বিশ্বকাপ শেষ হাসি-হরিজের
গত পরশুই মাইক হাসি বলেছিলেন, পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠবেন বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় ম্যাচের আগে। নাথান হরিজ দাবি করছিলেন, ফিট হয়ে যাবেন টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই। তবে ওই দিনই টিম নিলসেন কিন্তু বলেছিলেন বিশ্বকাপের শুরু থেকেই চান ১৫ জন ফিট ক্রিকেটার। পূরণ হলো অস্ট্রেলীয় কোচের চাওয়া। আর তাই শেষ হয়ে গেল হাসির দ্বিতীয় ও হরিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন।
এই দুজনের দুর্ভাগ্যই আবার সৌভাগ্য হয়ে এসেছে ক্যালাম ফার্গুসন ও জেসন ক্রেজার জন্য। বিশ্বকাপ তো বহুদূর, কদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলেও ছিলেন না দুজনের কেউ। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে দুটি টেস্ট খেলার পর প্রায় হারিয়ে যাওয়া ক্রেজার ওয়ানডে অভিষেকই তো হলো দুদিন আগে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে। ভাগ্য আজ দুজনকেই নিয়ে যাচ্ছে প্রথম বিশ্বকাপে।
এই সৌভাগ্য হতে পারত শন মার্শ ও জেভিয়ার ডোহার্টিরও। হাসি ও হরিজের রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে প্রথম পছন্দ ছিলেন তাঁরাই। কিন্তু বড় অসময়ে চোট সঙ্গী হয়েছে তাঁদেরও। হাসির মতোই হ্যামস্ট্রিং চোটে ভুগছেন বাঁহাতি মার্শ, আরেক বাঁহাতি ডোহার্টির চোট কাঁধে। অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকেরা তাই বাধ্য হয়েছেন তৃতীয় পছন্দের দুজনকে দলে নিতে।
হাসি-হরিজকে বাদ দেওয়ার পেছনে কোচের যুক্তির প্রতিধ্বনিই শোনা গেল প্রধান নির্বাচক অ্যান্ড্রু হিলডিচের কণ্ঠে, ‘জাতীয় নির্বাচক কমিটির মনে হয়েছে, বিশ্বকাপ অভিযান সফল করতে হলে সবচেয়ে জরুরি প্রথম ম্যাচের আগেই স্কোয়াডের সবার পুরো ফিট থাকা।’
এই দলের সবাই কিন্তু ফিট নন। আঙুলে অস্ত্রোপচারের পর এখনো পুনর্বাসন-প্রক্রিয়া চলছে অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে চোট পেয়েছেন স্টিভেন স্মিথ ও ব্র্যাড হাডিনও। তবে ফিজিও অ্যালেক্স কন্টুরি নিশ্চিত করেছেন, সময়মতোই পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠবেন এই তিনজন।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে এমন বড় ধাক্কা অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার জন্য নতুন কিছু নয়। ২০০৩ বিশ্বকাপে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ম্যাচের আগের দিন দেশে ফেরত যেতে হয়েছিল শেন ওয়ার্নকে, টুর্নামেন্টের মাঝে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন দারুণ ফর্মে থাকা জেসন গিলেস্পি। ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে ব্রেট লিকে ছিটকে দিয়েছিল চোট। কিন্তু বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্সে এর প্রভাব খুব একটা দেখা যায়নি। তবে বর্তমান বাস্তবতায় হাসিকে হারানো অস্ট্রেলিয়ার জন্য নিশ্চিতভাবেই বড় এক আঘাত।
প্রাভিনের বদলে শ্রীশান্ত: খবরটা ছড়িয়ে পড়েছিল আগের দিনই, কাল এল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। কনুইয়ের চোটে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে প্রাভিন কুমারের। প্রত্যাশা মতোই তাঁর জায়গা নিয়েছেন শ্রীশান্ত। কেরালার ২৮ বছর বয়সী পেসার ছিলেন গত বিশ্বকাপের দলেও, কিন্তু ম্যাচ খেলা হয়নি। ৫১ ওয়ানডেতে ৭৫ উইকেট পেলেও রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি ছয়ের বেশি। তবে সর্বশেষ দুই ওয়ানডেতে নিয়েছেন সাত উইকেট। বিশ্বকাপ দলে প্রথমে ঠাঁই না পেয়ে হতাশ শ্রীশান্ত বলেছিলেন, তাঁর সামনে পরের দুটো বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ তো আছে। তবে এত দিন অপেক্ষা করতে হলো না কেরালার এই পেসারকে।
