যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ by ইব্রাহীম চৌধুরী
অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে প্রণীত অভিবাসনবিরোধী কালো আইনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে।
গত রোববার অ্যারিজোনার ফিনিক্স নগরে অভিবাসীদের বিশাল বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে। রাজ্য ভবনের সামনে হাজার হাজার জনতার বিক্ষোভ সমাবেশটি ছিল শান্তিপূর্ণ।
সমাবেশে অংশ নেওয়া ডেমোক্রেটদলীয় কংগ্রেসম্যান এবং বিশিষ্ট মানবাধিকার সংগঠক রাউল গ্রিজালভা বলেছেন, ‘বৈষম্যমূলক অভিবাসন আইনের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াব।’ তিনি অভিবাসনবিরোধী এ আইনটি বাতিলের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। সুদূর টেক্সাসসহ অন্য অঙ্গরাজ্যথেকে লোকজন এসে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়েছে। এ ছাড়া নিউইয়র্ক, ফ্লোরিডা, নিউজার্সিসহ বেশ কয়েকটি স্থানে অভিবাসীরা অভিবাসনবিরোধী আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে।
নিউইয়র্কে আয়োজিত এক সমাবেশে মানবাধিকার সংগঠক আল শার্পটন বলেছেন, ‘১৯৬০ সালের মানবাধিকার আন্দোলনের মতো সংগ্রামে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ব।’ অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে প্রণীত আইনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করার ঘোষণা দেন আল শার্পটন। অভিবাসনবিরোধী আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ পদযাত্রার কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্য সরকারের প্রণয়ন করা আইনকে বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। অভিবাসনবিষয়ক আইনটি সংবিধান সম্মত কি না, যাচাই করার জন্য বিচার বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গত শুক্রবার অ্যারিজোনার গভর্নর অভিবাসনবিরোধী আইনের অনুমোদন দিয়েছেন। গভর্নর জেন ব্রিউয়ার বলেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সংরক্ষণের স্বার্থেই আইনটির প্রয়োগ হবে। নতুন আইনে রাজ্য পুলিশ সন্দেহজনকভাবে যেকোনো ব্যক্তিকে তল্লাশি করতে পারবে। পুলিশ যেকোনো ব্যক্তির গ্রিনকার্ড পরীক্ষা করতে পারবে। গ্রিনকার্ড প্রদর্শনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার এবং বহিষ্কারের ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশকে।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্য কোনো অঙ্গরাজ্যে অভিবাসনবিরোধী এমন আইন নেই। অ্যারিজোনার পর অভিবাসনবিরোধী এ ধরনের আইন অন্যান্য অঙ্গরাজ্যেও প্রণীত হতে পারে—এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভেঙে পড়া অভিবাসনব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দীর্ঘসূত্রতার সুযোগ নিচ্ছে রক্ষণশীল অভিবাসনবিরোধীরা। সম্প্রতি রক্ষণশীলদের ব্যবস্থাপনায় ‘টি-পার্টি’ আন্দোলনে অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে রক্ষণশীলদের উচ্চকণ্ঠ হতে দেখা যাচ্ছে।
কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত প্রভাবশালী ডেমোক্রেটদলীয় কংগ্রেসম্যান ক্রিসটোফার ডড বলেছেন, অভিবাসন সংস্কার নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনপ্রণেতাদের দ্রুত সক্রিয় হতে হবে। অন্যথায় অন্যান্য অঙ্গরাজ্যেও অভিবাসনবিরোধী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ক্রিসটোফার ডড এনবিসি টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগের অভাবে রাজ্য সরকারগুলো নিজেদের মতো আইন প্রণয়নের সুযোগ গ্রহণ করছে।
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকান দলীয় নেতা সিনেটর মিচ ম্যাককনেল ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘অভিবাসন নিয়ে কথা বলার উপযুক্ত সময় এখন নয়। দেশে যখন বেকারত্বের হার ১০ শতাংশ, তখন অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা সিনেটর হেরি রিড অবশ্য অভিবাসন সংস্কার নিয়ে দ্রুত তৎপর হওয়ার জন্য নিজ দলের আইনপ্রণেতাদের তাগিদ দিয়েছেন।
