পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চায় এনএলডি
মিয়ানমারের ওপর অব্যাহত অবরোধে সম্ভাব্য পরিবর্তন আনার বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে চায় সে দেশের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। গতকাল মঙ্গলবার এনএলডির এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর জান্তা সরকারের সব ধরনের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। সে দেশের কারাগারে বন্দী সব রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে মুক্তি দিতে হবে। এতে আরও বলা হয়, গণতন্ত্রের পথে উত্তরণ ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে চায় এনএলডি।
এসব দিক বিবেচনা করেই মিয়ানমারের ওপর কখন, কীভাবে ও কী পরিস্থিতিতে অবরোধ আরোপে সম্ভাব্য পরিবর্তন আনা যায়; এ ব্যাপারে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় এনএলডি। মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে দলটি এ ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে।
এ বিবৃতি দেওয়ার মাত্র একদিন আগে এনএলডির ভাইস চেয়ারম্যান তিন উ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘তাঁদের দল মিয়ানমারের ওপর পশ্চিমা অবরোধ অব্যাহত রাখার পক্ষে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। পশ্চিমা অবরোধ জান্তা সরকারের নেতা ও তাঁদের ব্যবসায়ী সহযোগীদের ওপর প্রভাব ফেলেছে। অবরোধ বেশির ভাগ নাগরিককে কোনো সমস্যায় ফেলে না।’
১৯৯০ সালের নির্বাচনে এনএলডি নিরঙ্কুশ জয়লাভ করলেও দলটির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি জান্তা। দীর্ঘদিন গৃহবন্দী রাখার পর ১৩ নভেম্বর সু চিকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির পাওয়ার পর সু চি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, পশ্চিমা অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলে সুপারিশ করবেন তিনি।
একদল বিশ্লেষকের দাবি, এ ধরনের অবরোধ জান্তা নেতাদের সম্পদ বা তাঁদের বিলাসবহুল জীবনে কোনো প্রভাব ফেলছে না। বরং সাধারণ নাগরিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পশ্চিমা অবরোধের মুখে জান্তা সরকার চীন, ভারত, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে পশ্চিমা অবরোধের মুখে মিয়ানমারে রত্নসামগ্রী, বিশেষ করে তেল, গ্যাস ও কাঠের বিপুল মজুদ থাকা সত্ত্বেও এগুলোর রপ্তানি মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। এ ছাড়া সে দেশের পর্যটন খাতও বিপর্যস্ত। যদিও এসব খাতে এশিয়ার বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে জান্তা।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর জান্তা সরকারের সব ধরনের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। সে দেশের কারাগারে বন্দী সব রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে মুক্তি দিতে হবে। এতে আরও বলা হয়, গণতন্ত্রের পথে উত্তরণ ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে চায় এনএলডি।
এসব দিক বিবেচনা করেই মিয়ানমারের ওপর কখন, কীভাবে ও কী পরিস্থিতিতে অবরোধ আরোপে সম্ভাব্য পরিবর্তন আনা যায়; এ ব্যাপারে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় এনএলডি। মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে দলটি এ ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে।
এ বিবৃতি দেওয়ার মাত্র একদিন আগে এনএলডির ভাইস চেয়ারম্যান তিন উ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘তাঁদের দল মিয়ানমারের ওপর পশ্চিমা অবরোধ অব্যাহত রাখার পক্ষে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। পশ্চিমা অবরোধ জান্তা সরকারের নেতা ও তাঁদের ব্যবসায়ী সহযোগীদের ওপর প্রভাব ফেলেছে। অবরোধ বেশির ভাগ নাগরিককে কোনো সমস্যায় ফেলে না।’
১৯৯০ সালের নির্বাচনে এনএলডি নিরঙ্কুশ জয়লাভ করলেও দলটির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি জান্তা। দীর্ঘদিন গৃহবন্দী রাখার পর ১৩ নভেম্বর সু চিকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির পাওয়ার পর সু চি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, পশ্চিমা অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলে সুপারিশ করবেন তিনি।
একদল বিশ্লেষকের দাবি, এ ধরনের অবরোধ জান্তা নেতাদের সম্পদ বা তাঁদের বিলাসবহুল জীবনে কোনো প্রভাব ফেলছে না। বরং সাধারণ নাগরিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পশ্চিমা অবরোধের মুখে জান্তা সরকার চীন, ভারত, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে পশ্চিমা অবরোধের মুখে মিয়ানমারে রত্নসামগ্রী, বিশেষ করে তেল, গ্যাস ও কাঠের বিপুল মজুদ থাকা সত্ত্বেও এগুলোর রপ্তানি মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। এ ছাড়া সে দেশের পর্যটন খাতও বিপর্যস্ত। যদিও এসব খাতে এশিয়ার বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে জান্তা।
No comments