এই দুজনের দুর্ভাগ্যই আবার সৌভাগ্য হয়ে এসেছে ক্যালাম ফার্গুসন ও জেসন ক্রেজার জন্য। বিশ্বকাপ তো বহুদূর, কদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলেও ছিলেন না দুজনের কেউ। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে দুটি টেস্ট খেলার পর প্রায় হারিয়ে যাওয়া ক্রেজার ওয়ানডে অভিষেকই তো হলো দুদিন আগে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে। ভাগ্য আজ দুজনকেই নিয়ে যাচ্ছে প্রথম বিশ্বকাপে।
এই সৌভাগ্য হতে পারত শন মার্শ ও জেভিয়ার ডোহার্টিরও। হাসি ও হরিজের রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে প্রথম পছন্দ ছিলেন তাঁরাই। কিন্তু বড় অসময়ে চোট সঙ্গী হয়েছে তাঁদেরও। হাসির মতোই হ্যামস্ট্রিং চোটে ভুগছেন বাঁহাতি মার্শ, আরেক বাঁহাতি ডোহার্টির চোট কাঁধে। অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকেরা তাই বাধ্য হয়েছেন তৃতীয় পছন্দের দুজনকে দলে নিতে।
হাসি-হরিজকে বাদ দেওয়ার পেছনে কোচের যুক্তির প্রতিধ্বনিই শোনা গেল প্রধান নির্বাচক অ্যান্ড্রু হিলডিচের কণ্ঠে, ‘জাতীয় নির্বাচক কমিটির মনে হয়েছে, বিশ্বকাপ অভিযান সফল করতে হলে সবচেয়ে জরুরি প্রথম ম্যাচের আগেই স্কোয়াডের সবার পুরো ফিট থাকা।’
এই দলের সবাই কিন্তু ফিট নন। আঙুলে অস্ত্রোপচারের পর এখনো পুনর্বাসন-প্রক্রিয়া চলছে অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে চোট পেয়েছেন স্টিভেন স্মিথ ও ব্র্যাড হাডিনও। তবে ফিজিও অ্যালেক্স কন্টুরি নিশ্চিত করেছেন, সময়মতোই পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠবেন এই তিনজন।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে এমন বড় ধাক্কা অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার জন্য নতুন কিছু নয়। ২০০৩ বিশ্বকাপে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ম্যাচের আগের দিন দেশে ফেরত যেতে হয়েছিল শেন ওয়ার্নকে, টুর্নামেন্টের মাঝে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন দারুণ ফর্মে থাকা জেসন গিলেস্পি। ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে ব্রেট লিকে ছিটকে দিয়েছিল চোট। কিন্তু বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্সে এর প্রভাব খুব একটা দেখা যায়নি। তবে বর্তমান বাস্তবতায় হাসিকে হারানো অস্ট্রেলিয়ার জন্য নিশ্চিতভাবেই বড় এক আঘাত।
প্রাভিনের বদলে শ্রীশান্ত: খবরটা ছড়িয়ে পড়েছিল আগের দিনই, কাল এল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। কনুইয়ের চোটে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে প্রাভিন কুমারের। প্রত্যাশা মতোই তাঁর জায়গা নিয়েছেন শ্রীশান্ত। কেরালার ২৮ বছর বয়সী পেসার ছিলেন গত বিশ্বকাপের দলেও, কিন্তু ম্যাচ খেলা হয়নি। ৫১ ওয়ানডেতে ৭৫ উইকেট পেলেও রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি ছয়ের বেশি। তবে সর্বশেষ দুই ওয়ানডেতে নিয়েছেন সাত উইকেট। বিশ্বকাপ দলে প্রথমে ঠাঁই না পেয়ে হতাশ শ্রীশান্ত বলেছিলেন, তাঁর সামনে পরের দুটো বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ তো আছে। তবে এত দিন অপেক্ষা করতে হলো না কেরালার এই পেসারকে।
No comments