গত রোববার অ্যারিজোনার ফিনিক্স নগরে অভিবাসীদের বিশাল বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে। রাজ্য ভবনের সামনে হাজার হাজার জনতার বিক্ষোভ সমাবেশটি ছিল শান্তিপূর্ণ।
সমাবেশে অংশ নেওয়া ডেমোক্রেটদলীয় কংগ্রেসম্যান এবং বিশিষ্ট মানবাধিকার সংগঠক রাউল গ্রিজালভা বলেছেন, ‘বৈষম্যমূলক অভিবাসন আইনের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াব।’ তিনি অভিবাসনবিরোধী এ আইনটি বাতিলের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। সুদূর টেক্সাসসহ অন্য অঙ্গরাজ্যথেকে লোকজন এসে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়েছে। এ ছাড়া নিউইয়র্ক, ফ্লোরিডা, নিউজার্সিসহ বেশ কয়েকটি স্থানে অভিবাসীরা অভিবাসনবিরোধী আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে।
নিউইয়র্কে আয়োজিত এক সমাবেশে মানবাধিকার সংগঠক আল শার্পটন বলেছেন, ‘১৯৬০ সালের মানবাধিকার আন্দোলনের মতো সংগ্রামে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ব।’ অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে প্রণীত আইনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করার ঘোষণা দেন আল শার্পটন। অভিবাসনবিরোধী আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ পদযাত্রার কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্য সরকারের প্রণয়ন করা আইনকে বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। অভিবাসনবিষয়ক আইনটি সংবিধান সম্মত কি না, যাচাই করার জন্য বিচার বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গত শুক্রবার অ্যারিজোনার গভর্নর অভিবাসনবিরোধী আইনের অনুমোদন দিয়েছেন। গভর্নর জেন ব্রিউয়ার বলেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সংরক্ষণের স্বার্থেই আইনটির প্রয়োগ হবে। নতুন আইনে রাজ্য পুলিশ সন্দেহজনকভাবে যেকোনো ব্যক্তিকে তল্লাশি করতে পারবে। পুলিশ যেকোনো ব্যক্তির গ্রিনকার্ড পরীক্ষা করতে পারবে। গ্রিনকার্ড প্রদর্শনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার এবং বহিষ্কারের ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশকে।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্য কোনো অঙ্গরাজ্যে অভিবাসনবিরোধী এমন আইন নেই। অ্যারিজোনার পর অভিবাসনবিরোধী এ ধরনের আইন অন্যান্য অঙ্গরাজ্যেও প্রণীত হতে পারে—এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভেঙে পড়া অভিবাসনব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দীর্ঘসূত্রতার সুযোগ নিচ্ছে রক্ষণশীল অভিবাসনবিরোধীরা। সম্প্রতি রক্ষণশীলদের ব্যবস্থাপনায় ‘টি-পার্টি’ আন্দোলনে অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে রক্ষণশীলদের উচ্চকণ্ঠ হতে দেখা যাচ্ছে।
কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত প্রভাবশালী ডেমোক্রেটদলীয় কংগ্রেসম্যান ক্রিসটোফার ডড বলেছেন, অভিবাসন সংস্কার নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনপ্রণেতাদের দ্রুত সক্রিয় হতে হবে। অন্যথায় অন্যান্য অঙ্গরাজ্যেও অভিবাসনবিরোধী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ক্রিসটোফার ডড এনবিসি টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগের অভাবে রাজ্য সরকারগুলো নিজেদের মতো আইন প্রণয়নের সুযোগ গ্রহণ করছে।
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকান দলীয় নেতা সিনেটর মিচ ম্যাককনেল ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘অভিবাসন নিয়ে কথা বলার উপযুক্ত সময় এখন নয়। দেশে যখন বেকারত্বের হার ১০ শতাংশ, তখন অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা সিনেটর হেরি রিড অবশ্য অভিবাসন সংস্কার নিয়ে দ্রুত তৎপর হওয়ার জন্য নিজ দলের আইনপ্রণেতাদের তাগিদ দিয়েছেন।
No comments