ডেমোক্র্যাটদের ভরাডুবির আশঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভরাডুবির আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে। প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অন্তত ৯৯টি আসনে দলটির প্রার্থীরা ঝুঁকির মুখে। কংগ্রেসে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য রিপাবলিকান পার্টির প্রয়োজন ৩৯টি আসন। দল নিরপেক্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কমপক্ষে ৪০টি আসনে বিরোধী শিবির রিপাবলিকানদের বিজয় নিশ্চিত। এ ছাড়া আরও ৯১টি আসনে দুই দলের প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২ নভেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ডেমোক্র্যাটদের প্রচারণায় জোয়ার সৃষ্টির জন্য খোদ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মাঠে নেমেছেন। ফার্স্ব লেডি মিশেল ওবামাও প্রচারণার জন্য তহবিল সংগ্রহ অভিযানে বক্তব্য রাখছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্যস্ত রয়েছেন বিরামহীন প্রচারণায়।
মধ্যবর্তী নির্বাচনের পরিবেশ রিপাবলিকানদের জন্য অনুকূলই মনে করা হচ্ছে। রক্ষণশীলদের অঢেল অর্থ প্রবাহ, মন্দা অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসার মন্থরতা, রেকর্ড পরিমাণ লোকজনের বেকারত্ব ডেমোক্র্যাটদের জন্য নির্বাচনী মাঠ প্রতিকূল করে তুলেছে। পাশাপাশি প্রচণ্ড জনপ্রত্যাশা নিয়ে ক্ষমতায় আসা প্রেসিডেন্ট ওবামার জনপ্রিয়তাও এখন নিচের দিকে। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ‘টি-পার্টি’ নামের অরাজনৈতিক রক্ষণশীল আন্দোলন এখন রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে। বণিক সমিতিসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট মহলগুলো রিপাবলিকান প্রার্থীদের পেছনেই অর্থ ব্যয় করছে।
‘রথেন বার্ন রিপোর্ট’ নামের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোষ্ঠীর মতে, কমপক্ষে ৯১টি আসনে দুই দলের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এসব বিশ্লেষণের সূত্র ধরে পলিটিকো পত্রিকা তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ৪০ থেকে ৫০টি আসনে রিপাবলিকানরা জয়ী হতে পারে। সংখ্যাটি ৬০টি আসনেও উন্নীত হতে পারে বলে তাদের ধারণা।
নিউইয়র্কের মতো ডেমোক্র্যাট-অধ্যুষিত অঙ্গরাজ্যে অর্ধডজন আসন দলটির হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নিউইয়র্কের নগরকেন্দ্রে ডেমোক্র্যাট সমর্থক বেশি হলেও প্রান্তিক এলাকায় রাজনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। নিউইয়র্কে ডেমোক্র্যাটদের দখলে থাকা নয়টি আসন বাগিয়ে আনতে কাজ করছে রিপাবলিকানরা। এর মধ্যে অন্তত ছয়টি আসনে প্রাক্-নির্বাচনী জরিপে রিপাবলিকানরা সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে।
সবচেয়ে বেশি সংকটে রয়েছেন নবীন আইনপ্রণেতারা। ২৯ জন নবীন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতার পুনর্নির্বাচিত হয়ে আসাটা কঠিন হয়ে উঠেছে বলে পলিটিকো উল্লেখ করেছে। নবীনদের মতো অনেক ঝানু ও প্রবীণ ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাও সংকটের মুখোমুখি। এর মধ্যে কংগ্রেসে আর্মড সার্ভিসেস কমিটির চেয়ারম্যান আইক স্কেলটন (মিসৌরি) ও বাজেট কমিটির চেয়ারম্যান জন স্পার্টের (সাউথ ক্যারোলাইনা) পুনর্নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নিউইয়র্ক ছাড়াও উইসকনসিন, ইলিনয় ও আইওয়া অঙ্গরাজ্যের অন্তত ৩১টি আসনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীরা ঝুঁকির মুখে। রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের অঙ্গরাজ্যগুলোতে আরও অন্তত ২৪টি আসন ডেমোক্র্যাটদের হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কংগ্রেসের নির্বাচনী আসন ছাড়াও রিপাবলিকানরা রাজ্য গভর্নর পদে ব্যাপকভাবে জয়ী হয়ে আসার চেষ্টা করছে। ৩৭টি অঙ্গরাজ্যে গভর্নর পদে ভোট হচ্ছে এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে। ফ্লোরিডা, ওহাইয়ো, ভারমন্ট ও অরেগনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থীরা জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন।
প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট ও এনবিসি কর্তৃক প্রাক-নির্বাচনী সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, ভোটারদের ৫০ শতাংশ রিপাবলিকান প্রার্থীদের পক্ষে। আর ৪৩ শতাংশ ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের পক্ষে। জরিপে গত এক মাসে রিপাবলিকানদের পক্ষে তিন শতাংশ ভোটার বেড়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট-এর জরিপ-প্রণেতা পিটার হার্ট বলেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রিপাবলিকানরা কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণে সক্ষম হবে।
ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের সমর্থনে প্রেসিডেন্ট ওবামার একটি বেতার ভাষণ ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। বিজ্ঞাপনী এ ভাষ্যে প্রেসিডেন্ট ওবামা পশ্চাৎপদতা থেকে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জনমত জরিপে ৬৯ শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনে তাঁদের ভোট প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জন্য একটি সতর্ক বার্তা।
ডেমোক্র্যাটদের প্রচারণায় জোয়ার সৃষ্টির জন্য খোদ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মাঠে নেমেছেন। ফার্স্ব লেডি মিশেল ওবামাও প্রচারণার জন্য তহবিল সংগ্রহ অভিযানে বক্তব্য রাখছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্যস্ত রয়েছেন বিরামহীন প্রচারণায়।
মধ্যবর্তী নির্বাচনের পরিবেশ রিপাবলিকানদের জন্য অনুকূলই মনে করা হচ্ছে। রক্ষণশীলদের অঢেল অর্থ প্রবাহ, মন্দা অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসার মন্থরতা, রেকর্ড পরিমাণ লোকজনের বেকারত্ব ডেমোক্র্যাটদের জন্য নির্বাচনী মাঠ প্রতিকূল করে তুলেছে। পাশাপাশি প্রচণ্ড জনপ্রত্যাশা নিয়ে ক্ষমতায় আসা প্রেসিডেন্ট ওবামার জনপ্রিয়তাও এখন নিচের দিকে। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ‘টি-পার্টি’ নামের অরাজনৈতিক রক্ষণশীল আন্দোলন এখন রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে। বণিক সমিতিসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট মহলগুলো রিপাবলিকান প্রার্থীদের পেছনেই অর্থ ব্যয় করছে।
‘রথেন বার্ন রিপোর্ট’ নামের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোষ্ঠীর মতে, কমপক্ষে ৯১টি আসনে দুই দলের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এসব বিশ্লেষণের সূত্র ধরে পলিটিকো পত্রিকা তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ৪০ থেকে ৫০টি আসনে রিপাবলিকানরা জয়ী হতে পারে। সংখ্যাটি ৬০টি আসনেও উন্নীত হতে পারে বলে তাদের ধারণা।
নিউইয়র্কের মতো ডেমোক্র্যাট-অধ্যুষিত অঙ্গরাজ্যে অর্ধডজন আসন দলটির হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নিউইয়র্কের নগরকেন্দ্রে ডেমোক্র্যাট সমর্থক বেশি হলেও প্রান্তিক এলাকায় রাজনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। নিউইয়র্কে ডেমোক্র্যাটদের দখলে থাকা নয়টি আসন বাগিয়ে আনতে কাজ করছে রিপাবলিকানরা। এর মধ্যে অন্তত ছয়টি আসনে প্রাক্-নির্বাচনী জরিপে রিপাবলিকানরা সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে।
সবচেয়ে বেশি সংকটে রয়েছেন নবীন আইনপ্রণেতারা। ২৯ জন নবীন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতার পুনর্নির্বাচিত হয়ে আসাটা কঠিন হয়ে উঠেছে বলে পলিটিকো উল্লেখ করেছে। নবীনদের মতো অনেক ঝানু ও প্রবীণ ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাও সংকটের মুখোমুখি। এর মধ্যে কংগ্রেসে আর্মড সার্ভিসেস কমিটির চেয়ারম্যান আইক স্কেলটন (মিসৌরি) ও বাজেট কমিটির চেয়ারম্যান জন স্পার্টের (সাউথ ক্যারোলাইনা) পুনর্নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নিউইয়র্ক ছাড়াও উইসকনসিন, ইলিনয় ও আইওয়া অঙ্গরাজ্যের অন্তত ৩১টি আসনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীরা ঝুঁকির মুখে। রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের অঙ্গরাজ্যগুলোতে আরও অন্তত ২৪টি আসন ডেমোক্র্যাটদের হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কংগ্রেসের নির্বাচনী আসন ছাড়াও রিপাবলিকানরা রাজ্য গভর্নর পদে ব্যাপকভাবে জয়ী হয়ে আসার চেষ্টা করছে। ৩৭টি অঙ্গরাজ্যে গভর্নর পদে ভোট হচ্ছে এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে। ফ্লোরিডা, ওহাইয়ো, ভারমন্ট ও অরেগনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থীরা জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন।
প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট ও এনবিসি কর্তৃক প্রাক-নির্বাচনী সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, ভোটারদের ৫০ শতাংশ রিপাবলিকান প্রার্থীদের পক্ষে। আর ৪৩ শতাংশ ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের পক্ষে। জরিপে গত এক মাসে রিপাবলিকানদের পক্ষে তিন শতাংশ ভোটার বেড়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট-এর জরিপ-প্রণেতা পিটার হার্ট বলেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রিপাবলিকানরা কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণে সক্ষম হবে।
ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের সমর্থনে প্রেসিডেন্ট ওবামার একটি বেতার ভাষণ ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। বিজ্ঞাপনী এ ভাষ্যে প্রেসিডেন্ট ওবামা পশ্চাৎপদতা থেকে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জনমত জরিপে ৬৯ শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনে তাঁদের ভোট প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জন্য একটি সতর্ক বার্তা।
No comments