ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া, মেজাজ হারাচ্ছে ক্রেতারা-২৪ ঘণ্টায় দাম দ্বিগুণ
রমজানকে কেন্দ্র করে দেশের বাজারগুলোতে
চলছে চরম অরাজকতা। কোনো পণ্যের দামই আর ক্রেতার নাগালে নেই। কোনো কারণ
ছাড়াই প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে লাগামছাড়া।
বাজারে
সরবরাহ প্রচুর অথচ বেগুন, কাঁচামরিচ, শসা, পেঁয়াজসহ কোনো পণ্যই আর নাগালে
নেই সাধারণ মানুষের। ব্যবসায়ীরা কোনো যুক্তি মানছেন না, কারো কথা শুনছেন
না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই রোজার জন্য
কয়েকটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও কেউ এর পরোয়া করছেন না।
রোজা শুরুর পর গতকাল শুক্রবার প্রথম ছুটির দিনে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে অন্যান্য দিনের চেয়ে ক্রেতার ভিড় ছিল বেশি। কিন্তু বাজারে ঢুকেই নিত্যপণ্যের দাম শুনে ক্রেতাদের ভিরমি খাওয়ার অবস্থা। ২৪ ঘণ্টা আগের চেয়ে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যুক্তিহীনভাবে। কোনো কোনো পণ্যের দাম দ্বিগুণ পর্যন্ত বেড়েছে। এতে মেজাজ হারানো ক্রেতাদের অভিযোগ, মুনাফা বাড়াতে বেপরোয়া ব্যবসায়ীরা সংযমের মাসে চরম অসংযমী আচরণ করছেন। রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে আসা মোকাম্মেল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, কে শোনে কার কথা। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন। সরকারের নজর থাকলে বাজারের এমন অবস্থা হতো না। তিনি বলেন, কাঁচামরিচ, শসা, পেঁয়াজ, বেগুন থেকে শুরু করে সব কিছুর দামই চড়া।
রাজধানীর রামপুরা, হাতিরপুল, পলাশী ও নিউ মার্কেটের বনলতা কাঁচাবাজার ঘুরে গতকাল বিক্রেতাদের চড়া দামে সবজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। এক সপ্তাহ আগেও যে কাঁচামরিচ ১০০ টাকা কেজিতে পাওয়া যেত, সেই মরিচ গতকাল ক্রেতাদের গছানো হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি টমেটোর দাম ১০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা। কি এমন ঘটল যে দাম এত চড়া? ক্রেতাদের এমন প্রশ্নে বিক্রেতাদের নানা মতলবি জবাব। যুতসই যুক্তি নেই তাতে। দেশি পেঁয়াজ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৪-৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খেজুর ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা এবং বেসন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ইফতারের অন্যতম উপকরণ বেগুনের দাম ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা পর্যন্ত। গতকাল প্রতি কেজি বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আগের দিনও এই সবজিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গাজরের কেজি ৩৫ থেকে বেড়ে ৫০ টাকা হয়েছে। শসার দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০, পটল ২৫ থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে। ২৫ টাকার কাঁকরোল এখন ৩৫ টাকা, ৩৫ টাকার করলা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের অগ্নিমূল্যের কারণে পেঁপের দামও বেড়েছে। প্রতি কেজি কাঁচা পেঁপে ২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫-৩০ টাকা এবং আলুর দাম কেজিতে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ২০ থেকে ২৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ছিল ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। আর এর পূর্ণ সুযোগ নিয়েছেন বিক্রেতারা। ইচ্ছেমতো তাঁরা ক্রেতাদের পকেট কেটেছেন। রোজাকে ঢাল বানিয়ে কয়েক দিন ধরেই ব্যবসায়ীরা ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছেন জিনিসপত্রের দাম। রমজানের শুরুতেই কাঁচাবাজারের বেশির ভাগ পণ্যের দাম প্রায় পাঁচ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের সেই পুরনো খোঁড়া যুক্তি, চাহিদা বেশি। আবার কেউ কেউ জানিয়েছেন, সরবরাহ স্বাভাবিক, তবে আড়তদারদের