কারণ খুঁজছে নিউজিল্যান্ড
জিওফ অ্যালটের কথা শুনে তাঁকে মনে হচ্ছে ঝড়ে পড়া উটপাখি। বালুর ঢিবিতে মুখ লুকিয়ে খুঁজছেন আশ্রয়। বাংলাদেশের কাছে ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ হারটাকেও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেডসি) মহাব্যবস্থাপক কিনা বলছেন সামান্য ‘হোঁচট’ মাত্র! এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই! মুখে অ্যালট যতই নির্ভারতার বারতা দিতে চান, ভেতরে ভেতরে কিন্তু ঠিকই তোলপাড় চলছে। না হলে কি আগামীকাল জরুরি বৈঠক ডাকে এনজেডসি!
সেই সভাতেই কি বিদায় বলে দেওয়া হবে কোচ মার্ক গ্রেটব্যাচকে? অ্যালট অবশ্য কোনো ‘বলির পাঁঠা’ না খুঁজে সবাই মিলে দায় নেওয়ার পক্ষে, ‘যা হয়েছে এর জন্য আমরা সবাই দায়ী। তার পরও আমরা মনে করি, বিশ্বকাপের জন্য আমাদের এই মুহূর্তে সেরা খেলোয়াড় আর সেরা কাঠামোটিই আছে। মানছি বিশ্বকাপ লক্ষ্যের দিকে এগোতে গিয়ে সামান্য হোঁচট খেয়েছি আমরা। এখন এই সমস্যাটিরই সমাধান করতে হবে।’
বিশ্বকাপ সামনে রেখে নিউজিল্যান্ড ভারতীয় উপমহাদেশে একের পর সফর করছে। আগস্টে শ্রীলঙ্কায় খেলেছে ত্রিদেশীয় সিরিজ। এরপর বাংলাদেশ সফর। কদিন পরই আবার যাচ্ছে ভারত সফরে। অ্যালটের দৃঢ়বিশ্বাস, আগামী ভারত সফরেই ঘুরে দাঁড়াবে দল, ‘অতীতেও এমন পরিস্থিতির মধ্যে আমরা পড়েছিলাম, কিন্তু দ্রুত সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এখনকার পরিস্থিতি অতটা ভয়াবহ কিছু নয়। তার পরও এখান থেকেই আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’
অ্যালটের কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, সাবেক ক্রিকেটার ও সংবাদমাধ্যম যতই সমালোচনামুখর হোক, বোর্ড অন্তত প্রকাশ্যে দলের পাশেই দাঁড়াচ্ছে। তবে আগামীকাল ওয়েলিংটনের জরুরি বৈঠকে কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখিই হওয়ার কথা ভেট্টোরিদের। কিউই অধিনায়ক ছাড়াও ওই বৈঠকে ডেকে পাঠানো হয়েছে কোচ মার্ক গ্রেটব্যাচ ও হাই পারফরম্যান্স পরিচালক রজার মোরটাইমারকে। বাংলাদেশের পর দেশে ফিরেও ভেট্টোরি যেসব কথাবার্তা বলেছেন, তাতে তিনি কী বলবেন সেটি অনুমান করাই যায়। বোর্ডকে আশ্বস্ত করবেন খেলোয়াড়েরা তাঁদের সবটুকু নিংড়ে দিয়েই পরিশ্রম করেছেন। জাতীয় দলের বর্তমান কাঠামোতেও কোনো গলদ নেই। বাংলাদেশে এই বিপর্যয়ের মূল কারণ ব্যাটিং-ব্যর্থতা।
বাংলাদেশ সফরে বোলিংকে দশের মধ্যে সাত দিয়েছেন ভেট্টোরি। ব্যাটিং যে বলতে গেলে নম্বরই পায়নি, সেটি বোঝা যাচ্ছে দেশে ফিরে এক রেডিও সাক্ষাৎকারে বলা কথায়, ‘আমরা ভুল থেকে শিখিনি, কন্ডিশনের সঙ্গেও খাপ খাইয়ে নিতে পারিনি। বিশেষ করে বাঁহাতি স্পিনের বিপক্ষে আমাদের খেলা ছিল প্রত্যাশা থেকে অনেক দূরে। এ কারণেই প্রায় সময়ই ৬০ রানের মধ্যে ৫ উইকেট নেই—এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে।’
কথা উঠছে ভেট্টোরিকে নিয়েও। সমালোচনার চেয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবশ্য সহানুভূতিই তিনি পাচ্ছেন বেশি। দলের নির্বাচক, অধিনায়ক, মূল বোলার তো বটেই, ইদানীং ব্যাটিংয়েও ভেট্টোরির ওপর দল নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে অনেক বেশি। তার ওপর থেকে চাপ কমানোর কথা উঠেছে। ভেট্টোরি অবশ্য বলেছেন, একটা সিরিজে দল ব্যর্থ হয়েছে বলেই এই কথাগুলো উঠছে। বর্তমান কাঠামোর কোনো সমস্যাও তিনি দেখছেন না। ‘সিস্টেম’ নিয়ে বেশি মাথা না ঘামিয়ে খেলোয়াড়দের, বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের জেগে ওঠাটাকেই এই বিপর্যয় থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে দেখছেন ভেট্টোরি।
