মেসিতে উদ্ধার বার্সেলোনার
কখনো মুণ্ডিত মস্তকে হাত বোলাচ্ছেন অধৈর্যের মতো। কখনো হতাশায় মুখ ঢাকছেন। কখনো বা একে ওকে ডেকে গরম কথা বলছেন। সাইড লাইনে পেপ গার্দিওলাকে এতটা তৎপর খুব একটা দেখা যায় না। পরশু গেল। বার্সেলোনার রাতটা যে কেটেছে চরম স্নায়বিক উত্তেজনায়।
না, লিগে তাদের প্রতিপক্ষ হাতি-ঘোড়া কেউ ছিল না। ছিল পয়েন্ট টেবিলের সবার নিচের দল আলমেরিয়া। যে দলকে প্রথম লেগে বার্সেলোনা ৮-০ গোলে হারিয়েছিল। পরশু স্প্যানিশ লিগের ফিরতি ম্যাচেও বার্সাই জিতল। ব্যবধান ৩-১, যথেষ্টই বড়। কিন্তু শুধু ফলাফল দেখে বোঝার উপায় নেই, নিজেদের মাঠে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কীভাবে পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় ভুগেছে চ্যাম্পিয়নরা।
বিশ্লেষকদের অনুমান ভুল প্রমাণিত করে প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্র। ৫০ মিনিটে উল্টো আলমেরিয়ারই এগিয়ে যাওয়া! বিস্ময়ের ধাক্কা সামলে বার্সা সমতায় ফেরে মেসির পেনাল্টি গোলে, ৫৩ মিনিটে। ১১ মিনিট পর তরুণ স্ট্রাইকার থিয়াগোর হেডে করা গোলের উৎসও মেসির কর্নার। পাল্টা আক্রমণ থেকে যেকোনো মুহূর্তে আলমেরিয়ার সমতা ফেরানোর হুমকি ছিল। একেবারেই অন্তিম মুহূর্তে স্বস্তি ফেরায় মেসির দ্বিতীয় গোল।
বার্সেলোনা আসলে অস্বস্তিতে ছিল পরশু প্রথম ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ৩-০ গোলে হারানোয়। দুটি পেনাল্টি থেকে জোড়া গোল করেন কাকা, বদলি হিসেবে নামার পর ৭০ মিনিটে গোল করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এই গোল দিয়ে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় মেসিকে টপকে যান পর্তুগিজ উইঙ্গার (২৮ গোল)। রিয়ালও পয়েন্ট ব্যবধান পাঁচে নামিয়ে আনে। জোড়া গোল করে মেসি (২৯ গোল) রোনালদোকে টপকে যান দুই ঘণ্টা পরের ম্যাচেই, বার্সাও ব্যবধান নিয়ে যায় আটে। ১৬ এপ্রিলের এল ক্লাসিকোর আগে মানসিকভাবেও এগিয়ে থাকল বার্সা। এক মৌসুমে ৫০ গোলের অর্জন থেকে মাত্র তিন গোল দূরে মেসি।
স্প্যানিশ লিগে যেমন বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলে বার্সার টানা তৃতীয় শিরোপা জেতা নিশ্চিত, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে একই সমীকরণ তৈরি করে রেখেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। পরশু বারবেতভ ও ভ্যালেন্সিয়া ফুলহামের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় এনে দেন ম্যানইউকে। ৬৭ মিনিটে করা মালুদার গোলে উইগানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে চেলসি। চ্যাম্পিয়নস লিগে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়া পিটার ক্রাউচের জোড়া গোলে স্টোক সিটিকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে টটেনহাম। কাল ব্ল্যাকপুলকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। দিয়াবি, এবু ও ফন পার্সি গোল করেছেন।
৩২ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ম্যানইউ। এর পর আছে আর্সেনাল (৬২), চেলসি (৫৮), ম্যান সিটি (৫৬) ও টটেনহাম (৫৩)। এই চার দল অবশ্য খেলেছে ৩১টি ম্যাচ।
না, লিগে তাদের প্রতিপক্ষ হাতি-ঘোড়া কেউ ছিল না। ছিল পয়েন্ট টেবিলের সবার নিচের দল আলমেরিয়া। যে দলকে প্রথম লেগে বার্সেলোনা ৮-০ গোলে হারিয়েছিল। পরশু স্প্যানিশ লিগের ফিরতি ম্যাচেও বার্সাই জিতল। ব্যবধান ৩-১, যথেষ্টই বড়। কিন্তু শুধু ফলাফল দেখে বোঝার উপায় নেই, নিজেদের মাঠে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কীভাবে পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় ভুগেছে চ্যাম্পিয়নরা।
বিশ্লেষকদের অনুমান ভুল প্রমাণিত করে প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্র। ৫০ মিনিটে উল্টো আলমেরিয়ারই এগিয়ে যাওয়া! বিস্ময়ের ধাক্কা সামলে বার্সা সমতায় ফেরে মেসির পেনাল্টি গোলে, ৫৩ মিনিটে। ১১ মিনিট পর তরুণ স্ট্রাইকার থিয়াগোর হেডে করা গোলের উৎসও মেসির কর্নার। পাল্টা আক্রমণ থেকে যেকোনো মুহূর্তে আলমেরিয়ার সমতা ফেরানোর হুমকি ছিল। একেবারেই অন্তিম মুহূর্তে স্বস্তি ফেরায় মেসির দ্বিতীয় গোল।
বার্সেলোনা আসলে অস্বস্তিতে ছিল পরশু প্রথম ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ৩-০ গোলে হারানোয়। দুটি পেনাল্টি থেকে জোড়া গোল করেন কাকা, বদলি হিসেবে নামার পর ৭০ মিনিটে গোল করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এই গোল দিয়ে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় মেসিকে টপকে যান পর্তুগিজ উইঙ্গার (২৮ গোল)। রিয়ালও পয়েন্ট ব্যবধান পাঁচে নামিয়ে আনে। জোড়া গোল করে মেসি (২৯ গোল) রোনালদোকে টপকে যান দুই ঘণ্টা পরের ম্যাচেই, বার্সাও ব্যবধান নিয়ে যায় আটে। ১৬ এপ্রিলের এল ক্লাসিকোর আগে মানসিকভাবেও এগিয়ে থাকল বার্সা। এক মৌসুমে ৫০ গোলের অর্জন থেকে মাত্র তিন গোল দূরে মেসি।
স্প্যানিশ লিগে যেমন বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলে বার্সার টানা তৃতীয় শিরোপা জেতা নিশ্চিত, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে একই সমীকরণ তৈরি করে রেখেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। পরশু বারবেতভ ও ভ্যালেন্সিয়া ফুলহামের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় এনে দেন ম্যানইউকে। ৬৭ মিনিটে করা মালুদার গোলে উইগানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে চেলসি। চ্যাম্পিয়নস লিগে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়া পিটার ক্রাউচের জোড়া গোলে স্টোক সিটিকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে টটেনহাম। কাল ব্ল্যাকপুলকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। দিয়াবি, এবু ও ফন পার্সি গোল করেছেন।
৩২ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ম্যানইউ। এর পর আছে আর্সেনাল (৬২), চেলসি (৫৮), ম্যান সিটি (৫৬) ও টটেনহাম (৫৩)। এই চার দল অবশ্য খেলেছে ৩১টি ম্যাচ।
No comments