কারণে দাম কমছে না। আর ক্রেতাদের অভিযোগ, রমজান উপলক্ষে এই অবস্থা সৃষ্টি করছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, খেজুর, বেসনসহ বিভিন্ন মসলাজাতীয় পণ্যও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই বলে স্বীকার করেছেন খোদ ব্যবসায়ীরাও। তবুও চড়া দামের মাসুল গুনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। রাজধানীর হাতিরপুলে বাজার করতে আসা আকরাম উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, আগের বছরগুলোতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও দু-একটি ছাড়া বেশির ভাগ সবজির দাম স্থিতিশীল থাকে। কিন্তু এবার রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সত্ত্বেও শাক-সবজির দাম আগুন। মাছের বাজারেও প্রায় একই অবস্থা। আর রোজার আগে থেকেই বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ, মরিচের ঝাল ও আদার তেজ।
চাহিদা কম থাকায় রোজায় সাধারণত মাছের দাম একটু সহনশীল থাকে। অথচ এবার ভিন্ন চিত্র। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেশির ভাগ মাছের দাম কেজিতে গড়ে ৫০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি রুই ৩৫০, কাতল ৪০০, বোয়াল ৬০০, পাঙ্গাশ ১৬০, তেলাপিয়া বড় ১৮০ ও এক কেজি ওজনের ইলিশ দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দামও চড়া। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। ডিমের দামও হালিতে তিন টাকা বেড়ে ৩৫-৩৬ টাকা হয়েছে। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা ও খাসি কেজি প্রতি ৪২০- ৪৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে ১২৫-১৩০ টাকায়। মুগ ১১০-১২০, চিনি ৪৬ থেকে ৪৮, ছোলা ৬২ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৩০-১৩৩, পাঁচ লিটারের জার ৬৪৫-৬৬০, লুজ সয়াবিন ১০০-১২০ ও পামওয়েল ৮৫-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদার দাম এখন ২০০, চীনা আদা ৯০ এবং দেশি রসুন ৮০ টাকা। তবে চালের বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে নাজিরশাইল চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫২ টাকায়। কেজিপ্রতি মিনিকেট ৪৫ থেকে ৪৮, লতা আটাশ ৩৭ থেকে ৪০, মোটা চাল ৩২-৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাড়ে না পণ্যের দাম
রোজা শুরুর পর গতকাল শুক্রবার প্রথম ছুটির দিনে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে অন্যান্য দিনের চেয়ে ক্রেতার ভিড় ছিল বেশি। কিন্তু বাজারে ঢুকেই নিত্যপণ্যের দাম শুনে ক্রেতাদের ভিরমি খাওয়ার অবস্থা। ২৪ ঘণ্টা আগের চেয়ে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যুক্তিহীনভাবে। কোনো কোনো পণ্যের দাম দ্বিগুণ পর্যন্ত বেড়েছে। এতে মেজাজ হারানো ক্রেতাদের অভিযোগ, মুনাফা বাড়াতে বেপরোয়া ব্যবসায়ীরা সংযমের মাসে চরম অসংযমী আচরণ করছেন। রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে আসা মোকাম্মেল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, কে শোনে কার কথা। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন। সরকারের নজর থাকলে বাজারের এমন অবস্থা হতো না। তিনি বলেন, কাঁচামরিচ, শসা, পেঁয়াজ, বেগুন থেকে শুরু করে সব কিছুর দামই চড়া।
রাজধানীর রামপুরা, হাতিরপুল, পলাশী ও নিউ মার্কেটের বনলতা কাঁচাবাজার ঘুরে গতকাল বিক্রেতাদের চড়া দামে সবজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। এক সপ্তাহ আগেও যে কাঁচামরিচ ১০০ টাকা কেজিতে পাওয়া যেত, সেই মরিচ গতকাল ক্রেতাদের গছানো হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি টমেটোর দাম ১০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা। কি এমন ঘটল যে দাম এত চড়া? ক্রেতাদের এমন প্রশ্নে বিক্রেতাদের নানা মতলবি জবাব। যুতসই যুক্তি নেই তাতে। দেশি পেঁয়াজ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৪-৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খেজুর ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা এবং বেসন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ইফতারের অন্যতম উপকরণ বেগুনের দাম ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা পর্যন্ত। গতকাল প্রতি কেজি বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আগের দিনও এই সবজিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গাজরের কেজি ৩৫ থেকে বেড়ে ৫০ টাকা হয়েছে। শসার দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০, পটল ২৫ থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে। ২৫ টাকার কাঁকরোল এখন ৩৫ টাকা, ৩৫ টাকার করলা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের অগ্নিমূল্যের কারণে পেঁপের দামও বেড়েছে। প্রতি কেজি কাঁচা পেঁপে ২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫-৩০ টাকা এবং আলুর দাম কেজিতে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ২০ থেকে ২৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ছিল ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। আর এর পূর্ণ সুযোগ নিয়েছেন বিক্রেতারা। ইচ্ছেমতো তাঁরা ক্রেতাদের পকেট কেটেছেন। রোজাকে ঢাল বানিয়ে কয়েক দিন ধরেই ব্যবসায়ীরা ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছেন জিনিসপত্রের দাম। রমজানের শুরুতেই কাঁচাবাজারের বেশির ভাগ পণ্যের দাম প্রায় পাঁচ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের সেই পুরনো খোঁড়া যুক্তি, চাহিদা বেশি। আবার কেউ কেউ জানিয়েছেন, সরবরাহ স্বাভাবিক, তবে আড়তদারদের কারণে দাম কমছে না। আর ক্রেতাদের অভিযোগ, রমজান উপলক্ষে এই অবস্থা সৃষ্টি করছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, খেজুর, বেসনসহ বিভিন্ন মসলাজাতীয় পণ্যও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই বলে স্বীকার করেছেন খোদ ব্যবসায়ীরাও। তবুও চড়া দামের মাসুল গুনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। রাজধানীর হাতিরপুলে বাজার করতে আসা আকরাম উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, আগের বছরগুলোতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও দু-একটি ছাড়া বেশির ভাগ সবজির দাম স্থিতিশীল থাকে। কিন্তু এবার রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সত্ত্বেও শাক-সবজির দাম আগুন। মাছের বাজারেও প্রায় একই অবস্থা। আর রোজার আগে থেকেই বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ, মরিচের ঝাল ও আদার তেজ।
চাহিদা কম থাকায় রোজায় সাধারণত মাছের দাম একটু সহনশীল থাকে। অথচ এবার ভিন্ন চিত্র। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেশির ভাগ মাছের দাম কেজিতে গড়ে ৫০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি রুই ৩৫০, কাতল ৪০০, বোয়াল ৬০০, পাঙ্গাশ ১৬০, তেলাপিয়া বড় ১৮০ ও এক কেজি ওজনের ইলিশ দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দামও চড়া। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। ডিমের দামও হালিতে তিন টাকা বেড়ে ৩৫-৩৬ টাকা হয়েছে। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা ও খাসি কেজি প্রতি ৪২০- ৪৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে ১২৫-১৩০ টাকায়। মুগ ১১০-১২০, চিনি ৪৬ থেকে ৪৮, ছোলা ৬২ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৩০-১৩৩, পাঁচ লিটারের জার ৬৪৫-৬৬০, লুজ সয়াবিন ১০০-১২০ ও পামওয়েল ৮৫-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদার দাম এখন ২০০, চীনা আদা ৯০ এবং দেশি রসুন ৮০ টাকা। তবে চালের বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে নাজিরশাইল চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫২ টাকায়। কেজিপ্রতি মিনিকেট ৪৫ থেকে ৪৮, লতা আটাশ ৩৭ থেকে ৪০, মোটা চাল ৩২-৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাড়ে না পণ্যের দাম
No comments