সীমান্ত হাট চুক্তি হবে দিল্লিতে
সীমান্ত হাট এবং বাংলাদেশি ভূখণ্ডে ভারতীয় ট্রাক প্রবেশের বিরাজমান কড়াকড়ি শিথিল করার জন্য দুটি পৃথক চুক্তি স্বাক্ষর করবে দুই দেশ। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানের নেতৃত্বে ২১ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলে ভারত সফরকালে এ দুটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।
তবে ভারতীয় ট্রাক প্রবেশের বিষয়ে কতখানি ছাড় দেওয়া হবে বা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কত দূর পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারবে, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি। বর্তমানে পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক সীমান্তে বাংলাদেশি শুল্ক স্টেশন বা স্থলবন্দর প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে পণ্য খালাস করতে পারে। এর বাইরে যেতে পারে না।
বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলটি চার দিনের সফরে আজ ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বহু প্রতীক্ষিত সীমান্ত হাট চালু করার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হবে নয়াদিল্লিতে। তবে সঠিক দিনক্ষণ জানাতে পারেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ চুক্তির খসড়া অনুমোদন করেছে।
চুক্তি অনুযায়ী, এই হাটে একজন ব্যবসায়ী দিনে ৫০ মার্কিন ডলারের বেশি পণ্য কেনাবেচা করতে পারবেন না। বাংলাদেশি ও ভারতীয় মুদ্রায় কেনাবেচা করা যাবে। দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে একটি যৌথ কমিটি সীমান্ত হাটের দেড় কিলোমিটার এলাকা তদারক করবে। পণ্য কেনাবেচা হবে শুল্কমুক্তভাবে। এতে স্থায়ী কোনো অবকাঠামো থাকবে না। হাটের বাংলাদেশ অংশে যতটুকু জায়গায় বাজার থাকবে, ভারতের অংশেও থাকবে ঠিক ততটুকুই।
জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তসংলগ্ন তিনটি স্থানে সীমান্ত হাট চালুর কথা থাকলেও আপাতত বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ ও কুড়িগ্রাম জেলার ভারতীয় সীমান্তে দুটি হাট বসবে।
প্রথম পর্যায়ে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার লাউয়ারঘর ও ভারতের কালিয়াচর এবং কুড়িগ্রাম জেলার বাজিতপুর উপজেলার বালিয়াবাড়ী ও ভারতের নলিকাতা সীমান্তে এই হাট বসবে।
বাণিজ্য প্রতিনিধিদলে সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে থাকছেন বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের নেতারা।
এই সফরকালে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বাণিজ্য সংগঠনের নেতারা সে দেশের বাজারে প্রবেশের জন্য সাফটার আওতায় ভারতীয় স্পর্শকাতর পণ্যের তালিকা আরও ছোট করার জন্য অনুরোধ জানাবেন।
ভারতে বাংলাদেশি পাটের ব্যাগ রপ্তানির ক্ষেত্রে বর্তমানে ‘বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত’ লেখাসংবলিত চিহ্ন প্রতিটি ব্যাগের গায়ে সেঁটে দেওয়ার জন্য যে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধিদলের একজন সদস্য।
সর্বোপরি অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা অপসারণের বিষয়টি বাংলাদেশের দিক থেকে জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বর্তমানে বাংলাদেশ প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের ঘাটতি মোকাবিলা করছে। এফবিসিসিআইর সংকলিত পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ভারত থেকে ৩২১ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের পণ্য আমদানির বিপরীতে সে দেশে ৩০ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
তবে ভারতীয় ট্রাক প্রবেশের বিষয়ে কতখানি ছাড় দেওয়া হবে বা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কত দূর পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারবে, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি। বর্তমানে পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক সীমান্তে বাংলাদেশি শুল্ক স্টেশন বা স্থলবন্দর প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে পণ্য খালাস করতে পারে। এর বাইরে যেতে পারে না।
বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলটি চার দিনের সফরে আজ ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বহু প্রতীক্ষিত সীমান্ত হাট চালু করার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হবে নয়াদিল্লিতে। তবে সঠিক দিনক্ষণ জানাতে পারেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ চুক্তির খসড়া অনুমোদন করেছে।
চুক্তি অনুযায়ী, এই হাটে একজন ব্যবসায়ী দিনে ৫০ মার্কিন ডলারের বেশি পণ্য কেনাবেচা করতে পারবেন না। বাংলাদেশি ও ভারতীয় মুদ্রায় কেনাবেচা করা যাবে। দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে একটি যৌথ কমিটি সীমান্ত হাটের দেড় কিলোমিটার এলাকা তদারক করবে। পণ্য কেনাবেচা হবে শুল্কমুক্তভাবে। এতে স্থায়ী কোনো অবকাঠামো থাকবে না। হাটের বাংলাদেশ অংশে যতটুকু জায়গায় বাজার থাকবে, ভারতের অংশেও থাকবে ঠিক ততটুকুই।
জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তসংলগ্ন তিনটি স্থানে সীমান্ত হাট চালুর কথা থাকলেও আপাতত বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ ও কুড়িগ্রাম জেলার ভারতীয় সীমান্তে দুটি হাট বসবে।
প্রথম পর্যায়ে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার লাউয়ারঘর ও ভারতের কালিয়াচর এবং কুড়িগ্রাম জেলার বাজিতপুর উপজেলার বালিয়াবাড়ী ও ভারতের নলিকাতা সীমান্তে এই হাট বসবে।
বাণিজ্য প্রতিনিধিদলে সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে থাকছেন বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের নেতারা।
এই সফরকালে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বাণিজ্য সংগঠনের নেতারা সে দেশের বাজারে প্রবেশের জন্য সাফটার আওতায় ভারতীয় স্পর্শকাতর পণ্যের তালিকা আরও ছোট করার জন্য অনুরোধ জানাবেন।
ভারতে বাংলাদেশি পাটের ব্যাগ রপ্তানির ক্ষেত্রে বর্তমানে ‘বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত’ লেখাসংবলিত চিহ্ন প্রতিটি ব্যাগের গায়ে সেঁটে দেওয়ার জন্য যে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধিদলের একজন সদস্য।
সর্বোপরি অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা অপসারণের বিষয়টি বাংলাদেশের দিক থেকে জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বর্তমানে বাংলাদেশ প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের ঘাটতি মোকাবিলা করছে। এফবিসিসিআইর সংকলিত পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ভারত থেকে ৩২১ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের পণ্য আমদানির বিপরীতে সে দেশে ৩০ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
No comments