কাকার ‘দেশপ্রেমে’ অন্য গন্ধ
২০০৭ সালে কোপা আমেরিকায় খেলতে যাননি ইউরোপিয়ান ফুটবল খেলার ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে না পারায়। সে সময় ব্রাজিল জাতীয় দলের প্রতি তাঁর দায়িত্ববোধ নিয়েই প্রশ্ন তুলে ফেলেছিল সংবাদমাধ্যম। বলেছিল, কাকা ক্লাবের, ব্রাজিলের নয়।
হায় রে নিয়তি! তিন বছর পর সেই কাকাকে আজ শুনতে হচ্ছে, ‘কাকা ব্রাজিলের হয়ে খেলার জন্য ক্লাবের খেলায় ফাঁকি দিচ্ছেন।’ বিশ্বকাপে নিজেকে ফিট রাখতে তিনি নাকি কুঁচকির ইনজুরির ‘অজুহাত’ দিয়ে মাঠের বাইরে ছিলেন।
আলোচনাটা কিছুদিন ধরেই চলছিল। কুঁচকির ইনজুরি নিয়ে কাকা মাঠের বাইরে যাওয়ার পর থেকেই বলা হচ্ছিল, তিনি রিয়ালকে ফাঁকি দিচ্ছেন। বিশেষত স্পেনের সংবাদমাধ্যমই বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল, কাকা অস্ত্রোপচার করাতে রাজি না হওয়ায়। বলা হলো, কাকা ‘এভানজেলিকাল খ্রিষ্টান’ বলে ধর্মীয় কারণে অস্ত্রোপচার করাচ্ছেন না।
এই কথায় বিশ্বাস করল না স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম। তারা সমানে কাকার প্রতি সন্দেহের তীর ছুড়ে গেল। অবশেষে ৪৩ দিন পর মাঠে নামলেন কাকা। মাঠেই শুধু নামলেন না, ফিরেই নিজেকে প্রমাণ করলেন। জারাগোজার বিপক্ষে রিয়ালের ম্যাচ এবং লিগ শিরোপা-স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখা গোলটা করলেন।
প্রায় দুই মাস পর পাওয়া তাঁর প্রথম গোল রিয়ালের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে সংবাদমাধ্যম চুপ থাকতে পারত। কিন্তু এবার তারা আরও আক্রমণাত্মক। আরও বেশি করে তারা ষড়যন্ত্র খুঁজে পাচ্ছে। মাদ্রিদভিত্তিক ক্রীড়া দৈনিক এএস লিখেছে, ‘যিশুর পুনরুত্থানে তিন দিন সময় লেগেছিল। আর তার অনুসারী কাকার সময় লাগল ৪৩ দিন!’ বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার হতে পারেন, মাদ্রিদ কিন্তু কাকাকে এই ইনজুরির কারণে ভালোবাসতে পারেনি। সংবাদমাধ্যমের ভাষ্য, মানুষ তোমাকে যত কম সন্দেহ করবে, তোমার জনপ্রিয়তা ঠিক ততটাই বেশি।
চুক্তির হিসাবে রোনালদোর পর এই গ্রহের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় কাকাকে প্রচ্ছন্নভাবে মিথ্যাবাদী বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে খেলার জন্য নিজেকে আগলে রাখছেন কাকা। কিন্তু কাকা নিজে কী বলছেন?
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের এই আচরণে যারপরনাই বিরক্ত ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকার, ‘অনেক দিন ধরে ফুটবলে আছি। কিন্তু মানুষ যখন আমার ইনজুরির ব্যাপকতা নিয়ে সন্দেহ করে, তখন জঘন্য লাগে। আমি সমর্থকদের বলি, যখন আমি ব্যথা পাই, তখন অন্তত সন্দেহ করবেন না।’
বললেই কি আর লোকে শোনে? মানুষের কাজই যে এমন সন্দেহ করা। তবু এই সন্দেহের অন্য একটা দিক ভাবতে পারেন কাকা। তাঁর যে ব্রাজিল-প্রেম নিয়ে একদিন সন্দেহ তোলা হয়েছিল, আজ এই সন্দেহে সেই প্রেমটা উল্টো প্রতিষ্ঠা পেল।
কাকা তাহলে ব্রাজিলকে আরেকটা বিশ্বকাপ এনে দিয়ে দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন!
