দু’নেত্রী এক টেবিলে বসলেই সমাধানঃ নাসির উদ্দীন by তপন চক্রবর্তী ও সুজন ঘোষ
পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ
গামের্ন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)’ এর
চট্টগ্রাম অঞ্চলের (২০১৩-২০১৪ সাল মেয়াদ) প্রথম সহ সভাপতি হিসেবে নাসির
উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী গত সোমবার বিকেলে দায়িত্ব নিয়েছেন।
দায়িত্ব
নিয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় বিজিএমইএ ভবনের নিজ কার্যালয়ে বসে প্রথম সাক্ষাৎকার
দেন বাংলানিউজকে। এ সাক্ষাৎকারে বিজিএমইএ’র কার্যক্রম নিয়ে তার ভবিষ্যৎ
পরিকল্পনা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও দু’নেত্রীর কাছে
তার প্রত্যাশার কথাও জানান বাংলানিউজকে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নাসির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর মত আমাদের দেশেও রাজনৈতিক অস্থিরতা আছে। এছাড়া অভাব-অনটনও বিদ্যমান। এসব কারণে আমরা এখনো গরিব দেশ রয়ে গেছি।
তবে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যেও দেশ অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতিতে হতাশ না হয়ে দেশের উন্নয়নে নিজেকে খুব আশাবাদী একজন মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।
চট্টগ্রামের বিশিষ্ট এ ব্যবসায়ী বলেন, দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ মূল উপায় হচ্ছে ‘সচেতনতা’। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। জনগণ যেদিন নিজ স্বার্থ উপলব্ধি করতে পারবে, সেদিনই এদেশের অনেক সমস্যা এমনিতেই হ্রাস পাবে। পাশাপাশি গাড়ি ভাংচুর-আগুন-সন্ত্রাস এগুলোও কমে যাবে। এজন্য সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে।
এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য দেশের অর্থনীতির গতি বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেন তিনি। অর্থনীতির চাকা সচল হলে দেশের মানুষের মধ্যে কর্মস্পৃহা তৈরি হবে। ফলে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার সুযোগ কমে যাবে বলে মনে করেন এ ব্যবসায়ী।
দেশের সম্ভাবনা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের এ দেশের অফুরন্ত সম্পদ যেমন রয়েছে, তেমনি সম্ভাবনাও রয়েছে প্রচুর। আমাদেরকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। তবে এটা ঠিক এ সম্পদ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। যদি যথাযথভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরবে এবং দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
বিজিএমইএ’র এ নেতা এজন্য দেশের প্রধান দু’নেত্রীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী, তারা দু’জনেই দেশপ্রেমিক। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হলেও তারা দেশের উন্নয়ন চান। তাই দেশের অর্থনীতি-সমাজ এবং সর্বোপরি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এক টেবিলে বসে এক সঙ্গে কাজ করার বিনীত নিবেদন করছি।’
যাত্রার শুরু থেকেই গামের্ন্টস সেক্টর বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করে আসছে বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, এ সেক্টরের প্রধান সমস্যা বিদ্যুৎ-গ্যাস-বাসস্থান।
তবে আশাবাদী নাসির উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন সমস্যাকে পেছনে ফেলে এ সেক্টর বেশ ভালভাবে এগিয়ে চলছে। আশির দশকে যাত্রার শুরুতে যেখানে কয়েক’শ পোশাক তৈরির কারখানা ছিল, ২০১৩তে এসে তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ছয় হাজারে।’
যথা সময়ে মূল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধান করায় এ খাত এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। ফলে এ সেক্টরের প্রবৃদ্ধি এবং অগ্রযাত্রায় আমরা সিরিয়াস কোনো সমস্যার মুখোমুখি হইনি।
এছাড়া বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, দেশের পোশাক শিল্প খাতের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণার পেছনে আছে ‘রাজনৈতিক কারণ’। একটি ‘বহিরাগত গ্রুপ’ পোশাক শিল্প খাত নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তারা শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সুবিধার দিকে নজর না দিয়ে এ অপপ্রচারে লিপ্ত আছে। এতে বিশ্বে দেশের পোশাক শিল্প খাত নিয়ে ভাবমূর্তির সংকট সৃষ্টি হয়।
পোশাক শিল্প বিকাশের জন্য চট্টগ্রামে ‘ইকোনমিক জোন’ তথা পোশাক শিল্প পল্লী গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব করেন এ বিজিএমইএ নেতা।।
নাসির উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘পোশাক শিল্প খাতকে নগর থেকে গ্রামে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য উপযুক্ত এলাকা হচ্ছে হাটহাজারী, পটিযা ও আনোয়ারা। এ সমস্ত এলাকায় শিল্পাঞ্চল করার চিন্তাভাবনা রয়েছে আমাদের। বিশেষ শিল্পাঞ্চল না হলে এ খাতে বিভিন্ন ইস্যু চিহ্নিত করা যাবে না। ফলে ২০২০ সালের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন ডলার আয়ের যে প্রত্যাশা বা সম্ভাবনা রয়েছে তা পূরণ হবে না।’
