বাজারদর কিছু পণ্যের বাড়তি দাম অব্যাহত
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ৫ জুলাই
শুক্রবার এক কেজি শসার দাম ছিল ৩৫ টাকা। গতকাল শুক্রবার একই বাজারে এক কেজি
শসা বিক্রি হয় ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এর আগে বুধ ও বৃহস্পতিবারও এমন দাম
ছিল।
পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে রাজধানীর
কাঁচাবাজারগুলোতে শসা, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন পণ্যের দামের যে উল্লম্ফন
হয়েছিল, গতকালও তা বজায় থাকে। মাছের দামেও একই অবস্থা। বাড়তি দামেই চলছে
কিছু সবজি ও মাছের কেনাবেচা। কারওয়ান বাজার, মিরপুরের কাজীপাড়া,
শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে
চাইলে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়তি। বেশি দামে কিনতে
হচ্ছে, তাই বেশি দামেই বিক্রি। এই বাড়তি দাম চাপছে ক্রেতার কাঁধে।
৫ জুলাই কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ২৫ থেকে ৪০ টাকা, আলু ১২ থেকে ১৫, বরবটি ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। গতকাল একই বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৭০ থেকে ১০০ টাকা, আলু ১৮ থেকে ২০, বরবটি ৩০ টাকায় বিক্রি হয়।
গতকাল প্রতি কেজি টমেটো ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০, পটোল ২৫ থেকে ৩০, ঢ্যাঁড়স ২৫ থেকে ৩০, পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, বুধবারের চেয়ে গতকাল কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। বেগুনের দামও সামান্য কমেছে।
এদিকে রমজান মাসে দাম যাতে কম থাকে, সে জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পাঁচটি পণ্যের রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। পণ্যগুলো হলো কাঁচা মরিচ, বেগুন, শসা, রসুন ও ধনেপাতা। কিন্তু রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দাম কমানোর সরকারি উদ্যোগের কোনো প্রতিফলনই নেই বাজারে; বরং রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এসব পণ্যের দামে ছিল বড় ধরনের উল্লম্ফন। দামের এই ধরনের উল্লম্ফনের জন্য বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন ক্রেতারা।
কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘রমজান মাসে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। বাজারগুলোতে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’
মাছ-মাংসের দাম: সবজির দামের মতো মাছের দামও বেড়েছে। গতকাল বাজারগুলোতে বড় আকারের প্রতি কেজি দেশি রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মাঝারি আকারের প্রতি কেজি রুই ২৮০ থেকে ৩৫০, মাঝারি আকারের প্রতিটি ইলিশ ৬০০ থেকে ৭০০, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০ টাকায় বিক্রি হয়।
বিক্রেতারা জানান, দুই দিনের ব্যবধানে তেলাপিয়া মাছের দাম কেজিতে ২০ টাকা আর রুই মাছের দাম আকারভেদে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। তবে ইলিশের দামে খুব একটা হেরফের হয়নি।
প্রতি কেজি গরুর মাংস আগের মতোই বিক্রি হয়েছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। আর ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল প্রতি কেজি ১৭০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, ব্রয়লার মুরগির দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।
চালের দাম নতুন করে বাড়েনি। বাড়তি দামে স্থির রয়েছে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজার প্রতিবেদনেও ব্রয়লার মুরগির মূল্যবৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রয়লার মুরগি ছাড়াও এ সপ্তাহে পেঁয়াজ, আদা, আলু ও ডিমের দাম বেড়েছে।
৫ জুলাই কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ২৫ থেকে ৪০ টাকা, আলু ১২ থেকে ১৫, বরবটি ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। গতকাল একই বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৭০ থেকে ১০০ টাকা, আলু ১৮ থেকে ২০, বরবটি ৩০ টাকায় বিক্রি হয়।
গতকাল প্রতি কেজি টমেটো ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০, পটোল ২৫ থেকে ৩০, ঢ্যাঁড়স ২৫ থেকে ৩০, পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, বুধবারের চেয়ে গতকাল কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। বেগুনের দামও সামান্য কমেছে।
এদিকে রমজান মাসে দাম যাতে কম থাকে, সে জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পাঁচটি পণ্যের রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। পণ্যগুলো হলো কাঁচা মরিচ, বেগুন, শসা, রসুন ও ধনেপাতা। কিন্তু রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দাম কমানোর সরকারি উদ্যোগের কোনো প্রতিফলনই নেই বাজারে; বরং রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এসব পণ্যের দামে ছিল বড় ধরনের উল্লম্ফন। দামের এই ধরনের উল্লম্ফনের জন্য বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন ক্রেতারা।
কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘রমজান মাসে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। বাজারগুলোতে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’
মাছ-মাংসের দাম: সবজির দামের মতো মাছের দামও বেড়েছে। গতকাল বাজারগুলোতে বড় আকারের প্রতি কেজি দেশি রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মাঝারি আকারের প্রতি কেজি রুই ২৮০ থেকে ৩৫০, মাঝারি আকারের প্রতিটি ইলিশ ৬০০ থেকে ৭০০, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০ টাকায় বিক্রি হয়।
বিক্রেতারা জানান, দুই দিনের ব্যবধানে তেলাপিয়া মাছের দাম কেজিতে ২০ টাকা আর রুই মাছের দাম আকারভেদে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। তবে ইলিশের দামে খুব একটা হেরফের হয়নি।
প্রতি কেজি গরুর মাংস আগের মতোই বিক্রি হয়েছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। আর ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল প্রতি কেজি ১৭০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, ব্রয়লার মুরগির দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।
চালের দাম নতুন করে বাড়েনি। বাড়তি দামে স্থির রয়েছে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজার প্রতিবেদনেও ব্রয়লার মুরগির মূল্যবৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রয়লার মুরগি ছাড়াও এ সপ্তাহে পেঁয়াজ, আদা, আলু ও ডিমের দাম বেড়েছে।
No comments