হায় রে নিয়তি! তিন বছর পর সেই কাকাকে আজ শুনতে হচ্ছে, ‘কাকা ব্রাজিলের হয়ে খেলার জন্য ক্লাবের খেলায় ফাঁকি দিচ্ছেন।’ বিশ্বকাপে নিজেকে ফিট রাখতে তিনি নাকি কুঁচকির ইনজুরির ‘অজুহাত’ দিয়ে মাঠের বাইরে ছিলেন।
আলোচনাটা কিছুদিন ধরেই চলছিল। কুঁচকির ইনজুরি নিয়ে কাকা মাঠের বাইরে যাওয়ার পর থেকেই বলা হচ্ছিল, তিনি রিয়ালকে ফাঁকি দিচ্ছেন। বিশেষত স্পেনের সংবাদমাধ্যমই বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল, কাকা অস্ত্রোপচার করাতে রাজি না হওয়ায়। বলা হলো, কাকা ‘এভানজেলিকাল খ্রিষ্টান’ বলে ধর্মীয় কারণে অস্ত্রোপচার করাচ্ছেন না।
এই কথায় বিশ্বাস করল না স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম। তারা সমানে কাকার প্রতি সন্দেহের তীর ছুড়ে গেল। অবশেষে ৪৩ দিন পর মাঠে নামলেন কাকা। মাঠেই শুধু নামলেন না, ফিরেই নিজেকে প্রমাণ করলেন। জারাগোজার বিপক্ষে রিয়ালের ম্যাচ এবং লিগ শিরোপা-স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখা গোলটা করলেন।
প্রায় দুই মাস পর পাওয়া তাঁর প্রথম গোল রিয়ালের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে সংবাদমাধ্যম চুপ থাকতে পারত। কিন্তু এবার তারা আরও আক্রমণাত্মক। আরও বেশি করে তারা ষড়যন্ত্র খুঁজে পাচ্ছে। মাদ্রিদভিত্তিক ক্রীড়া দৈনিক এএস লিখেছে, ‘যিশুর পুনরুত্থানে তিন দিন সময় লেগেছিল। আর তার অনুসারী কাকার সময় লাগল ৪৩ দিন!’ বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার হতে পারেন, মাদ্রিদ কিন্তু কাকাকে এই ইনজুরির কারণে ভালোবাসতে পারেনি। সংবাদমাধ্যমের ভাষ্য, মানুষ তোমাকে যত কম সন্দেহ করবে, তোমার জনপ্রিয়তা ঠিক ততটাই বেশি।
চুক্তির হিসাবে রোনালদোর পর এই গ্রহের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় কাকাকে প্রচ্ছন্নভাবে মিথ্যাবাদী বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে খেলার জন্য নিজেকে আগলে রাখছেন কাকা। কিন্তু কাকা নিজে কী বলছেন?
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের এই আচরণে যারপরনাই বিরক্ত ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকার, ‘অনেক দিন ধরে ফুটবলে আছি। কিন্তু মানুষ যখন আমার ইনজুরির ব্যাপকতা নিয়ে সন্দেহ করে, তখন জঘন্য লাগে। আমি সমর্থকদের বলি, যখন আমি ব্যথা পাই, তখন অন্তত সন্দেহ করবেন না।’
বললেই কি আর লোকে শোনে? মানুষের কাজই যে এমন সন্দেহ করা। তবু এই সন্দেহের অন্য একটা দিক ভাবতে পারেন কাকা। তাঁর যে ব্রাজিল-প্রেম নিয়ে একদিন সন্দেহ তোলা হয়েছিল, আজ এই সন্দেহে সেই প্রেমটা উল্টো প্রতিষ্ঠা পেল।
কাকা তাহলে ব্রাজিলকে আরেকটা বিশ্বকাপ এনে দিয়ে দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন!
No comments