হরতালে উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টায় শিবির, আটক ৯
বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয়
জোটের ডাকা হরতাল মঙ্গলবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে নিরূত্তাপভাবে চলছে। তবে
গাড়িতে আগুন দিয়ে, টায়ার জ্বালিয়ে, ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উত্তাপ ছড়ানোর
চেষ্টা করছে শিবির।
হরতাল শুরুর পর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে
নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় একটি সিটিবাসে আগুন দিয়েছে পিকেটাররা। আগুন দিয়ে
পালানোর সময় একজন শিবির কর্মীকে আটক করে স্থানীয় জনতা পুলিশের হাতে সোপর্দ
করেছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মো.শহীদুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, যাত্রীবেশে উঠে কয়েকজন পিকেটার বাসটিতে আগুন দিয়ে দ্রুত নেমে যায়। এসময় পুলিশ ও স্থানীয় জনতা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার এ-ব্লক ও বি-ব্লকের সামনে পিকেটিংয়ের জন্য জড়ো হওয়ার পর পাঁচ পিকেটারকে আটক করেছে পুলিশ। নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন মোড়ে পিকেটিংয়ের চেষ্টাকালে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছ।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মো.শহীদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘পিকেটররা নাশকতা করার জন্য জড়ো হয়েছিল। পুলিশ সতর্ক থাকায় তারা সফল হয়নি। চান্দগাঁও ও বায়েজিদ বোস্তামি থানায় মোট ৯ পিকেটারকে আটক করা হয়েছে।’
হরতাল শুরুর পর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর সদরঘাট এলাকায় পিকেটারদের ছোঁড়া ককটেল বিস্ফোরণে জহির (১৮) নামে এক রিক্সাচালক আহত হয়েছেন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক জয়নাল আবেদন বাংলানিউজকে জানান, হরতালের সমর্থনে শিবিরের মিছিল থেকে রিক্সাচালক জহিরের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল ছোঁড়া হয়। এতে জহির আঘাত পান।
নগরীর নাসিমন ভবনের সামনে, এনায়েত বাজার, বহদ্দারহাট, রাহাত্তারপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় নগর বিএনপির সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক ডা.শাহাদাৎ হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মাহবুবুর রহমান শামীমের নেতৃত্বে মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হরতাল চলাকালে নগরীর প্রায় অর্ধশত পয়েণ্টে বিএনপি নেতাদের মিছিল-সমাবেশ করার কথা রয়েছে।
নগরীর পতেঙ্গা থানার সিমেণ্ট ক্রসিং এলাকায় নগর বিএনপির সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সমাবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয় বলে খবর পাওয়া গেছে। এসময় পুলিশের সঙ্গে আমির খসরুর বাকবিতন্ডা হয়। তবে পরে পুলিশ সরে গেলে বিএনপি বিনা বাধায় সমাবেশ করে।
জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা নগরীর তিন পুলের মাথা, চকবাজারসহ কয়েকটি এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টির চেষ্টা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সকালে নগরীর তিন পুলের মাথা এলাকায় শিবির কর্মীরা তিনটি টায়ারে আগুন দেয় বলে জানিয়েছেন নগরীর কোতয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মির্জা সায়েম মাহমুদ।
এছাড়া এনায়েত বাজার এলাকায় একটি হিউম্যান হলার ভাংচুরের ঘটনা ঘটলেও সহকারী পুলিশ কমিশনার মির্জা সায়েম মাহমুদ এ ধরনের কোন ঘটনার খবর পাননি বলে জানিয়েছেন।
এর বাইরে ১৮ দলীয় জোটের অন্যান্য দলগুলোর হরতালের সমর্থনে কোন কর্মসূচি পালনের খবর পাওয়া যায়নি।
হরতালের সমর্থনে সকাল পৌনে ১০টার দিকে নগরীর ষোলশহর স্টেশন থেকে মিছিল বের করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন সালাম মিঠুর নেতৃত্বে মিছিলটি মুরাদপুর মোড় এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে হরতাল উপলক্ষে নগরীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। নগরীতে পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবিও মোতায়েন আছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বিশেষ শাখা) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘হরতাল শুরুর পর থেকে বড় ধরনের কোন নাশকতা কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাইনি। নিরুত্তাপভাবে হরতাল চলছে। তবে আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা আছে।’
হরতাল চলাকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়, কাজীর দেউড়িসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল কিছুটা কম থাকলেও নগরীর অন্যান্য অংশে প্রচুর পরিমাণে গণপরিবহন চলছে। তবে ব্যক্তিগত যানবাহন রাস্তায় একেবারেই দেখা যাচ্ছেনা।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) আরেফিন জুয়েল বাংলানিউজকে জানান, নগরীতে সিটিবাস, মিনিবাসসহ গণপরিবহন চললেও দূরপাল্লার যানবাহন তারা বন্ধ দেখতে পেয়েছেন।