সেই সভাতেই কি বিদায় বলে দেওয়া হবে কোচ মার্ক গ্রেটব্যাচকে? অ্যালট অবশ্য কোনো ‘বলির পাঁঠা’ না খুঁজে সবাই মিলে দায় নেওয়ার পক্ষে, ‘যা হয়েছে এর জন্য আমরা সবাই দায়ী। তার পরও আমরা মনে করি, বিশ্বকাপের জন্য আমাদের এই মুহূর্তে সেরা খেলোয়াড় আর সেরা কাঠামোটিই আছে। মানছি বিশ্বকাপ লক্ষ্যের দিকে এগোতে গিয়ে সামান্য হোঁচট খেয়েছি আমরা। এখন এই সমস্যাটিরই সমাধান করতে হবে।’
বিশ্বকাপ সামনে রেখে নিউজিল্যান্ড ভারতীয় উপমহাদেশে একের পর সফর করছে। আগস্টে শ্রীলঙ্কায় খেলেছে ত্রিদেশীয় সিরিজ। এরপর বাংলাদেশ সফর। কদিন পরই আবার যাচ্ছে ভারত সফরে। অ্যালটের দৃঢ়বিশ্বাস, আগামী ভারত সফরেই ঘুরে দাঁড়াবে দল, ‘অতীতেও এমন পরিস্থিতির মধ্যে আমরা পড়েছিলাম, কিন্তু দ্রুত সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এখনকার পরিস্থিতি অতটা ভয়াবহ কিছু নয়। তার পরও এখান থেকেই আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’
অ্যালটের কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, সাবেক ক্রিকেটার ও সংবাদমাধ্যম যতই সমালোচনামুখর হোক, বোর্ড অন্তত প্রকাশ্যে দলের পাশেই দাঁড়াচ্ছে। তবে আগামীকাল ওয়েলিংটনের জরুরি বৈঠকে কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখিই হওয়ার কথা ভেট্টোরিদের। কিউই অধিনায়ক ছাড়াও ওই বৈঠকে ডেকে পাঠানো হয়েছে কোচ মার্ক গ্রেটব্যাচ ও হাই পারফরম্যান্স পরিচালক রজার মোরটাইমারকে। বাংলাদেশের পর দেশে ফিরেও ভেট্টোরি যেসব কথাবার্তা বলেছেন, তাতে তিনি কী বলবেন সেটি অনুমান করাই যায়। বোর্ডকে আশ্বস্ত করবেন খেলোয়াড়েরা তাঁদের সবটুকু নিংড়ে দিয়েই পরিশ্রম করেছেন। জাতীয় দলের বর্তমান কাঠামোতেও কোনো গলদ নেই। বাংলাদেশে এই বিপর্যয়ের মূল কারণ ব্যাটিং-ব্যর্থতা।
বাংলাদেশ সফরে বোলিংকে দশের মধ্যে সাত দিয়েছেন ভেট্টোরি। ব্যাটিং যে বলতে গেলে নম্বরই পায়নি, সেটি বোঝা যাচ্ছে দেশে ফিরে এক রেডিও সাক্ষাৎকারে বলা কথায়, ‘আমরা ভুল থেকে শিখিনি, কন্ডিশনের সঙ্গেও খাপ খাইয়ে নিতে পারিনি। বিশেষ করে বাঁহাতি স্পিনের বিপক্ষে আমাদের খেলা ছিল প্রত্যাশা থেকে অনেক দূরে। এ কারণেই প্রায় সময়ই ৬০ রানের মধ্যে ৫ উইকেট নেই—এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে।’
কথা উঠছে ভেট্টোরিকে নিয়েও। সমালোচনার চেয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবশ্য সহানুভূতিই তিনি পাচ্ছেন বেশি। দলের নির্বাচক, অধিনায়ক, মূল বোলার তো বটেই, ইদানীং ব্যাটিংয়েও ভেট্টোরির ওপর দল নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে অনেক বেশি। তার ওপর থেকে চাপ কমানোর কথা উঠেছে। ভেট্টোরি অবশ্য বলেছেন, একটা সিরিজে দল ব্যর্থ হয়েছে বলেই এই কথাগুলো উঠছে। বর্তমান কাঠামোর কোনো সমস্যাও তিনি দেখছেন না। ‘সিস্টেম’ নিয়ে বেশি মাথা না ঘামিয়ে খেলোয়াড়দের, বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের জেগে ওঠাটাকেই এই বিপর্যয় থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে দেখছেন ভেট্টোরি।
No comments