মোবারকবিরোধী বিক্ষোভ গড়াল তৃতীয় সপ্তাহে
প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পদত্যাগের দাবিতে মিসরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় সপ্তাহ পেরিয়ে তৃতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। গতকালও রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কয়ার ছিল হাজারো বিক্ষোভকারীর দখলে। মোবারকের ৩০ বছরের শাসনের অবসান না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। তাঁরা নতুন করে দেশব্যাপী আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
বিরোধীদের শান্ত করার চেষ্টা মোবারক অব্যাহত রেখেছেন। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর সুলেইমান গতকাল এক সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন ভাষণে জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি পর্যালোচনায় প্রেসিডেন্ট একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দলের গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দ্বিতীয় আরেকটি কমিটি গঠনেও প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভ প্রশমনের কৌশল হিসেবে মোবারক সরকারি চাকরিজীবীদের ১৫ শতাংশ বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এপ্রিল থেকে এ বেতন কার্যকর হবে। এ ছাড়া অবসরভাতা বাড়ানোরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ৯৪ কোটি মার্কিন ডলার।
এসব সিদ্ধান্ত ছাড়াও মোবারক সহিংসতার ঘটনা তদন্তে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সরকারি দলের সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভে এ পর্যন্ত অন্তত ৩০০ জন লোক নিহত হয়েছে।
বিক্ষোভের মুখে ঢেলে সাজানো মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সোমবার বৈঠক করেছেন মোবারক। বৈঠকে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই অর্থনীতির চাকা কীভাবে সচল রাখা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সংকট নিরসনের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতার পটপরিবর্তন নিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত শক্তিশালী সংগঠন মুসলিম ব্রাদার হুডসহ কয়েকটি বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন সুলেইমান।
অব্যাহত বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা থেকে সরে না দাঁড়িয়ে মোবারক উল্টো ঘোষণা দিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের নির্বাচন পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থাকবেন। তবে ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে তিনি অঙ্গীকার করেছেন। বিরোধীরা বলেছে, বিদ্যমান সংবিধানের আওতায় কোনো নির্বাচনই বৈধ হবে না। তাই সবার আগে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে।
বিরোধীরা এখনই মোবারকের পদত্যাগ চেয়ে ওমর সুলেইমানকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। তবে সুলেইমান এ দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, তিনি মোবারককে সরিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন না।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের দুই সপ্তাহ উদ্যাপনে তাহরির স্কয়ারে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীরা নতুন করে দেশব্যাপী আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নিতে শারজাহ থেকে ছুটে এসেছেন চিকিৎ সক ইসাম শিবানা। তিনি তাহরির স্কয়ারে স্থাপিত অস্থায়ী ক্লিনিকে অসুস্থ ও আহত বিক্ষোভকারীদের সেবায় কাজ করছেন। ৩৪ বয়স্ক এই চিকিৎ সক বলেন, ‘গতকাল ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি এসে আমাকে বলেছেন, “আমরা কাপুরুষ। এত বছর ধরে আমরা যে কাজটি করতে পারিনি, আজ তুমি সেই কাজটিই করছ”।’
বিরোধীদের শান্ত করার চেষ্টা মোবারক অব্যাহত রেখেছেন। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর সুলেইমান গতকাল এক সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন ভাষণে জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি পর্যালোচনায় প্রেসিডেন্ট একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দলের গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দ্বিতীয় আরেকটি কমিটি গঠনেও প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভ প্রশমনের কৌশল হিসেবে মোবারক সরকারি চাকরিজীবীদের ১৫ শতাংশ বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এপ্রিল থেকে এ বেতন কার্যকর হবে। এ ছাড়া অবসরভাতা বাড়ানোরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ৯৪ কোটি মার্কিন ডলার।
এসব সিদ্ধান্ত ছাড়াও মোবারক সহিংসতার ঘটনা তদন্তে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সরকারি দলের সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভে এ পর্যন্ত অন্তত ৩০০ জন লোক নিহত হয়েছে।
বিক্ষোভের মুখে ঢেলে সাজানো মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সোমবার বৈঠক করেছেন মোবারক। বৈঠকে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই অর্থনীতির চাকা কীভাবে সচল রাখা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সংকট নিরসনের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতার পটপরিবর্তন নিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত শক্তিশালী সংগঠন মুসলিম ব্রাদার হুডসহ কয়েকটি বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন সুলেইমান।
অব্যাহত বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা থেকে সরে না দাঁড়িয়ে মোবারক উল্টো ঘোষণা দিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের নির্বাচন পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থাকবেন। তবে ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে তিনি অঙ্গীকার করেছেন। বিরোধীরা বলেছে, বিদ্যমান সংবিধানের আওতায় কোনো নির্বাচনই বৈধ হবে না। তাই সবার আগে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে।
বিরোধীরা এখনই মোবারকের পদত্যাগ চেয়ে ওমর সুলেইমানকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। তবে সুলেইমান এ দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, তিনি মোবারককে সরিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন না।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের দুই সপ্তাহ উদ্যাপনে তাহরির স্কয়ারে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীরা নতুন করে দেশব্যাপী আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নিতে শারজাহ থেকে ছুটে এসেছেন চিকিৎ সক ইসাম শিবানা। তিনি তাহরির স্কয়ারে স্থাপিত অস্থায়ী ক্লিনিকে অসুস্থ ও আহত বিক্ষোভকারীদের সেবায় কাজ করছেন। ৩৪ বয়স্ক এই চিকিৎ সক বলেন, ‘গতকাল ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি এসে আমাকে বলেছেন, “আমরা কাপুরুষ। এত বছর ধরে আমরা যে কাজটি করতে পারিনি, আজ তুমি সেই কাজটিই করছ”।’
No comments