বৈষম্য কমাতে শ্রমবাজারে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে
চীন ও ভারতের উন্নয়ন-অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, এই দুই দেশের জনগোষ্ঠীর মধ্যে আয়ের অসমতা বাড়ছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও দেখা যায়, উন্নয়নের পাশাপাশি আয়বৈষম্য বাড়ছে। এই বৈষম্য দূর করতে উন্নয়ন পরিকল্পনায় শ্রমবাজারকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
গতকাল মঙ্গলবার চীন ও ভারতের অভিজ্ঞতার আলোকে বিশ্বায়ন ও বৈষম্যবিষয়ক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এই সেমিনারের আয়োজন করে।
বিআইডিএস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ আর খান। বিআইডিএসের মহাপরিচালক মোস্তফা কে মুজেরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে অংশ নেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান জাইদী সাত্তার, বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক কাজী সাহাবউদ্দিন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম প্রমুখ।
এ আর খানের মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ভারত ও চীনের উন্নয়ন-অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশ দুটির মানুষের মধ্যে অসমতা বেড়েছে। তাহলে ভারত ও চীনের এ ধরনের অসমতা বিশ্বায়নের অর্থনীতিতে বিরাজমান থাকবে কি না—এ রকম প্রশ্নও রাখা হয় মূল প্রবন্ধে।
এতে আরও বলা হয়, ১৯৯১ সালে চীনে কৃষি খাতে কর্মসংস্থান ছিল ৩৯ কোটি ১০ লাখ আর শহুরে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে এর পরিমাণ ১৪ কোটি দুই লাখ। শিল্পনির্ভর উন্নয়নের ফলে ২০০৯ সালে এসে চীনে কৃষি খাতে কর্মসংস্থান কমে দাঁড়ায় ২৯ কোটি ৭১ লাখে। আর শহুরে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মসংস্থান বেড়ে দাঁড়ায় ২১ কোটি ৬৮ লাখে।
এ আর খান বলেন, ‘যেকোনো দেশের অসমতা কমাতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন। আয় বাড়াতে হবে সরাসরি শ্রমবাজারের সঙ্গে জড়িতদের। প্রতিটি দেশের পল্লি অঞ্চলে অকৃষি খাতের প্রতিষ্ঠান রয়েছে আর সেখান থেকেই মূলত অসমতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু হয়।’ তিনি আরও জানান, উচ্চ শ্রমনির্ভর বাজারের মাধ্যমে সম্পদের সুষম বণ্টন সম্ভব।
এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, অসমতা দূর করতে প্রতিটি দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক চরিত্রের ওপর নির্ভর করে পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। বাংলাদেশের মতো দেশে শ্রমনির্ভর অর্থনীতি হওয়া উচিত। এতে অসমতা দূর করা সম্ভব। আর অবশ্যই অর্থনৈতিক উন্নয়ন হওয়া উচিত চাহিদানির্ভর। তিনি আরও জানান, এশিয়ার সব দেশের অর্থনীতির চরিত্র এ রকম নয়।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অভিমত দেন, একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ করে অসমতা দূর করতে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সদিচ্ছার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।
কাজী সাহাবউদ্দিন জানান, উচ্চ আয়বৈষম্যের প্রথম ৩০টি দেশের একটি হলো চীন। বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় শহর ও গ্রামের বৈষম্য, আঞ্চলিক বৈষম্য—এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে।
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চীন ও ভারতের উন্নয়ন অভিজ্ঞায় দেখা যায়, ভারত উচ্চশিক্ষাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে আর চীন নগরায়ণকে।
মোস্তফা কে মুজেরী বলেন, ‘জনগণের মধ্যে অসমতা বেশি বাড়লে কোনো দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। তাই এখন দেখতে হবে, আমরা কতটা অসমতা সহ্য করব? অসমতা একটি পর্যায়ের ওপরে গেলে সেটা আর সহ্য করা যায় না।’ চীন ও ভারতের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার চীন ও ভারতের অভিজ্ঞতার আলোকে বিশ্বায়ন ও বৈষম্যবিষয়ক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এই সেমিনারের আয়োজন করে।
বিআইডিএস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ আর খান। বিআইডিএসের মহাপরিচালক মোস্তফা কে মুজেরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে অংশ নেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান জাইদী সাত্তার, বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক কাজী সাহাবউদ্দিন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম প্রমুখ।
এ আর খানের মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ভারত ও চীনের উন্নয়ন-অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশ দুটির মানুষের মধ্যে অসমতা বেড়েছে। তাহলে ভারত ও চীনের এ ধরনের অসমতা বিশ্বায়নের অর্থনীতিতে বিরাজমান থাকবে কি না—এ রকম প্রশ্নও রাখা হয় মূল প্রবন্ধে।
এতে আরও বলা হয়, ১৯৯১ সালে চীনে কৃষি খাতে কর্মসংস্থান ছিল ৩৯ কোটি ১০ লাখ আর শহুরে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে এর পরিমাণ ১৪ কোটি দুই লাখ। শিল্পনির্ভর উন্নয়নের ফলে ২০০৯ সালে এসে চীনে কৃষি খাতে কর্মসংস্থান কমে দাঁড়ায় ২৯ কোটি ৭১ লাখে। আর শহুরে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মসংস্থান বেড়ে দাঁড়ায় ২১ কোটি ৬৮ লাখে।
এ আর খান বলেন, ‘যেকোনো দেশের অসমতা কমাতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন। আয় বাড়াতে হবে সরাসরি শ্রমবাজারের সঙ্গে জড়িতদের। প্রতিটি দেশের পল্লি অঞ্চলে অকৃষি খাতের প্রতিষ্ঠান রয়েছে আর সেখান থেকেই মূলত অসমতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু হয়।’ তিনি আরও জানান, উচ্চ শ্রমনির্ভর বাজারের মাধ্যমে সম্পদের সুষম বণ্টন সম্ভব।
এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, অসমতা দূর করতে প্রতিটি দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক চরিত্রের ওপর নির্ভর করে পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। বাংলাদেশের মতো দেশে শ্রমনির্ভর অর্থনীতি হওয়া উচিত। এতে অসমতা দূর করা সম্ভব। আর অবশ্যই অর্থনৈতিক উন্নয়ন হওয়া উচিত চাহিদানির্ভর। তিনি আরও জানান, এশিয়ার সব দেশের অর্থনীতির চরিত্র এ রকম নয়।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অভিমত দেন, একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ করে অসমতা দূর করতে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সদিচ্ছার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।
কাজী সাহাবউদ্দিন জানান, উচ্চ আয়বৈষম্যের প্রথম ৩০টি দেশের একটি হলো চীন। বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় শহর ও গ্রামের বৈষম্য, আঞ্চলিক বৈষম্য—এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে।
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চীন ও ভারতের উন্নয়ন অভিজ্ঞায় দেখা যায়, ভারত উচ্চশিক্ষাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে আর চীন নগরায়ণকে।
মোস্তফা কে মুজেরী বলেন, ‘জনগণের মধ্যে অসমতা বেশি বাড়লে কোনো দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। তাই এখন দেখতে হবে, আমরা কতটা অসমতা সহ্য করব? অসমতা একটি পর্যায়ের ওপরে গেলে সেটা আর সহ্য করা যায় না।’ চীন ও ভারতের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি।
No comments