দুর্বিনীত ছাত্রলীগ
ছাত্রলীগের সঙ্গে সরকারের সংস্রব ত্যাগ করার আহ্বানসংবলিত দেশের খ্যাতনামা পাঁচজন বুদ্ধিজীবীর যৌথ বিবৃতি প্রকাশের পর আশা করা গিয়েছিল, সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কিছুটা হলেও সংযত হবেন। কিন্তু ছাত্রলীগের রাশ কোনোভাবেই টেনে ধরা যাচ্ছে না। তাদের বেআইনি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম দিন দিন বেড়ে চলেছে। কোনো নিন্দা, প্রতিবাদ কিংবা ধিক্কার সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গায়ে লাগছে না।
এত দিন ছাত্রলীগ প্রতিপক্ষ ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করে দিয়ে নিজেদের বাহাদুরি দেখিয়ে আসছিল। ইদানীং মারধরের জন্য বাইরের কাউকে দরকার হচ্ছে না, নিজেরাই আত্মঘাতী সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। রোববার বগুড়ার আযিযুল হক কলেজে পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে যে সংঘর্ষ হয়, তাতে ছয়জন শিক্ষার্থী আহত হন। সব কাগজেই তাদের সশস্ত্র মহড়ার ছবি ছাপা হয়েছে। ক্যাম্পাসে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলতে পারে না। যারা প্রতিপক্ষের ছাত্রাবাস ভাঙচুর করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রলীগের এক পক্ষ অন্য পক্ষের সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা শুধু উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে ক্ষান্ত হয়নি, শিক্ষকদের বাসেও কয়েক দফা হামলা চালিয়েছে। অবরোধের নামে এসব ছাত্র নামধারী বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে রেখেছে। তাদের সন্ত্রাসী হামলায় দুজন শিক্ষকও আহত হয়েছেন। যে ছাত্ররা শিক্ষকদের বহনকারী বাসে হামলা চালানোর মতো কাজ করতে পারে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার অধিকার নেই। অবিলম্বে হামলাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও আযিযুল হক কলেজে যারা মারধর করেছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারে সোপর্দ করা হোক। অপরাধ করে শাস্তি না হওয়ার কারণেই ছাত্রলীগের কর্মীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
তাঁদের কারণে যে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে এবং শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, ক্ষমতাসীনদেরও তা অনুধাবন করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে সহযোগী ছাত্রসংগঠনের ব্যাপারে নতুন করে চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন। ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের হাতে শিক্ষাঙ্গনকে জিম্মি রাখা কিংবা শিক্ষার সর্বনাশ ঘটতে দেওয়া যায় না। শিক্ষাঙ্গন ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থানুকূল না হলে ছাত্ররাজনীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কোনো রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তিও কাম্য নয়। দেশের পাঁচ শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীর বিবৃতিতেও অনুরূপ বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীনদের বোধোদয় ঘটলে দেশ ও জাতি রক্ষা পাবে।
এত দিন ছাত্রলীগ প্রতিপক্ষ ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করে দিয়ে নিজেদের বাহাদুরি দেখিয়ে আসছিল। ইদানীং মারধরের জন্য বাইরের কাউকে দরকার হচ্ছে না, নিজেরাই আত্মঘাতী সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। রোববার বগুড়ার আযিযুল হক কলেজে পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে যে সংঘর্ষ হয়, তাতে ছয়জন শিক্ষার্থী আহত হন। সব কাগজেই তাদের সশস্ত্র মহড়ার ছবি ছাপা হয়েছে। ক্যাম্পাসে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলতে পারে না। যারা প্রতিপক্ষের ছাত্রাবাস ভাঙচুর করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রলীগের এক পক্ষ অন্য পক্ষের সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা শুধু উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে ক্ষান্ত হয়নি, শিক্ষকদের বাসেও কয়েক দফা হামলা চালিয়েছে। অবরোধের নামে এসব ছাত্র নামধারী বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে রেখেছে। তাদের সন্ত্রাসী হামলায় দুজন শিক্ষকও আহত হয়েছেন। যে ছাত্ররা শিক্ষকদের বহনকারী বাসে হামলা চালানোর মতো কাজ করতে পারে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার অধিকার নেই। অবিলম্বে হামলাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও আযিযুল হক কলেজে যারা মারধর করেছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারে সোপর্দ করা হোক। অপরাধ করে শাস্তি না হওয়ার কারণেই ছাত্রলীগের কর্মীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
তাঁদের কারণে যে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে এবং শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, ক্ষমতাসীনদেরও তা অনুধাবন করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে সহযোগী ছাত্রসংগঠনের ব্যাপারে নতুন করে চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন। ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের হাতে শিক্ষাঙ্গনকে জিম্মি রাখা কিংবা শিক্ষার সর্বনাশ ঘটতে দেওয়া যায় না। শিক্ষাঙ্গন ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থানুকূল না হলে ছাত্ররাজনীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কোনো রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তিও কাম্য নয়। দেশের পাঁচ শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীর বিবৃতিতেও অনুরূপ বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীনদের বোধোদয় ঘটলে দেশ ও জাতি রক্ষা পাবে।
No comments