এ শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। নাসির উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘এ শিল্পাঞ্চলকেও ইপিজেড’র মত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলে দেশের উন্নয়নে পোশাক তৈরি খাত আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।’
পূঁজিবাজারের সঙ্গে যুক্ত এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, শিল্পায়নের এ যুগে বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন করার জন্য পূঁজিবাজার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। পোশাক শিল্প খাতে এখন অনেক বড় বড় প্রকল্প চালু হওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এক সময় ৫০ লক্ষ বা এক কোটি টাকা দিয়ে একটি পোশাক তৈরির কারখানা চালু করা সম্ভব ছিল। কিন্তু বর্তমানে এ অর্থ দিয়ে একটি কারখানা চালু করা সম্ভব না। এখন একটি কারখানা চালু করতে ১০-২০ কোটি টাকা ক্ষেত্রবিশেষে শত কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। ব্যাংক ঋণ দিয়ে এ ধরণের কারখানা চালুর বিষয়টি অর্থবহ হয়ে উঠবে না।’
তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজার থেকে সংগৃহীত অর্থ সুদমুক্ত। ২০২০ সালের মধ্যে এ খাতে ৪০ বিলিয়ন ডলার আয়ের যে প্রত্যাশা আছে আমাদের, তার জন্য পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
পূঁজিবাজারের সঙ্গে পোশাক শিল্প খাতকে কিভাবে যুক্ত করা যায়, সে বিষয়ে পূঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট এবং বিজিএমইএর পরিচালকদের নিয়ে বসে পরিকল্পনা তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি।
শ্রমিকদেরকে এ খাতের প্রাণ উল্লেখ করে তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান নাসির উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এ খাতকে সচল ও স্বাভাবিক রাখতে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। তাদের জীবন মান উন্নয়নের বিষয়টি আমার কর্মপরিকল্পনায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।’
পাশাপাশি তাদের সুস্বাস্থ্য-বাসস্থানের সমস্যা সমাধান করা হবে। তাদের সন্তানদের শিক্ষা লাভের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। এছাড়া পুষ্টি নিশ্চিতকরণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যেগ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
জিএসপি সুবিধা লাভের জন্য যে সকল শর্ত পূরণ করতে হয়, তার অধিকাংশ ইতিমধ্যে পূরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি এসব শর্তও আমরা পূরণ করতে পারব।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নাসির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর মত আমাদের দেশেও রাজনৈতিক অস্থিরতা আছে। এছাড়া অভাব-অনটনও বিদ্যমান। এসব কারণে আমরা এখনো গরিব দেশ রয়ে গেছি।
তবে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যেও দেশ অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতিতে হতাশ না হয়ে দেশের উন্নয়নে নিজেকে খুব আশাবাদী একজন মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।
চট্টগ্রামের বিশিষ্ট এ ব্যবসায়ী বলেন, দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ মূল উপায় হচ্ছে ‘সচেতনতা’। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। জনগণ যেদিন নিজ স্বার্থ উপলব্ধি করতে পারবে, সেদিনই এদেশের অনেক সমস্যা এমনিতেই হ্রাস পাবে। পাশাপাশি গাড়ি ভাংচুর-আগুন-সন্ত্রাস এগুলোও কমে যাবে। এজন্য সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে।
এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য দেশের অর্থনীতির গতি বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেন তিনি। অর্থনীতির চাকা সচল হলে দেশের মানুষের মধ্যে কর্মস্পৃহা তৈরি হবে। ফলে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার সুযোগ কমে যাবে বলে মনে করেন এ ব্যবসায়ী।
দেশের সম্ভাবনা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের এ দেশের অফুরন্ত সম্পদ যেমন রয়েছে, তেমনি সম্ভাবনাও রয়েছে প্রচুর। আমাদেরকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। তবে এটা ঠিক এ সম্পদ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। যদি যথাযথভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরবে এবং দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
বিজিএমইএ’র এ নেতা এজন্য দেশের প্রধান দু’নেত্রীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী, তারা দু’জনেই দেশপ্রেমিক। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হলেও তারা দেশের উন্নয়ন চান। তাই দেশের অর্থনীতি-সমাজ এবং সর্বোপরি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এক টেবিলে বসে এক সঙ্গে কাজ করার বিনীত নিবেদন করছি।’