হরতাল হলেও নগরীতে গার্মেণ্টসসহ অধিকাংশ কলকারখানা সচল আছে। সরকারী-বেসরকারী অফিসও খোলা আছে। হরতাল শুরুর পর দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো আস্তে আস্তে খুলে দেয়া হচ্ছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মো.শহীদুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, যাত্রীবেশে উঠে কয়েকজন পিকেটার বাসটিতে আগুন দিয়ে দ্রুত নেমে যায়। এসময় পুলিশ ও স্থানীয় জনতা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার এ-ব্লক ও বি-ব্লকের সামনে পিকেটিংয়ের জন্য জড়ো হওয়ার পর পাঁচ পিকেটারকে আটক করেছে পুলিশ। নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন মোড়ে পিকেটিংয়ের চেষ্টাকালে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছ।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মো.শহীদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘পিকেটররা নাশকতা করার জন্য জড়ো হয়েছিল। পুলিশ সতর্ক থাকায় তারা সফল হয়নি। চান্দগাঁও ও বায়েজিদ বোস্তামি থানায় মোট ৯ পিকেটারকে আটক করা হয়েছে।’
হরতাল শুরুর পর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর সদরঘাট এলাকায় পিকেটারদের ছোঁড়া ককটেল বিস্ফোরণে জহির (১৮) নামে এক রিক্সাচালক আহত হয়েছেন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক জয়নাল আবেদন বাংলানিউজকে জানান, হরতালের সমর্থনে শিবিরের মিছিল থেকে রিক্সাচালক জহিরের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল ছোঁড়া হয়। এতে জহির আঘাত পান।
নগরীর নাসিমন ভবনের সামনে, এনায়েত বাজার, বহদ্দারহাট, রাহাত্তারপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় নগর বিএনপির সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক ডা.শাহাদাৎ হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মাহবুবুর রহমান শামীমের নেতৃত্বে মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হরতাল চলাকালে নগরীর প্রায় অর্ধশত পয়েণ্টে বিএনপি নেতাদের মিছিল-সমাবেশ করার কথা রয়েছে।
নগরীর পতেঙ্গা থানার সিমেণ্ট ক্রসিং এলাকায় নগর বিএনপির সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সমাবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয় বলে খবর পাওয়া গেছে। এসময় পুলিশের সঙ্গে আমির খসরুর বাকবিতন্ডা হয়। তবে পরে পুলিশ সরে গেলে বিএনপি বিনা বাধায় সমাবেশ করে।
জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা নগরীর তিন পুলের মাথা, চকবাজারসহ কয়েকটি এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টির চেষ্টা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সকালে নগরীর তিন পুলের মাথা এলাকায় শিবির কর্মীরা তিনটি টায়ারে আগুন দেয় বলে জানিয়েছেন নগরীর কোতয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মির্জা সায়েম মাহমুদ।
এছাড়া এনায়েত বাজার এলাকায় একটি হিউম্যান হলার ভাংচুরের ঘটনা ঘটলেও সহকারী পুলিশ কমিশনার মির্জা সায়েম মাহমুদ এ ধরনের কোন ঘটনার খবর পাননি বলে জানিয়েছেন।
এর বাইরে ১৮ দলীয় জোটের অন্যান্য দলগুলোর হরতালের সমর্থনে কোন কর্মসূচি পালনের খবর পাওয়া যায়নি।
হরতালের সমর্থনে সকাল পৌনে ১০টার দিকে নগরীর ষোলশহর স্টেশন থেকে মিছিল বের করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন সালাম মিঠুর নেতৃত্বে মিছিলটি মুরাদপুর মোড় এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে হরতাল উপলক্ষে নগরীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। নগরীতে পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবিও মোতায়েন আছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বিশেষ শাখা) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘হরতাল শুরুর পর থেকে বড় ধরনের কোন নাশকতা কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাইনি। নিরুত্তাপভাবে হরতাল চলছে। তবে আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা আছে।’
হরতাল চলাকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়, কাজীর দেউড়িসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল কিছুটা কম থাকলেও নগরীর অন্যান্য অংশে প্রচুর পরিমাণে গণপরিবহন চলছে। তবে ব্যক্তিগত যানবাহন রাস্তায় একেবারেই দেখা যাচ্ছেনা।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) আরেফিন জুয়েল বাংলানিউজকে জানান, নগরীতে সিটিবাস, মিনিবাসসহ গণপরিবহন চললেও দূরপাল্লার যানবাহন তারা বন্ধ দেখতে পেয়েছেন।
হরতাল হলেও নগরীতে গার্মেণ্টসসহ অধিকাংশ কলকারখানা সচল আছে। সরকারী-বেসরকারী অফিসও খোলা আছে। হরতাল শুরুর পর দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো আস্তে আস্তে খুলে দেয়া হচ্ছে।
No comments