ইরাকে গোপন কারাগারে ভয়াবহ বন্দী নির্যাতন
ইরাকে কয়েকটি গোপন কারাগারে বন্দীদের ওপর নিয়মিত নানাভাবে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। নারী ও শিশুদেরও রেহাই দেওয়া হয় না। নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেক বন্দী মারা গেছে। লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনটি গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে।
‘ব্রোকেন বডিস, ব্রোকেন মাইন্ডস’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইরাকের বিভিন্ন কারাগারে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩০ হাজার বন্দী রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেককে বন্দী রাখা হয়েছে গোপন কারাগারে। সে দেশের স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ওই সব গোপন কারাগার পরিচালিত হয়। সেখানে বন্দীদের কাছ থেকে কথা বের করতে নির্যাতন চালানো হয়।
এর আগে ইরাকে গোপন বন্দিশিবির থাকার ব্যাপারে প্রায় একই ধরনের তথ্য প্রকাশ করে নিউইয়র্কভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি গত শনিবার এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎ কারে এসব তথ্য ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, তাঁর দেশে এ ধরনের গোপন কোনো বন্দিশালা নেই।
মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকের কেন্দ্রীয় ফৌজদারি আদালত প্রায়ই বন্দীদের ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে সাজা দেন। অথচ ওই সব জবানবন্দি নেওয়া হয় জোরজবরদস্তি করে, নির্যাতন চালিয়ে।
বছরের পর বছর ধরে অ্যামনেস্টির সংগ্রহ করা তথ্য থেকে জানা গেছে, ওই সব গোপন কারাগারে নারী বন্দীদের ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। এ ছাড়া বন্দীদের চাবুক মারা, বৈদ্যুতিক শক দেওয়া, ড্রিল মেশিন দিয়ে শরীরে ছিদ্র করা, নখ তুলে নেওয়া, পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার মতো ভয়াবহ নির্যাতন নিয়মিত চালানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৪ সাল থেকে ইরাকের বিভিন্ন কারাগারে শিশু ও নারী নির্বিচারে এ ধরনের শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। নির্যাতনের শিকার হয়ে বেশ কয়েকজন বন্দীর মৃত্যু হয়েছে।
নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে ২০০৯ সালে ৫০৯টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে ইরাকের মানবাধিকারবিষয়ক মন্ত্রণালয় নথিভুক্ত করেছে। অ্যামনেস্টির দাবি, মন্ত্রণালয় গড় হিসেবে ওই চিত্র তুলে ধরেছে। প্রকৃতপক্ষে নির্যাতনের ঘটনা আরও অনেক বেশি।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সালের শুরু থেকে ২০১০ সালের জুলাই মাসের মধ্যে মার্কিন সেনারা লাখো বন্দীকে ইরাকি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়।
‘ব্রোকেন বডিস, ব্রোকেন মাইন্ডস’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইরাকের বিভিন্ন কারাগারে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩০ হাজার বন্দী রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেককে বন্দী রাখা হয়েছে গোপন কারাগারে। সে দেশের স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ওই সব গোপন কারাগার পরিচালিত হয়। সেখানে বন্দীদের কাছ থেকে কথা বের করতে নির্যাতন চালানো হয়।
এর আগে ইরাকে গোপন বন্দিশিবির থাকার ব্যাপারে প্রায় একই ধরনের তথ্য প্রকাশ করে নিউইয়র্কভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি গত শনিবার এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎ কারে এসব তথ্য ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, তাঁর দেশে এ ধরনের গোপন কোনো বন্দিশালা নেই।
মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকের কেন্দ্রীয় ফৌজদারি আদালত প্রায়ই বন্দীদের ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে সাজা দেন। অথচ ওই সব জবানবন্দি নেওয়া হয় জোরজবরদস্তি করে, নির্যাতন চালিয়ে।
বছরের পর বছর ধরে অ্যামনেস্টির সংগ্রহ করা তথ্য থেকে জানা গেছে, ওই সব গোপন কারাগারে নারী বন্দীদের ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। এ ছাড়া বন্দীদের চাবুক মারা, বৈদ্যুতিক শক দেওয়া, ড্রিল মেশিন দিয়ে শরীরে ছিদ্র করা, নখ তুলে নেওয়া, পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার মতো ভয়াবহ নির্যাতন নিয়মিত চালানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৪ সাল থেকে ইরাকের বিভিন্ন কারাগারে শিশু ও নারী নির্বিচারে এ ধরনের শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। নির্যাতনের শিকার হয়ে বেশ কয়েকজন বন্দীর মৃত্যু হয়েছে।
নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে ২০০৯ সালে ৫০৯টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে ইরাকের মানবাধিকারবিষয়ক মন্ত্রণালয় নথিভুক্ত করেছে। অ্যামনেস্টির দাবি, মন্ত্রণালয় গড় হিসেবে ওই চিত্র তুলে ধরেছে। প্রকৃতপক্ষে নির্যাতনের ঘটনা আরও অনেক বেশি।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সালের শুরু থেকে ২০১০ সালের জুলাই মাসের মধ্যে মার্কিন সেনারা লাখো বন্দীকে ইরাকি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়।
No comments