গ্যাস সংকট-আবাসিক গ্রাহকদের দুর্ভোগ দূর করুন
বন্ধ হয়ে যাওয়া গ্যাস সংযোগ নতুন করে চালু
করায় আশাবাদী হওয়া গিয়েছিল। চলতি রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের
পাশাপাশি গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার আহ্বান জানানো হয়
কালের কণ্ঠের সম্পাদকীয় স্তম্ভে।
ঠিক সেই দিনই গ্যাস
সংকটে আবাসিক গ্রাহকদের হয়রানির খবর পাওয়া গেছে। গ্যাস সংকটে রাজধানীর
বিভিন্ন এলাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে গ্রাহকদের। এই ভোগান্তির কারণ একটি
গ্যাসকূপে সংস্কারকাজ। সেই সংস্কারকাজ এখনো শেষ হয়নি। কাজেই গ্যাস সংকট
রমজান মাসজুড়ে থাকবে- এমন আশঙ্কাই করা হচ্ছে।
রাজধানীতে গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত প্রধান জ্বালানি হচ্ছে গ্যাস। এখন যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে, যতই দিন যাবে রাজধানীতে গ্যাস সংকট ততই প্রকট হবে। বাঙ্গুরায় কূপে সংস্কারকাজের কারণে ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কম উত্তোলিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। সংস্কারকাজ শেষ হলে দৈনিক ১১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে, এমন আশা পেট্রোবাংলার। এর পাশাপাশি রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে গিয়ে গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলো সচল করেছে সরকার। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতিদিন এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দেওয়া শুরু করেছে পেট্রোবাংলা। অন্যদিকে বাঙ্গুরায় ওয়ার্কওভারের কারণে গ্যাস উৎপাদন কিছুটা কমে গেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস দেওয়ার কারণে তিতাস অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ আগের চেয়ে কম। এ কারণে আবাসিক গ্রাহকদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে- এমন কথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। গ্যাস সংযোগ যখন দেওয়া হয়েছে, তখন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে গ্যাস না পেলে বাসাবাড়ির রান্না ব্যাহত হয়। রমজান মাসে এই সমস্যা দেখা দিলে তা আরো তীব্র হয়ে দেখা দেওয়াটাও তো অস্বাভাবিক নয়।
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের পাশাপাশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বৈধ করা হয়েছে। এর পরও অনেক অবৈধ সংযোগ রয়ে গেছে। নতুন সংযোগের আগে সরবরাহ ব্যবস্থা ও সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা জরুরি ছিল। কারণ শুধু বাসাবাড়ি নয়, সিএনজি ও বড় বড় শিল্প-কারখানার পাশাপাশি বিদ্যুৎব্যবস্থাও গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া সঞ্চালন লাইনে গ্যাস অপচয় তো আছেই। এই অপচয় কোনোভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না। নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ রেখে এলপি গ্যাসের ব্যবহার বাড়িয়ে অপচয় রোধ করা যেত।
গৃহস্থালি বা আবাসিক কাজে প্রাকৃতিক গ্যাস নিশ্চিত করা এখন অপরিহার্য। বিশেষ করে সারা দিনের শেষে সন্ধ্যায় ও রাতে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু এ সময় যদি গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে, তাহলে সেটা মানুষের জন্য বিরক্তির কারণ হবে।
মানুষের এই চাহিদার দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি দিতে হবে। রমজান মাসে গ্যাস কূপ সংস্কারের কাজ কি খুবই জরুরি ছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ আবাসিক গ্রাহকদের দুর্ভোগ দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশা করি।
রাজধানীতে গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত প্রধান জ্বালানি হচ্ছে গ্যাস। এখন যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে, যতই দিন যাবে রাজধানীতে গ্যাস সংকট ততই প্রকট হবে। বাঙ্গুরায় কূপে সংস্কারকাজের কারণে ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কম উত্তোলিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। সংস্কারকাজ শেষ হলে দৈনিক ১১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে, এমন আশা পেট্রোবাংলার। এর পাশাপাশি রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে গিয়ে গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলো সচল করেছে সরকার। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতিদিন এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দেওয়া শুরু করেছে পেট্রোবাংলা। অন্যদিকে বাঙ্গুরায় ওয়ার্কওভারের কারণে গ্যাস উৎপাদন কিছুটা কমে গেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস দেওয়ার কারণে তিতাস অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ আগের চেয়ে কম। এ কারণে আবাসিক গ্রাহকদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে- এমন কথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। গ্যাস সংযোগ যখন দেওয়া হয়েছে, তখন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে গ্যাস না পেলে বাসাবাড়ির রান্না ব্যাহত হয়। রমজান মাসে এই সমস্যা দেখা দিলে তা আরো তীব্র হয়ে দেখা দেওয়াটাও তো অস্বাভাবিক নয়।
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের পাশাপাশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বৈধ করা হয়েছে। এর পরও অনেক অবৈধ সংযোগ রয়ে গেছে। নতুন সংযোগের আগে সরবরাহ ব্যবস্থা ও সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা জরুরি ছিল। কারণ শুধু বাসাবাড়ি নয়, সিএনজি ও বড় বড় শিল্প-কারখানার পাশাপাশি বিদ্যুৎব্যবস্থাও গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া সঞ্চালন লাইনে গ্যাস অপচয় তো আছেই। এই অপচয় কোনোভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না। নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ রেখে এলপি গ্যাসের ব্যবহার বাড়িয়ে অপচয় রোধ করা যেত।
গৃহস্থালি বা আবাসিক কাজে প্রাকৃতিক গ্যাস নিশ্চিত করা এখন অপরিহার্য। বিশেষ করে সারা দিনের শেষে সন্ধ্যায় ও রাতে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু এ সময় যদি গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে, তাহলে সেটা মানুষের জন্য বিরক্তির কারণ হবে।
মানুষের এই চাহিদার দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি দিতে হবে। রমজান মাসে গ্যাস কূপ সংস্কারের কাজ কি খুবই জরুরি ছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ আবাসিক গ্রাহকদের দুর্ভোগ দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশা করি।
No comments