মাশরাফি-সিডন্স মুখোমুখি
ফিটনেস নিয়ে কথা বলবেন ফিজিও। কোচ কেন আগ বাড়িয়ে বললেন, মাশরাফি আনফিট! মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রশ্নটা এখানেই। আর এই প্রশ্ন নিয়েই কাল মুখোমুখি হয়ে গেলেন জাতীয় দলের এই পেসার ও কোচ জেমি সিডন্স। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কযুদ্ধ হয়েছে তুমুল।
সূত্র জানিয়েছে, ফিটনেস নিয়ে পরশু পত্রিকায় ছাপা হওয়া সিডন্সের বক্তব্য নিয়ে সেদিনই মাশরাফি কথা বলেছেন ফিজিও মাইকেল হেনরির সঙ্গে। হেনরি মাশরাফিকে বলেছেন, তিনি এখন অনেকটাই ফিট। কোচের এ ধরনের মন্তব্য করার কথা নয়। পরে সিডন্সের সঙ্গেও এ নিয়ে কথা হয়েছে হেনরির এবং সেই কথার সূত্র ধরে পরশু রাতে সিডন্স প্রথমে ফোন এবং পরে এসএমএস পাঠিয়েছেন মাশরাফিকে। নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে এসএমএসে সিডন্স বলেছেন, তিনি এখন ১৫ জনের দল নিয়ে ভাবলেও মাশরাফি ফিট হলে তার বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ থাকবে। এসএমএসে কোচ এ-ও বলেছেন, ‘...আমি তোমার শত্রু নই।’
কাল অনুশীলনে এসে কোচ ব্যাপারটা আরও পরিষ্কার করতে চাইলেন। ইনডোরের দরজা থেকে মাশরাফিকে টেনে নিয়ে গেলেন ভেতরে। দুজনের মধ্যে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি চলল প্রায় মিনিট বিশেক। কথা বলার সময় দূর থেকে দুজনকেই মনে হয়েছে যাঁর যাঁর বক্তব্যে অটল। সিডন্সের কথা মাশরাফি শুনলেও মানতে পারছিলেন না। মাশরাফির কথাও সিডন্স শুনছেন, হাত নেড়ে নেড়ে দিয়েছেন পাল্টা যুক্তি। আলোচনার পরিবেশ আর যা-ই হোক সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল না।
সূত্র জানিয়েছে, কথোপকথনে সিডন্স এমনও দাবি করেছেন, মাশরাফিকে ১৫ জনের দল থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তটা নির্বাচকদের। মাশরাফি দলে থাকুক, এটা তিনি শেষ পর্যন্ত চেয়েছেন। কোচের আরও দাবি, দল ঘোষণার আগে ফিটনেস নিয়ে মাশরাফির সঙ্গে সরাসরি কথা বলার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি নির্বাচকদের। নির্বাচকেরা সেটা করেননি।
বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে কোচকে তেমন কিছুই বলেননি মাশরাফি। তবে অভিযোগ তুলেছেন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের। মাশরাফিকে ৭ তারিখের মধ্যে ফিটনেস প্রমাণ করতে বলা হয়েছিল। ৫ ফেব্রুয়ারি প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে পুরো ১০ ওভার বোলিং ও ৫০ ওভার ফিল্ডিং করে মাশরাফি সেটা প্রমাণও করেছেন। অথচ এর পরদিনই কিনা কোচ বললেন, তিনি এখনো ফিট নন! মাশরাফি কোচের কাছে জানতে চেয়েছেন, আনফিট হলে তাঁকে অনুশীলনে রাখা হচ্ছে কেন? কেন অস্ত্রোপচারের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হচ্ছে না? কোচের ব্যাখ্যা, কেউ ইনজুরিতে পড়লে তার বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ আছে। কিন্তু এ কথায় আস্থা নেই মাশরাফির। সিডন্সকে বরং বলেছেন, ফিটনেস বা পারফরম্যান্স প্রমাণের ব্যাপারে কোচ কোনো চ্যালেঞ্জ জানাতে চাইলে তিনি সেটা নিতে প্রস্তুত আছেন।
