মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার -সরকারকে কূটনৈতিক উদ্যোগ বাড়াতে হবে
বর্তমান সরকারের ১৫ মাসে বাংলাদেশ থেকে চাকরি নিয়ে সৌদি আরবে গেছেন ১৬ থেকে ১৭ হাজার শ্রমিক। কিন্তু একই সময়ে দেশটি থেকে ফিরে এসেছেন ৩১ হাজারের বেশি। অর্থাৎ সৌদি আরবে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি গত ১৫ মাসে লক্ষণীয়ভাবে কমে গেছে।
এ তথ্য নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক; কারণ সৌদি আরবই বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার। সে বাজার সংকুচিত হলে ব্যাপক বেকারত্বের এই দেশে বেকার-সমস্যা প্রকট হতে বাধ্য, বিদেশি মুদ্রা উপার্জনেরও একটি বড় খাত ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রথম আলোয় বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, শুধু সৌদি আরব নয়, কুয়েত, কাতার, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত—মধ্যপ্রাচ্যের এই চারটি দেশেও বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি উদ্বেগজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
কারণ কী? প্রথম আলোর প্রতিবেদনটি বলছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি কেন হঠাৎ করে কমে যাচ্ছে, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর দূতাবাসগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। সেসব চিঠির উত্তরে কী জানানো হয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। তবে বিভিন্ন সূত্রে সমস্যাটির নানা রকম কারণের উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে। যেমন: এক. কিছু বাংলাদেশি শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে খুন, ধর্ষণসহ নানা রকম অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন, বিশেষত সৌদি আরবে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী রোহিঙ্গাদের অপরাধবৃত্তির উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে। দুই. বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সম্পর্কে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নানা রকম নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে একটি মহল, যার বিপরীতে ওই সব দেশের বাংলাদেশি মিশনগুলো বা বাংলাদেশ সরকার ইতিবাচক কিছু করতে পারছে না। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফরের পরও অবস্থার উন্নতি হয়নি—এমনটিও বলা হচ্ছে। সৌদি আরবের বিষয়টি গুরুতর বলে মনে হচ্ছে। দেশটি বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরই, অর্থাৎ ২০০৯ সালের শুরু থেকে বাংলাদেশের শ্রমিক নেওয়া ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছে; কিন্তু একই সময় তারা নেপাল ও ভারত থেকে শ্রমিক নিচ্ছে আগের হারেই। বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাজের অনুমতিপত্র বা আকামা পরিবর্তন করতেও তারা দিচ্ছে না। এখন বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে বোঝার চেষ্টা করা যে কী কী কারণে সে দেশে আমাদের শ্রমবাজারে এই নেতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এবং এ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
সৌদি আরব ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোতেও আমাদের জনশক্তি রপ্তানি হ্রাসের কারণগুলো ভালোভাবে খতিয়ে দেখে সেগুলোর নিরসনের লক্ষ্যেও তৎপর হতে হবে। কূটনৈতিক বিষয়ের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর সক্রিয়তা, জনসংযোগ, জনশক্তি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে লোকবল বাড়ানোর উদ্যোগও নিতে হবে। বাংলাদেশে জনশক্তি রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজারের সংকোচন কোনোভাবেই নগণ্য বিষয় নয়; বরং এটি সরকারের বাড়তি মনোযোগ দাবি করে।
এ তথ্য নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক; কারণ সৌদি আরবই বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার। সে বাজার সংকুচিত হলে ব্যাপক বেকারত্বের এই দেশে বেকার-সমস্যা প্রকট হতে বাধ্য, বিদেশি মুদ্রা উপার্জনেরও একটি বড় খাত ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রথম আলোয় বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, শুধু সৌদি আরব নয়, কুয়েত, কাতার, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত—মধ্যপ্রাচ্যের এই চারটি দেশেও বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি উদ্বেগজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
কারণ কী? প্রথম আলোর প্রতিবেদনটি বলছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি কেন হঠাৎ করে কমে যাচ্ছে, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর দূতাবাসগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। সেসব চিঠির উত্তরে কী জানানো হয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। তবে বিভিন্ন সূত্রে সমস্যাটির নানা রকম কারণের উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে। যেমন: এক. কিছু বাংলাদেশি শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে খুন, ধর্ষণসহ নানা রকম অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন, বিশেষত সৌদি আরবে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী রোহিঙ্গাদের অপরাধবৃত্তির উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে। দুই. বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সম্পর্কে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নানা রকম নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে একটি মহল, যার বিপরীতে ওই সব দেশের বাংলাদেশি মিশনগুলো বা বাংলাদেশ সরকার ইতিবাচক কিছু করতে পারছে না। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফরের পরও অবস্থার উন্নতি হয়নি—এমনটিও বলা হচ্ছে। সৌদি আরবের বিষয়টি গুরুতর বলে মনে হচ্ছে। দেশটি বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরই, অর্থাৎ ২০০৯ সালের শুরু থেকে বাংলাদেশের শ্রমিক নেওয়া ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছে; কিন্তু একই সময় তারা নেপাল ও ভারত থেকে শ্রমিক নিচ্ছে আগের হারেই। বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাজের অনুমতিপত্র বা আকামা পরিবর্তন করতেও তারা দিচ্ছে না। এখন বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে বোঝার চেষ্টা করা যে কী কী কারণে সে দেশে আমাদের শ্রমবাজারে এই নেতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এবং এ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
সৌদি আরব ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোতেও আমাদের জনশক্তি রপ্তানি হ্রাসের কারণগুলো ভালোভাবে খতিয়ে দেখে সেগুলোর নিরসনের লক্ষ্যেও তৎপর হতে হবে। কূটনৈতিক বিষয়ের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর সক্রিয়তা, জনসংযোগ, জনশক্তি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে লোকবল বাড়ানোর উদ্যোগও নিতে হবে। বাংলাদেশে জনশক্তি রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজারের সংকোচন কোনোভাবেই নগণ্য বিষয় নয়; বরং এটি সরকারের বাড়তি মনোযোগ দাবি করে।
No comments