সংঘাত কোথায় নিয়ে যাবে বলা মুশকিল? by অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ
বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেছেন, আগামী ২০, ৩০ বা ১০০ বছর
পর জাতির চেহারা কি দাঁড়াবে সেই লক্ষে আমাদের নেতাদের কোন দূরদর্শী ভাবনা
ছিল না। নেতাদের মধ্যে কোন সুচারু প্রয়াস চলেনি।
এ কারণেই
জাতি আজ নানাভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এমন কি যারা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি
করছেন তাদের মধ্যে মুখ দেখাদেখির সম্পর্কও হারিয়ে যাচ্ছে। একে অপরের
বিরুদ্ধে অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছেন। জাতি আরও খণ্ড বিখণ্ড হবে, দ্বন্দ্ব-সংঘাত
বাড়বে। এই সংঘাত আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে বলা মুশকিল।
সম্প্রতি ‘সাপ্তাহিক’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিরোধীদের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো দেয়া হচ্ছে সেখানে হয়তো একটি মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করা হচ্ছে। এছাড়া ওই মামলায় এক হাজার বা পাঁচ হাজার অজ্ঞাত আসামি করা হচ্ছে। এই অজ্ঞাতনামা আসামির মধ্যে দিয়ে পুলিশের হাতে দুর্নীতি করার লাইসেন্স চলে আসছে। এখন যে কোন ব্যক্তিকে আটক করে এই মামলায় ফাঁসানোর ভয়ঙ্কর সুযোগ তৈরি হয়ে গেল। আবার আটকের পর লাখ টাকার বিনিময়ে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এভাবে পুলিশ লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করছে। জাতীয় চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক শক্তিকে গুরুত্ব দিতে হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের মানুষের একটি অংশ যদি ভিন্ন কোন আদর্শের দিকে ঝুঁকে পড়ে সেটাতো আপনার ব্যর্থতা। আপনি মানুষকে রাজনীতি, আচরণ, মতাদর্শ দিয়ে আপনার সঙ্গে রাখতে পারেননি। এই ব্যর্থতা আপনি মেনে নেবেন না? মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল লোভ-লালসা থেকে মুক্ত হয়ে একটি ন্যায়পরায়ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু পরে নোংরা রাজনীতির প্রতিযোগিতা দেখতে পাই। প্রথম আপনাকে দায়ী করুন। এর জন্য আত্মনুসন্ধানের প্রয়োজন আছে।
তিনি বলেন, জাতিসত্তা এক জিনিস এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন সময় নীতি, আদর্শ, কর্মকাণ্ড কি হবে সেটা আরেক জিনিস। যে কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিভিন্ন মতাদর্শের দল থাকবে। ভারতে কংগ্রেস একটি বড় দল। সেখানে কমিউনিস্ট পার্টি ও ধর্মীয় দল বিজেপি, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। বিভিন্ন আদর্শের লোক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সকলকে গুরুত্ব দিয়েই রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে হবে। কেউ যদি মনে করে, তার বিপরীত আদর্শের সকলকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেবে তাহলে হিটলারের মতো গ্যাস চেম্বার তৈরি করতে হবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে হিটলারের গ্যাস চেম্বারে লাখ লাখ মানুষ হত্যা করেও কোনো সমাধান দিতে পারেনি। জাতি আরও ভয়ঙ্কর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল।
ভিন্ন মতের প্রতি গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ভিন্নমত থাকবেই। কমিউনিস্টরা তাদের মতামত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবেই। জামায়াত শিবির ইসলামী সমাজ ব্যাবস্থা চালুর চেষ্টা করবেই। যেমন মিশর, ইরান, তুরস্কে চালু হয়েছে। আবার অন্য কেউ পশ্চিমা ধাঁচের গণতন্ত্র প্রত্যাশা করতে পারে। এসবের মধ্যেই রাজনীতিকরা বিভক্তির পরিবর্তে ঐক্য গড়ে তুলতে পারে এমন একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি হওয়া দরকার বলে উল্লেখ করেন।
সম্প্রতি ‘সাপ্তাহিক’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিরোধীদের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো দেয়া হচ্ছে সেখানে হয়তো একটি মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করা হচ্ছে। এছাড়া ওই মামলায় এক হাজার বা পাঁচ হাজার অজ্ঞাত আসামি করা হচ্ছে। এই অজ্ঞাতনামা আসামির মধ্যে দিয়ে পুলিশের হাতে দুর্নীতি করার লাইসেন্স চলে আসছে। এখন যে কোন ব্যক্তিকে আটক করে এই মামলায় ফাঁসানোর ভয়ঙ্কর সুযোগ তৈরি হয়ে গেল। আবার আটকের পর লাখ টাকার বিনিময়ে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এভাবে পুলিশ লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করছে। জাতীয় চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক শক্তিকে গুরুত্ব দিতে হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের মানুষের একটি অংশ যদি ভিন্ন কোন আদর্শের দিকে ঝুঁকে পড়ে সেটাতো আপনার ব্যর্থতা। আপনি মানুষকে রাজনীতি, আচরণ, মতাদর্শ দিয়ে আপনার সঙ্গে রাখতে পারেননি। এই ব্যর্থতা আপনি মেনে নেবেন না? মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল লোভ-লালসা থেকে মুক্ত হয়ে একটি ন্যায়পরায়ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু পরে নোংরা রাজনীতির প্রতিযোগিতা দেখতে পাই। প্রথম আপনাকে দায়ী করুন। এর জন্য আত্মনুসন্ধানের প্রয়োজন আছে।
তিনি বলেন, জাতিসত্তা এক জিনিস এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন সময় নীতি, আদর্শ, কর্মকাণ্ড কি হবে সেটা আরেক জিনিস। যে কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিভিন্ন মতাদর্শের দল থাকবে। ভারতে কংগ্রেস একটি বড় দল। সেখানে কমিউনিস্ট পার্টি ও ধর্মীয় দল বিজেপি, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। বিভিন্ন আদর্শের লোক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সকলকে গুরুত্ব দিয়েই রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে হবে। কেউ যদি মনে করে, তার বিপরীত আদর্শের সকলকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেবে তাহলে হিটলারের মতো গ্যাস চেম্বার তৈরি করতে হবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে হিটলারের গ্যাস চেম্বারে লাখ লাখ মানুষ হত্যা করেও কোনো সমাধান দিতে পারেনি। জাতি আরও ভয়ঙ্কর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল।
ভিন্ন মতের প্রতি গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ভিন্নমত থাকবেই। কমিউনিস্টরা তাদের মতামত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবেই। জামায়াত শিবির ইসলামী সমাজ ব্যাবস্থা চালুর চেষ্টা করবেই। যেমন মিশর, ইরান, তুরস্কে চালু হয়েছে। আবার অন্য কেউ পশ্চিমা ধাঁচের গণতন্ত্র প্রত্যাশা করতে পারে। এসবের মধ্যেই রাজনীতিকরা বিভক্তির পরিবর্তে ঐক্য গড়ে তুলতে পারে এমন একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি হওয়া দরকার বলে উল্লেখ করেন।
No comments