ইউরোপে মার্কিন পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিতর্ক
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পরমাণু স্থাপনা রাখা না-রাখা নিয়ে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কিন্তু ওয়াশিংটন বলছে, সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলোকে রাশিয়া-ভীতি থেকে রক্ষা করার জন্যই তাদের এই পদক্ষেপ এবং এ ব্যাপারে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জার্মানির ক্ষমতাসীন সরকার গত নভেম্বরে দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্রের স্থাপনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে জার্মানি, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গ ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে একটি বিতর্কের ডাক দেয়।
এদিকে এস্তোনিয়ায় রাজধানী তাল্লিনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরমাস প্যায়েটের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন সাবেক সোভিয়েক রাষ্ট্রগুলোকে পরমাণু স্থাপনা-সংক্রান্ত ব্যাপারে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু স্থাপনা সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থারই অংশ। হিলারি বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলছি এস্তোনিয়াসহ আমাদের অন্যান্য মিত্রদের কাছে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা রক্ষা করতে আমরা সচেষ্ট। আমরা কখনোই আমাদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসব না।’
ন্যাটো সদস্যদের মধ্যে এই বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী র্যাডোস্লো শিকোরিস্কি বলেছেন, ইউরোপে অনেক কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ছিল। কিন্তু বর্তমানে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার একটি সমঝোতামূলক চুক্তি হওয়া দরকার।
তবে ন্যাটোর মহাসচিব আন্ড্রেস ফগ রাসমুসেন বলেছেন, ‘ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র রাখা না রাখা নিয়ে অবশ্যই বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই, যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক স্থাপনা ইউরোপে থাকুক। আমি বিশ্বাস করি, ইউরোপে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্রের স্থাপনা থাকাটা খুবই জরুরি।’
ন্যাটোর মহাসচিব রাসমুসেন জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছেন। ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে কোনো ধরনের চুক্তি না হওয়ার সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে এই জোট পরমাণু অস্ত্রের ব্যাপারে তাদের বর্তমান অবস্থান নির্ধারণ করেছে। তবে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুইডো ওয়েস্টারওয়েল বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পরমাণু কার্যক্রম হ্রাস করার যে নীতি গ্রহণ করেছে, আগের তুলনায় তা সন্তোষজনক।
জার্মানির ক্ষমতাসীন সরকার গত নভেম্বরে দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্রের স্থাপনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে জার্মানি, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গ ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে একটি বিতর্কের ডাক দেয়।
এদিকে এস্তোনিয়ায় রাজধানী তাল্লিনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরমাস প্যায়েটের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন সাবেক সোভিয়েক রাষ্ট্রগুলোকে পরমাণু স্থাপনা-সংক্রান্ত ব্যাপারে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু স্থাপনা সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থারই অংশ। হিলারি বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলছি এস্তোনিয়াসহ আমাদের অন্যান্য মিত্রদের কাছে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা রক্ষা করতে আমরা সচেষ্ট। আমরা কখনোই আমাদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসব না।’
ন্যাটো সদস্যদের মধ্যে এই বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী র্যাডোস্লো শিকোরিস্কি বলেছেন, ইউরোপে অনেক কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ছিল। কিন্তু বর্তমানে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার একটি সমঝোতামূলক চুক্তি হওয়া দরকার।
তবে ন্যাটোর মহাসচিব আন্ড্রেস ফগ রাসমুসেন বলেছেন, ‘ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র রাখা না রাখা নিয়ে অবশ্যই বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই, যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক স্থাপনা ইউরোপে থাকুক। আমি বিশ্বাস করি, ইউরোপে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্রের স্থাপনা থাকাটা খুবই জরুরি।’
ন্যাটোর মহাসচিব রাসমুসেন জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছেন। ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে কোনো ধরনের চুক্তি না হওয়ার সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে এই জোট পরমাণু অস্ত্রের ব্যাপারে তাদের বর্তমান অবস্থান নির্ধারণ করেছে। তবে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুইডো ওয়েস্টারওয়েল বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পরমাণু কার্যক্রম হ্রাস করার যে নীতি গ্রহণ করেছে, আগের তুলনায় তা সন্তোষজনক।
No comments