কোচের সঙ্গে তর্কযুদ্ধ নিয়ে বিস্তারিত না জানালেও মাশরাফি বলেছেন, ‘আমি কোচকে বলেছি ফিটনেস নিয়ে উনি যে কথা বলেছেন, সেটা ঠিক হয়নি। এ নিয়ে কথা বলবে ফিজিও। তখন কোচও তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।’ আজ দলের সঙ্গে চট্টগ্রামে না গেলেও ঢাকায় পুনর্বাসন চলবে তাঁর। স্ট্যান্ডবাই ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে পুরোপুরি ফিট করতে চান মাশরাফি, ‘আমি নিজেও এখন আর বিশ্বকাপ খেলার আশা করি না। তবে চেষ্টা করছি পুরো ফিট হতে। কেউ যদি ইনজুরিতে পড়ে, বিসিবি যদি মনে করে আমাকে দলে নেবে, আমি যেন তৈরি থাকি।’
তাঁর ‘১৫ জনের দলের বাইরে কাউকে নিয়ে ভাবছি না’ মন্তব্যে মাশরাফি কেন চটলেন, সেটা অবশ্য বুঝতে পারছেন না সিডন্স। কাল অনুশীলন শেষে প্রকাশ করেছেন সেই বিস্ময়ই, ‘এই কথায় ও (মাশরাফি) কেন কিছু মনে করবে? আমাকে এখন দলে থাকা ১৫ খেলোয়াড়ের প্রতিই মনোযোগী হতে হবে। এর বাইরে কারও দিকে খেয়াল রাখা আমার কাজ নয়। এটা ফিজিও আর বোলিং কোচের কাজ।’ তবে ১৫ জনের দলের কেউ চোট পেলে মাশরাফির জন্য দরজাটা খোলাই রাখছেন কোচ, ‘মাশরাফি, রাজীব, অলক, সৈয়দ রাসেল—কারও দিকেই এখন আমি নজর দিতে পারব না। তবে মাশরাফিকে আমি দলে চাই। ফিট হলে সে আমাদের এক নম্বর বোলার। এখন তো তাকে অনেকটাই ফিট মনে হচ্ছে।’
সেটাই যদি হবে, মাশরাফিকে দলে না রাখাটা কি ভুলই হলো! সিডন্স কথাটা পুরোপুরি অস্বীকার করলেন না। বরং একটু যেন আফসোসই ঝরালেন কণ্ঠে, ‘জানতাম এই সময়ের মধ্যে ও ফিট হতে পারে। হয়তো একটা ভুলই করে ফেলেছি আমরা। এ নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। এক সপ্তাহ আগেও হয়তো আমি তাকে দলে নিতাম না, তবে আজ যে (গতকাল) পাঁচ-ছয় ওভার বোলিং করল, সেটা দেখলে হয়তো নিতাম।’
সকালে ইনডোরের তর্কযুদ্ধের পর বিকেলে মিরপুর স্টেডিয়ামের বাইরে ‘মাশরাফিকে বিশ্বকাপের দলে চাই’ ব্যানারে মিছিল হলো। বিশ্বকাপে না থেকেও ভালোভাবেই আছেন মাশরাফি।
সূত্র জানিয়েছে, ফিটনেস নিয়ে পরশু পত্রিকায় ছাপা হওয়া সিডন্সের বক্তব্য নিয়ে সেদিনই মাশরাফি কথা বলেছেন ফিজিও মাইকেল হেনরির সঙ্গে। হেনরি মাশরাফিকে বলেছেন, তিনি এখন অনেকটাই ফিট। কোচের এ ধরনের মন্তব্য করার কথা নয়। পরে সিডন্সের সঙ্গেও এ নিয়ে কথা হয়েছে হেনরির এবং সেই কথার সূত্র ধরে পরশু রাতে সিডন্স প্রথমে ফোন এবং পরে এসএমএস পাঠিয়েছেন মাশরাফিকে। নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে এসএমএসে সিডন্স বলেছেন, তিনি এখন ১৫ জনের দল নিয়ে ভাবলেও মাশরাফি ফিট হলে তার বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ থাকবে। এসএমএসে কোচ এ-ও বলেছেন, ‘...আমি তোমার শত্রু নই।’
কাল অনুশীলনে এসে কোচ ব্যাপারটা আরও পরিষ্কার করতে চাইলেন। ইনডোরের দরজা থেকে মাশরাফিকে টেনে নিয়ে গেলেন ভেতরে। দুজনের মধ্যে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি চলল প্রায় মিনিট বিশেক। কথা বলার সময় দূর থেকে দুজনকেই মনে হয়েছে যাঁর যাঁর বক্তব্যে অটল। সিডন্সের কথা মাশরাফি শুনলেও মানতে পারছিলেন না। মাশরাফির কথাও সিডন্স শুনছেন, হাত নেড়ে নেড়ে দিয়েছেন পাল্টা যুক্তি। আলোচনার পরিবেশ আর যা-ই হোক সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল না।
