চীনে নতুন আবিষ্কৃত খোদাই লিপি নিয়ে তীব্র মতবিরোধ
চীনে আবিষ্কৃত পাঁচ হাজার বছরের পুরোনো খোদাই করা লেখা নিয়ে দেশটির বিশেষজ্ঞদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। অনেকের মতে, এগুলো হচ্ছে চীনা ভাষার বর্ণের প্রাচীনতম নমুনা। কিন্তু অন্যরা তা মানতে নারাজ। তাঁরা বলছেন, এর চেয়েও প্রাচীন বর্ণ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় দৈনিক গ্লোবাল টাইমস বলেছে, পূর্বাঞ্চলীয় ঝেজিয়াং প্রদেশের ঝুয়াংকিয়াওফেন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান থেকে আবিষ্কৃত মৃৎশিল্প ও পাথরের পাত্রগুলো লিখিত ভাষার উৎপত্তির বয়সকে এক হাজার বছর বাড়িয়ে দিয়েছে। বলা হচ্ছে, ঝেজিয়াং প্রদেশে পাওয়া ওই খোদাই লিপি ওরাকলের চেয়েও প্রাচীন। কচ্ছপের খোলে লেখা ওরাকল চীনের শাং রাজবংশের সময়কার (১৬০০-১০৪৬ খ্রি.পূর্বাব্দ) নমুনা। সাধারণভাবে মনে করা হয়, লিখিত চীনা ভাষার উৎস এটাই। এ ব্যাপারে পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক লি বোকিয়ান বলেন, প্রাচীন লিয়াংঝু সভ্যতার প্রতীক হচ্ছে ওই খোদাই করা লেখা। ঝেজিয়াং ও পার্শ্ববর্তী জিয়াংসু অঞ্চলে এই সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল। ওই খোদাই করা লেখাই স্বাধীন শব্দ থেকে বাক্যের মৌলিক কাঠামো তৈরি করেছে। ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে এগুলো আবিষ্কৃত হয়। তবে অন্য বিশেষজ্ঞরা এই খোদাই লিপি আবিষ্কারের গুরুত্ব নাকচ করে দিয়েছেন। চায়নিজ একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের প্রত্নতত্ত্ববিষয়ক গবেষক জু হং বলেন, চীনা হস্তলিপি এবং ওই খোদিত লিপির মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। বেইজিং প্রযুক্তি ও ব্যবসা বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ভাষাবিষয়ক অধ্যাপক জিয়া জিংচুন বলেন, বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই মনে করে আসছেন এর (নতুন আবিষ্কৃত খোদাই লিপি) চেয়েও প্রাচীন বর্ণের নমুনা রয়েছে। এএফপি।
No comments