কাউন্সিলরদের অভিযোগ তদন্ত করুন -চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১০ জন কাউন্সিলর গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন: তাঁদের দায়িত্ব পালনের অবস্থা ‘ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দারের মতো’। বলা বাহুল্য, এই কাউন্সিলররা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, চট্টগ্রাম মহানগরের বাসিন্দাদের প্রত্যক্ষ ভোটে তাঁরা নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁরা বলছেন, সিটি করপোরেশন পরিচালনায় তাঁদের কোনো ক্ষমতা নেই; সংস্থাটির আয়-ব্যয়ের বিষয়ে সাধারণ সভায় তাঁরা কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেন না।
স্থানীয় সরকারব্যবস্থার ধারণায় জনসাধারণের প্রতিনিধিত্বই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেখানে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের যথার্থ অংশগ্রহণের মাধ্যমে সব ধরনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে, আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে—এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় সুস্পষ্ট। মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে একক ক্ষমতা প্রয়োগ, ভিন্নমত পোষণকারী কাউন্সিলরদের কোণঠাসা করা, এমনকি অপমান-লাঞ্ছনা করার অভিযোগও একাধিকবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। গত শুক্রবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১০ জন কাউন্সিলর সংবাদ সম্মেলন ডেকে অভিযোগ তুলেছেন, বিভিন্ন প্রকল্পের নামে জনগণের অর্থের অপচয় ও লুটপাট করা হচ্ছে। তাঁরা সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন প্রকল্পের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন এবং সেগুলোর লাভ-লোকসানের হিসাব চেয়েছেন।
এগুলো গুরুতর অভিযোগ। চট্টগ্রাম মহানগরের মানুষ তাঁদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের উত্থাপিত এসব অভিযোগের ব্যাখ্যা অবশ্যই প্রত্যাশা করতে পারেন। মেয়রের উচিত, একা বা শুধু নিজের অনুগত কাউন্সিলরদের নিয়ে সিটি করপোরেশন পরিচালনার ঝোঁক ত্যাগ করে নির্বাচিত সব জনপ্রতিনিধিকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা। বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের আগেও সবাই মিলে আলোচনা-পরামর্শ করা উচিত; অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মাত্রায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা অবশ্যকর্তব্য। দৃষ্টান্তস্বরূপ, লালদীঘিতে সুইমিংপুল নির্মাণের ব্যাপারে মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘চট্টগ্রামের সৌন্দর্য বাড়াতে লালদীঘিতে সুইমিংপুল নির্মাণ করছি। চারদিকে বলা হচ্ছে, আমি নাকি দীঘি ভরাট করে ফেলছি।’ প্রশ্ন হচ্ছে, এ রকম কথা কেন বলা হচ্ছে? লালদীঘিতে সুইমিংপুল বা যেকোনো স্থাপনা নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় সবার সঙ্গে আলোচনা করা হলে তো এমন প্রশ্ন উঠত না।
আমরা মনে করি, ১০ জন নির্বাচিত কাউন্সিলর যেসব অভিযোগ তুলেছেন, সেগুলোর তদন্ত হওয়া উচিত। তাঁরা সিটি করপোরেশনের যেসব প্রকল্পের আয়-ব্যয়ের হিসাব জানতে চেয়েছেন, সেগুলোর হিসাব প্রকাশ করা মেয়রের অবশ্যকর্তব্য। শুধু নির্বাচিত কাউন্সিলররাই নন, সিটি করপোরেশনের সাধারণ নাগরিকদেরও অধিকার রয়েছে তাঁদের করের অর্থ কীভাবে ব্যয় করা হচ্ছে, তা জানার। সাধারণ নাগরিকদের পক্ষ থেকে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির দাবি তাঁদের নির্বাচিত কাউন্সিলরদের অবস্থানকে শক্তি জোগাতে পারে।
স্থানীয় সরকারব্যবস্থার ধারণায় জনসাধারণের প্রতিনিধিত্বই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেখানে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের যথার্থ অংশগ্রহণের মাধ্যমে সব ধরনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে, আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে—এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় সুস্পষ্ট। মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে একক ক্ষমতা প্রয়োগ, ভিন্নমত পোষণকারী কাউন্সিলরদের কোণঠাসা করা, এমনকি অপমান-লাঞ্ছনা করার অভিযোগও একাধিকবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। গত শুক্রবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১০ জন কাউন্সিলর সংবাদ সম্মেলন ডেকে অভিযোগ তুলেছেন, বিভিন্ন প্রকল্পের নামে জনগণের অর্থের অপচয় ও লুটপাট করা হচ্ছে। তাঁরা সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন প্রকল্পের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন এবং সেগুলোর লাভ-লোকসানের হিসাব চেয়েছেন।
এগুলো গুরুতর অভিযোগ। চট্টগ্রাম মহানগরের মানুষ তাঁদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের উত্থাপিত এসব অভিযোগের ব্যাখ্যা অবশ্যই প্রত্যাশা করতে পারেন। মেয়রের উচিত, একা বা শুধু নিজের অনুগত কাউন্সিলরদের নিয়ে সিটি করপোরেশন পরিচালনার ঝোঁক ত্যাগ করে নির্বাচিত সব জনপ্রতিনিধিকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা। বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের আগেও সবাই মিলে আলোচনা-পরামর্শ করা উচিত; অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মাত্রায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা অবশ্যকর্তব্য। দৃষ্টান্তস্বরূপ, লালদীঘিতে সুইমিংপুল নির্মাণের ব্যাপারে মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘চট্টগ্রামের সৌন্দর্য বাড়াতে লালদীঘিতে সুইমিংপুল নির্মাণ করছি। চারদিকে বলা হচ্ছে, আমি নাকি দীঘি ভরাট করে ফেলছি।’ প্রশ্ন হচ্ছে, এ রকম কথা কেন বলা হচ্ছে? লালদীঘিতে সুইমিংপুল বা যেকোনো স্থাপনা নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় সবার সঙ্গে আলোচনা করা হলে তো এমন প্রশ্ন উঠত না।
আমরা মনে করি, ১০ জন নির্বাচিত কাউন্সিলর যেসব অভিযোগ তুলেছেন, সেগুলোর তদন্ত হওয়া উচিত। তাঁরা সিটি করপোরেশনের যেসব প্রকল্পের আয়-ব্যয়ের হিসাব জানতে চেয়েছেন, সেগুলোর হিসাব প্রকাশ করা মেয়রের অবশ্যকর্তব্য। শুধু নির্বাচিত কাউন্সিলররাই নন, সিটি করপোরেশনের সাধারণ নাগরিকদেরও অধিকার রয়েছে তাঁদের করের অর্থ কীভাবে ব্যয় করা হচ্ছে, তা জানার। সাধারণ নাগরিকদের পক্ষ থেকে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির দাবি তাঁদের নির্বাচিত কাউন্সিলরদের অবস্থানকে শক্তি জোগাতে পারে।
No comments