ধর্মঘটে নেপাল অচল
নেপালে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে মাওবাদীদের ডাকা ধর্মঘটে গোটা দেশ অচল হয়ে পড়েছে। শনিবার মে দিবসে কাঠমান্ডুতে লাখ লাখ কর্মী-সমর্থক বিক্ষোভ, শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করার পর গতকাল রোববার থেকে তারা দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট কর্মসূচি শুরু করে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপাল পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর তারা গতকাল পুরোদমে ধর্মঘট পালন শুরু করে। মাওবাদীরা বলেছে, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা থেকে সরে না দাঁড়ানো পর্যন্ত তারা ধর্মঘট চালিয়ে যাবে। খবর এএফপি।
সংবাদকর্মীরা জানিয়েছেন, স্বতস্ফূর্ত ধর্মঘটে প্রায় সমগ্র দেশ অচল হয়ে পড়েছে। বড় বড় মহাসড়ক থেকে শুরু করে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সব সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। গতকাল কলকারখানা, দোকানপাট, সরকারি ও বেসরকারি কার্যালয় বন্ধ ছিল। সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দ্বাদশ শ্রেণীর নির্ধারিত পরীক্ষা মুলতবি করা হয়েছে। মাওবাদীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রোগী বহনকারী গাড়ি, সাধারণ অ্যাম্বুলেন্স এবং সংবাদকর্মী ও বিদেশি পর্যটকদের গাড়ি তারা আটকাচ্ছে না। সাধারণ মানুষ যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে পারে, সে জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মার্কেট ও দোকান খুলতে দেওয়া হবে।
গতকাল হাজার হাজার মাওবাদী কর্মী-সমর্থককে লাল পতাকা, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে মিছিল ও পদযাত্রা করতে দেখা যায়। কাঠমান্ডুর রাজপথে ছিল ‘লালের স্রোত’। কর্মী-সমর্থকদের মুহুর্মুহু সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়। কোথাও কোথাও বিক্ষোভকারীদের এক জায়গায় জড়ে হয়ে নাচে-গানে মেতে উঠতে দেখা যায়।
২০০৬ সালে এক শান্তিচুক্তি অনুযায়ী মাওবাদী গেরিলারা অস্ত্র সমর্পণ করে মূলধারার রাজনীতিতে যুক্ত হয়। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২৮ মের মধ্যে নেপালে নতুন সংবিধান চালু করার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংবিধানের খসড়া প্রণয়নে আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ায় মাওবাদীরা এ আন্দোলনের ডাক দেয়। তাদের অভিযোগ, সরকার চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আন্তরিক নয় এবং সে কারণেই তারা সংবিধান নিয়ে গড়িমসি করছে।
মাওবাদী প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ড বলেছেন, মাধব কুমার নেপাল প্রধানমন্ত্রীর আসন থেকে সরে না দাঁড়ানো পর্যন্ত তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন। প্রচণ্ড অভিযোগ করেছেন, ভুটানে সার্ক সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপালের বৈঠক হয়েছে। সেখানে মনমোহন সিং মাধব কুমারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁর সমর্থন পেয়েই মাধব গদি ছাড়তে রাজি হচ্ছেন না।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নিজের দল সিপিএন-ইউএমএলের শীর্ষ ৬০ জন নেতা তাঁকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা তাঁর পদত্যাগ চেয়ে দলের সভাপতি ঝালানাথ কনলের কাছে একটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, সংবিধান প্রণয়নের বিষয়ে তাঁদের হাতে খুব কম সময় রয়েছে। এ অবস্থায় বিক্ষোভকারীদের দাবি না মেনে তাদের সঙ্গে সংঘাতে গেলে দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর সরে দাঁড়ানো উচিত।
এদিকে গতকাল পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মহেন্দ্রনগরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনা ছাড়া দেশের অন্য কোথাও তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
মাওবাদী নেত্রী ও সাংসদ সবিতা বুড়া বলেছেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে চান। তবে নিরাপত্তা বাহিনী তাঁদের দমনের চেষ্টা করলে তাঁরা তার প্রতিবাদ করবেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৫ হাজার নিরাপত্তাকর্মী মাঠে নামানো হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদকর্মীরা জানিয়েছেন, স্বতস্ফূর্ত ধর্মঘটে প্রায় সমগ্র দেশ অচল হয়ে পড়েছে। বড় বড় মহাসড়ক থেকে শুরু করে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সব সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। গতকাল কলকারখানা, দোকানপাট, সরকারি ও বেসরকারি কার্যালয় বন্ধ ছিল। সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দ্বাদশ শ্রেণীর নির্ধারিত পরীক্ষা মুলতবি করা হয়েছে। মাওবাদীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রোগী বহনকারী গাড়ি, সাধারণ অ্যাম্বুলেন্স এবং সংবাদকর্মী ও বিদেশি পর্যটকদের গাড়ি তারা আটকাচ্ছে না। সাধারণ মানুষ যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে পারে, সে জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মার্কেট ও দোকান খুলতে দেওয়া হবে।
গতকাল হাজার হাজার মাওবাদী কর্মী-সমর্থককে লাল পতাকা, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে মিছিল ও পদযাত্রা করতে দেখা যায়। কাঠমান্ডুর রাজপথে ছিল ‘লালের স্রোত’। কর্মী-সমর্থকদের মুহুর্মুহু সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়। কোথাও কোথাও বিক্ষোভকারীদের এক জায়গায় জড়ে হয়ে নাচে-গানে মেতে উঠতে দেখা যায়।
২০০৬ সালে এক শান্তিচুক্তি অনুযায়ী মাওবাদী গেরিলারা অস্ত্র সমর্পণ করে মূলধারার রাজনীতিতে যুক্ত হয়। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২৮ মের মধ্যে নেপালে নতুন সংবিধান চালু করার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংবিধানের খসড়া প্রণয়নে আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ায় মাওবাদীরা এ আন্দোলনের ডাক দেয়। তাদের অভিযোগ, সরকার চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আন্তরিক নয় এবং সে কারণেই তারা সংবিধান নিয়ে গড়িমসি করছে।
মাওবাদী প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ড বলেছেন, মাধব কুমার নেপাল প্রধানমন্ত্রীর আসন থেকে সরে না দাঁড়ানো পর্যন্ত তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন। প্রচণ্ড অভিযোগ করেছেন, ভুটানে সার্ক সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপালের বৈঠক হয়েছে। সেখানে মনমোহন সিং মাধব কুমারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁর সমর্থন পেয়েই মাধব গদি ছাড়তে রাজি হচ্ছেন না।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নিজের দল সিপিএন-ইউএমএলের শীর্ষ ৬০ জন নেতা তাঁকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা তাঁর পদত্যাগ চেয়ে দলের সভাপতি ঝালানাথ কনলের কাছে একটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, সংবিধান প্রণয়নের বিষয়ে তাঁদের হাতে খুব কম সময় রয়েছে। এ অবস্থায় বিক্ষোভকারীদের দাবি না মেনে তাদের সঙ্গে সংঘাতে গেলে দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর সরে দাঁড়ানো উচিত।
এদিকে গতকাল পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মহেন্দ্রনগরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনা ছাড়া দেশের অন্য কোথাও তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
মাওবাদী নেত্রী ও সাংসদ সবিতা বুড়া বলেছেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে চান। তবে নিরাপত্তা বাহিনী তাঁদের দমনের চেষ্টা করলে তাঁরা তার প্রতিবাদ করবেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৫ হাজার নিরাপত্তাকর্মী মাঠে নামানো হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
No comments