যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল ও হামাস
ইসরায়েল বলেছে, ফিলিস্তিনিরা রকেট ও মর্টার নিক্ষেপ বন্ধ করলে তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি আছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক গতকাল রোববার এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা আমাদের ওপর হামলা বন্ধ করলে আমরাও হামলা বন্ধ করব।’
এর আগেই অবশ্য হামাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এসেছে বলে ইসরায়েলের একজন জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, হামাসের রাজনৈতিক শাখা বার্তা পাঠিয়ে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। তবে তিনি বলেন, ইসরায়েল যতক্ষণ না মনে করবে তার জনগণ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছে, ততক্ষণ সেনা অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে হামাস নেতারা গাজা ভূখণ্ডে জরুরি অবস্থা ঘোষণা দেওয়ার পরই ইসরায়েলের তরফ থেকে যুদ্ধবিরতির এ ঘোষণা এল। গত বৃহস্পতিবার থেকে এ পর্যন্ত সহিংসতায় ১৮ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছে।
এহুদ বারাক বলেছেন, ‘ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি। তবে তার আগে হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীকে গোলা নিক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। তারা গোলা নিক্ষেপ বন্ধ করলে আমরাও গোলা নিক্ষেপ বন্ধ করব।’
ইসরায়েলের একটি স্কুলবাসে বৃহস্পতিবার হামাসের সদস্যরা ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এতে গাড়িটির চালকসহ দুজন আহত হন। এ ঘটনার পরই নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন ‘যারাই হামলা চালিয়ে শিশুদের হত্যার চেষ্টা করেছে, তাদের রক্তে নিজেদের মাথাই ভিজবে। নেতানিয়াহুর এ হুমকির পরই ইসরায়েলি সেনারা গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধবিমান নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এহুদ বারাক তাঁর পূর্বনির্ধারিত ওয়াশিংটন সফর বাতিল করেছেন। দুই পক্ষের মধ্যে ফের সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর এটাই ছিল কোনো ইসরায়েলি মন্ত্রীর প্রথম যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব।
এদিকে হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে আপনাআপনি স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামাসের এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের রাতে পরিস্থিতি ছিল কিছুটা শান্ত। কিন্তু গতকাল সকালে গাজা থেকে ইসরায়েলের মাটিতে তিনটি রকেট ছোড়া হয়। তবে এতে কোনো ক্ষতি হয়নি।
এর আগে শনিবার হামাস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে অভিযান জোরেশোরে শুরু করায় সংগঠনটি এ ঘোষণা দেয়।
২০০৮ সালের ডিসেম্বরের পর এটাই দুই পক্ষের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা। ওই সময় ২২ দিনব্যাপী ইসরায়েলি অভিযানে এক হাজার ৪০০ লোক মারা যায়। নিহত ব্যক্তিদের প্রায় সবাই ছিল ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের ছিল মাত্র ১৩ জন।
এর আগেই অবশ্য হামাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এসেছে বলে ইসরায়েলের একজন জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, হামাসের রাজনৈতিক শাখা বার্তা পাঠিয়ে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। তবে তিনি বলেন, ইসরায়েল যতক্ষণ না মনে করবে তার জনগণ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছে, ততক্ষণ সেনা অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে হামাস নেতারা গাজা ভূখণ্ডে জরুরি অবস্থা ঘোষণা দেওয়ার পরই ইসরায়েলের তরফ থেকে যুদ্ধবিরতির এ ঘোষণা এল। গত বৃহস্পতিবার থেকে এ পর্যন্ত সহিংসতায় ১৮ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছে।
এহুদ বারাক বলেছেন, ‘ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি। তবে তার আগে হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীকে গোলা নিক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। তারা গোলা নিক্ষেপ বন্ধ করলে আমরাও গোলা নিক্ষেপ বন্ধ করব।’
ইসরায়েলের একটি স্কুলবাসে বৃহস্পতিবার হামাসের সদস্যরা ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এতে গাড়িটির চালকসহ দুজন আহত হন। এ ঘটনার পরই নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন ‘যারাই হামলা চালিয়ে শিশুদের হত্যার চেষ্টা করেছে, তাদের রক্তে নিজেদের মাথাই ভিজবে। নেতানিয়াহুর এ হুমকির পরই ইসরায়েলি সেনারা গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধবিমান নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এহুদ বারাক তাঁর পূর্বনির্ধারিত ওয়াশিংটন সফর বাতিল করেছেন। দুই পক্ষের মধ্যে ফের সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর এটাই ছিল কোনো ইসরায়েলি মন্ত্রীর প্রথম যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব।
এদিকে হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে আপনাআপনি স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামাসের এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের রাতে পরিস্থিতি ছিল কিছুটা শান্ত। কিন্তু গতকাল সকালে গাজা থেকে ইসরায়েলের মাটিতে তিনটি রকেট ছোড়া হয়। তবে এতে কোনো ক্ষতি হয়নি।
এর আগে শনিবার হামাস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে অভিযান জোরেশোরে শুরু করায় সংগঠনটি এ ঘোষণা দেয়।
২০০৮ সালের ডিসেম্বরের পর এটাই দুই পক্ষের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা। ওই সময় ২২ দিনব্যাপী ইসরায়েলি অভিযানে এক হাজার ৪০০ লোক মারা যায়। নিহত ব্যক্তিদের প্রায় সবাই ছিল ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের ছিল মাত্র ১৩ জন।
No comments