যাত্রার শুরু থেকেই গামের্ন্টস সেক্টর বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করে আসছে বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, এ সেক্টরের প্রধান সমস্যা বিদ্যুৎ-গ্যাস-বাসস্থান।
তবে আশাবাদী নাসির উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন সমস্যাকে পেছনে ফেলে এ সেক্টর বেশ ভালভাবে এগিয়ে চলছে। আশির দশকে যাত্রার শুরুতে যেখানে কয়েক’শ পোশাক তৈরির কারখানা ছিল, ২০১৩তে এসে তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ছয় হাজারে।’
যথা সময়ে মূল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধান করায় এ খাত এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। ফলে এ সেক্টরের প্রবৃদ্ধি এবং অগ্রযাত্রায় আমরা সিরিয়াস কোনো সমস্যার মুখোমুখি হইনি।
এছাড়া বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, দেশের পোশাক শিল্প খাতের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণার পেছনে আছে ‘রাজনৈতিক কারণ’। একটি ‘বহিরাগত গ্রুপ’ পোশাক শিল্প খাত নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তারা শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সুবিধার দিকে নজর না দিয়ে এ অপপ্রচারে লিপ্ত আছে। এতে বিশ্বে দেশের পোশাক শিল্প খাত নিয়ে ভাবমূর্তির সংকট সৃষ্টি হয়।
পোশাক শিল্প বিকাশের জন্য চট্টগ্রামে ‘ইকোনমিক জোন’ তথা পোশাক শিল্প পল্লী গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব করেন এ বিজিএমইএ নেতা।।
নাসির উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘পোশাক শিল্প খাতকে নগর থেকে গ্রামে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য উপযুক্ত এলাকা হচ্ছে হাটহাজারী, পটিযা ও আনোয়ারা। এ সমস্ত এলাকায় শিল্পাঞ্চল করার চিন্তাভাবনা রয়েছে আমাদের। বিশেষ শিল্পাঞ্চল না হলে এ খাতে বিভিন্ন ইস্যু চিহ্নিত করা যাবে না। ফলে ২০২০ সালের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন ডলার আয়ের যে প্রত্যাশা বা সম্ভাবনা রয়েছে তা পূরণ হবে না।’
এ শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। নাসির উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘এ শিল্পাঞ্চলকেও ইপিজেড’র মত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলে দেশের উন্নয়নে পোশাক তৈরি খাত আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।’
পূঁজিবাজারের সঙ্গে যুক্ত এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, শিল্পায়নের এ যুগে বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন করার জন্য পূঁজিবাজার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। পোশাক শিল্প খাতে এখন অনেক বড় বড় প্রকল্প চালু হওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এক সময় ৫০ লক্ষ বা এক কোটি টাকা দিয়ে একটি পোশাক তৈরির কারখানা চালু করা সম্ভব ছিল। কিন্তু বর্তমানে এ অর্থ দিয়ে একটি কারখানা চালু করা সম্ভব না। এখন একটি কারখানা চালু করতে ১০-২০ কোটি টাকা ক্ষেত্রবিশেষে শত কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। ব্যাংক ঋণ দিয়ে এ ধরণের কারখানা চালুর বিষয়টি অর্থবহ হয়ে উঠবে না।’
তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজার থেকে সংগৃহীত অর্থ সুদমুক্ত। ২০২০ সালের মধ্যে এ খাতে ৪০ বিলিয়ন ডলার আয়ের যে প্রত্যাশা আছে আমাদের, তার জন্য পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
পূঁজিবাজারের সঙ্গে পোশাক শিল্প খাতকে কিভাবে যুক্ত করা যায়, সে বিষয়ে পূঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট এবং বিজিএমইএর পরিচালকদের নিয়ে বসে পরিকল্পনা তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি।
শ্রমিকদেরকে এ খাতের প্রাণ উল্লেখ করে তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান নাসির উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এ খাতকে সচল ও স্বাভাবিক রাখতে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। তাদের জীবন মান উন্নয়নের বিষয়টি আমার কর্মপরিকল্পনায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।’
পাশাপাশি তাদের সুস্বাস্থ্য-বাসস্থানের সমস্যা সমাধান করা হবে। তাদের সন্তানদের শিক্ষা লাভের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। এছাড়া পুষ্টি নিশ্চিতকরণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যেগ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
জিএসপি সুবিধা লাভের জন্য যে সকল শর্ত পূরণ করতে হয়, তার অধিকাংশ ইতিমধ্যে পূরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি এসব শর্তও আমরা পূরণ করতে পারব।
No comments