বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নেওয়া শপথ তাদের ওপর সংবিধান রক্ষা করা এবং দেশের প্রতি অনুগত থাকার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। সেনা গোয়েন্দা বিভাগের মেজর হায়দারের বিরুদ্ধে আবিদা মালিক নামে এক নারী তাঁর স্বামী তাসিফ আলীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন। ২০১১-এর নভেম্বর থেকে তাসিফ আলীকে পাওয়া যাচ্ছে না। আবিদা মালিক তাঁর স্বামীকে হাজির করার আদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। সেনা গোয়েন্দা বাহিনীর পক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আইন ১৯৫২ অনুযায়ী, পুলিশ ও কোনো আদালত সামরিক বাহিনীর কোনো কর্মকর্তা ও বিষয় নিয়ে তদন্ত করতে পারবে না। এমনকি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এ এখতিয়ার নেই। আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্যই সংবিধানে বিশেষ অধিকার আছে। এ ছাড়া দেশের দণ্ডবিধি অনুযায়ী কর্মরত সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের ওপর কোনো বাধা নেই। ডন।
No comments