রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি রাশিয়ায় আশ্রয় চান স্নোডেন
লাতিন আমেরিকায় না যাওয়া পর্যন্ত
রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন এডওয়ার্ড স্নোডেন। গতকাল শুক্রবার
মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবীদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আগ্রহের কথা প্রকাশ
করেন।
এদিকে স্নোডেনের এই আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে
যুক্তরাষ্ট্র তার সাবেক গোয়েন্দা কর্মী স্নোডেনকে রাশিয়ায় আশ্রয়
দেওয়ার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি করেছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কারনি
গতকাল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আশা করে মস্কো এমন কোনো উদ্যোগ নেবে না যাতে দুই
দেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্নোডেনের সঙ্গে মস্কোর শেরেমেতেয়েভো
বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস
ওয়াচের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে স্নোডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নজরদারির খবর ফাঁস করায় তাঁর মাঝে কোনো দুঃখবোধ নেই। তিনি বলেন, ‘গোপন নজরদারির কথা মানুষকে জানানোর মতো নৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের সবাইকে মূল্য দিতে হয়েছে। কিন্তু এটা করাটাই সমীচীন হয়েছে। এর জন্য আমার কোনো অনুশোচনা নেই।’
মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক এই কর্মী বলেন, বৈধভাবে লাতিন আমেরিকায় যাওয়ার আগে তাঁর রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘আমি আজ (শুক্রবার) রুশ কর্তৃপক্ষের কাছে এ ব্যাপারে অনুরোধ জানাব। আশা করছি, আমার আবেদন গৃহীত হবে।’ইতিমধ্যে লাতিন আমেরিকার ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া ও নিকারাগুয়া ইঙ্গিত দিয়েছে, স্নোডেনকে নিরাপদ জীবন উপহার দিতে তারা প্রস্তুত।
এ ব্যাপারে স্নোডেন বলেন, ‘পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার কিছু দেশ আইনবহির্ভূতভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে...এই অবৈধ হুমকিই লাতিন আমেরিকায় আমার গমনকে কঠিন করে তুলেছে।’
বৈঠকে যোগদান শেষে স্নোডেনের আইনজীবী গেনরি রেজনিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি হয় এমন কাজ না করার অঙ্গীকার করেছেন স্নোডেন। তবে তিনি এও বোঝেন, রাশিয়ায় তাঁকে আশ্রয় দেওয়া হলে তা মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্ক জটিল করে তুলবে।
মস্কো বলেছে, স্নোডেন রাশিয়ায় অবস্থান করতে পারেন। তবে তাঁকে মস্কোর দেওয়া শর্ত মানতে হবে। এএফপি।
বৈঠকে স্নোডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নজরদারির খবর ফাঁস করায় তাঁর মাঝে কোনো দুঃখবোধ নেই। তিনি বলেন, ‘গোপন নজরদারির কথা মানুষকে জানানোর মতো নৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের সবাইকে মূল্য দিতে হয়েছে। কিন্তু এটা করাটাই সমীচীন হয়েছে। এর জন্য আমার কোনো অনুশোচনা নেই।’
মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক এই কর্মী বলেন, বৈধভাবে লাতিন আমেরিকায় যাওয়ার আগে তাঁর রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘আমি আজ (শুক্রবার) রুশ কর্তৃপক্ষের কাছে এ ব্যাপারে অনুরোধ জানাব। আশা করছি, আমার আবেদন গৃহীত হবে।’ইতিমধ্যে লাতিন আমেরিকার ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া ও নিকারাগুয়া ইঙ্গিত দিয়েছে, স্নোডেনকে নিরাপদ জীবন উপহার দিতে তারা প্রস্তুত।
এ ব্যাপারে স্নোডেন বলেন, ‘পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার কিছু দেশ আইনবহির্ভূতভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে...এই অবৈধ হুমকিই লাতিন আমেরিকায় আমার গমনকে কঠিন করে তুলেছে।’
বৈঠকে যোগদান শেষে স্নোডেনের আইনজীবী গেনরি রেজনিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি হয় এমন কাজ না করার অঙ্গীকার করেছেন স্নোডেন। তবে তিনি এও বোঝেন, রাশিয়ায় তাঁকে আশ্রয় দেওয়া হলে তা মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্ক জটিল করে তুলবে।
মস্কো বলেছে, স্নোডেন রাশিয়ায় অবস্থান করতে পারেন। তবে তাঁকে মস্কোর দেওয়া শর্ত মানতে হবে। এএফপি।
No comments