সূত্র জানিয়েছে, কথোপকথনে সিডন্স এমনও দাবি করেছেন, মাশরাফিকে ১৫ জনের দল থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তটা নির্বাচকদের। মাশরাফি দলে থাকুক, এটা তিনি শেষ পর্যন্ত চেয়েছেন। কোচের আরও দাবি, দল ঘোষণার আগে ফিটনেস নিয়ে মাশরাফির সঙ্গে সরাসরি কথা বলার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি নির্বাচকদের। নির্বাচকেরা সেটা করেননি।
বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে কোচকে তেমন কিছুই বলেননি মাশরাফি। তবে অভিযোগ তুলেছেন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের। মাশরাফিকে ৭ তারিখের মধ্যে ফিটনেস প্রমাণ করতে বলা হয়েছিল। ৫ ফেব্রুয়ারি প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে পুরো ১০ ওভার বোলিং ও ৫০ ওভার ফিল্ডিং করে মাশরাফি সেটা প্রমাণও করেছেন। অথচ এর পরদিনই কিনা কোচ বললেন, তিনি এখনো ফিট নন! মাশরাফি কোচের কাছে জানতে চেয়েছেন, আনফিট হলে তাঁকে অনুশীলনে রাখা হচ্ছে কেন? কেন অস্ত্রোপচারের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হচ্ছে না? কোচের ব্যাখ্যা, কেউ ইনজুরিতে পড়লে তার বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ আছে। কিন্তু এ কথায় আস্থা নেই মাশরাফির। সিডন্সকে বরং বলেছেন, ফিটনেস বা পারফরম্যান্স প্রমাণের ব্যাপারে কোচ কোনো চ্যালেঞ্জ জানাতে চাইলে তিনি সেটা নিতে প্রস্তুত আছেন।
কোচের সঙ্গে তর্কযুদ্ধ নিয়ে বিস্তারিত না জানালেও মাশরাফি বলেছেন, ‘আমি কোচকে বলেছি ফিটনেস নিয়ে উনি যে কথা বলেছেন, সেটা ঠিক হয়নি। এ নিয়ে কথা বলবে ফিজিও। তখন কোচও তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।’ আজ দলের সঙ্গে চট্টগ্রামে না গেলেও ঢাকায় পুনর্বাসন চলবে তাঁর। স্ট্যান্ডবাই ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে পুরোপুরি ফিট করতে চান মাশরাফি, ‘আমি নিজেও এখন আর বিশ্বকাপ খেলার আশা করি না। তবে চেষ্টা করছি পুরো ফিট হতে। কেউ যদি ইনজুরিতে পড়ে, বিসিবি যদি মনে করে আমাকে দলে নেবে, আমি যেন তৈরি থাকি।’
তাঁর ‘১৫ জনের দলের বাইরে কাউকে নিয়ে ভাবছি না’ মন্তব্যে মাশরাফি কেন চটলেন, সেটা অবশ্য বুঝতে পারছেন না সিডন্স। কাল অনুশীলন শেষে প্রকাশ করেছেন সেই বিস্ময়ই, ‘এই কথায় ও (মাশরাফি) কেন কিছু মনে করবে? আমাকে এখন দলে থাকা ১৫ খেলোয়াড়ের প্রতিই মনোযোগী হতে হবে। এর বাইরে কারও দিকে খেয়াল রাখা আমার কাজ নয়। এটা ফিজিও আর বোলিং কোচের কাজ।’ তবে ১৫ জনের দলের কেউ চোট পেলে মাশরাফির জন্য দরজাটা খোলাই রাখছেন কোচ, ‘মাশরাফি, রাজীব, অলক, সৈয়দ রাসেল—কারও দিকেই এখন আমি নজর দিতে পারব না। তবে মাশরাফিকে আমি দলে চাই। ফিট হলে সে আমাদের এক নম্বর বোলার। এখন তো তাকে অনেকটাই ফিট মনে হচ্ছে।’
সেটাই যদি হবে, মাশরাফিকে দলে না রাখাটা কি ভুলই হলো! সিডন্স কথাটা পুরোপুরি অস্বীকার করলেন না। বরং একটু যেন আফসোসই ঝরালেন কণ্ঠে, ‘জানতাম এই সময়ের মধ্যে ও ফিট হতে পারে। হয়তো একটা ভুলই করে ফেলেছি আমরা। এ নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। এক সপ্তাহ আগেও হয়তো আমি তাকে দলে নিতাম না, তবে আজ যে (গতকাল) পাঁচ-ছয় ওভার বোলিং করল, সেটা দেখলে হয়তো নিতাম।’
সকালে ইনডোরের তর্কযুদ্ধের পর বিকেলে মিরপুর স্টেডিয়ামের বাইরে ‘মাশরাফিকে বিশ্বকাপের দলে চাই’ ব্যানারে মিছিল হলো। বিশ্বকাপে না থেকেও ভালোভাবেই আছেন মাশরাফি।
No comments