দ্বিতীয় পর্বে বদলাবে কিছু
রথম পর্ব শেষ হয়েছে কোনোরকমে। ৭৮টি ম্যাচ আয়োজনে সময় লেগেছে দীর্ঘ পাঁচ মাস। ছিল না পেশাদারির কানাকড়িও। আকর্ষণ বলতে কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি। আজ শুরু তৃতীয় বাংলাদেশ ফুটবল লিগের দ্বিতীয় পর্বে ছবিটা বদলাবে?
বদলানোর আপাত কোনো জোরালো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ‘ঠেলাগাড়ি চলছে, চলুক’—মোটের ওপর এই হলো আয়োজক বাফুফে আর ক্লাবগুলোর মানসিকতা।
বাফুফে একবারে কিছুই করছে না, তা অবশ্য বলার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ লিগ কমিটির ম্যানেজার আবু নাঈম কাল জানিয়েছেন, বাফুফের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় পর্ব শুরুর আগে ঢাকার বাইরের ক্লাবগুলোকে চিঠি দিয়ে ভেন্যু ব্যবস্থাপনা, মাঠ এবং পেশাদারির আবশ্যকীয় উপাদানগুলো নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই পর্বে আর বিরতি দেওয়া হবে না। জুনের প্রথম সপ্তাহে লিগ শেষ করার লক্ষ্য। সেজন্যই হয়তো প্রথম দিনেই রাখা হয়েছে চারটি ম্যাচ।
প্রথম পর্বের লম্বা সময় লিগের আকর্ষণ কমিয়ে দিয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা অবশ্যই ভালো মাঠের অভাব। ফুটবলার হাসান মাল মামুন চট্টগ্রামের মাঠকে তো তুলনা করেছেন খটখটে রাস্তার সঙ্গে! সিলেট স্টেডিয়ামে খেলে ঢাকা মোহামেডান বলেছে, ধুলাবালি ওড়ে ওই মাঠে। ওটা আদতে মাঠই নয়! নারায়ণগঞ্জ শুকতারার মাঠ খুবই ছোট, শক্ত এবং অসমান। সবচেয়ে বেশি কথা হয়েছে সিলেট ভেন্যু নিয়ে। প্রথম পর্বে সেখানে খেলতে গিয়ে নিরাপত্তাহীন ছিল মোহামেডান এবং তারা স্থানীয় সংগঠক-দর্শকের মারমুখী আচরণের শিকার হয়েছে।
‘আর যা-ই হোক, ঢাকার বাইরে নিম্নমানের মাঠে পেশাদার লিগ হয় না’—ক্ষোভ আবাহনী কোচ অমলেশ সেনের। মোহামেডান গোলরক্ষক আমিনুল বলেছেন, ‘এসব মাঠে খেলে ফুটবলের কোনো উন্নতি হবে না!’
দ্বিতীয় পর্ব শুরুর দিনে চারটি ম্যাচের তিনটিই ঢাকার বাইরে। অথচ সেখানে প্রতিনিধি পাঠাতে বাফুফের সক্রিয় এবং পরিপূর্ণ উদ্যোগ নেই! জানা গেছে, ফেনীতে কেউ যাবে না। সিলেটে একজন যাবে। নারায়ণগঞ্জে একজন যেতে পারেন, তবে নিশ্চিত নয়। পেশাদার লিগ নিয়ে বাফুফে কীভাবে এগোচ্ছে, তা কি আর বলার দরকার আছে!
প্রথম পর্বে মাঠে ডাক্তার-অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি (বিশেষ করে ঢাকার বাইরে)। ম্যাচ কমিশনারের সামনে কোনো একজনকে ডাক্তার বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আছে। খেলোয়াড় আহত হওয়ার পর দেখা গেল, ডাক্তার-অ্যাম্বুলেন্স নেই!
দ্বিতীয় পর্বে এই সমস্যা আর থাকবে না, দাবি বাফুফের। ম্যাচ কমিশনারের চিঠি দিয়ে লিগ কমিটি বলেছে, ডাক্তার-অ্যাম্বুলেন্স নিশ্চিত না করে তারা কোনোভাবেই দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ শুরু করতে পারবে না।
মাঠের লড়াই বরাবরের মতো সীমাবদ্ধ আবাহনী-মোহামেডানের মধ্যে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানেকে (১২ ম্যাচে ৩০) ৪ পয়েন্ট পেছনে রেখে এগিয়ে আছে আবাহনী (১২ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট)। আজ সিলেটে আবাহনী, ফেনীতে মোহামেডান মাঠে নামছে।
মধ্যবর্তী দলবদলে তেমন সাড়া নেই। আবাহনী-মোহামেডান নতুন খেলোয়াড় নেয়নি। বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধনের সময় আগামীকাল পর্যন্ত। আবাহনী একজন আফ্রিকানকে দলে নিতে পারে। মোহামেডান নিতে পারে গতবার খেলে যাওয়া মিসরীয় খেলোয়াড় হাজেমকে।
খেলোয়াড়েরা নিয়ম-নীতি মানছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। সিলেট বিয়ানীবাজার তাদের খেলোয়াড় ফয়সাল মাহমুদ ও রেজাউল করিমের (বিপ্লব) বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার গুরুতর অভিযোগ তুলেছে বাফুফের কাছে। এমন অভিযোগ আরও আছে!
বরাবরের মতো পাতানো খেলার আশঙ্কা বেশি থাকছে এই পর্বে। পাতানো খেলা বন্ধ করার সুনির্দিষ্ট উপায় এখনো বের করতে পারেনি বাফুফে। তবে এই পর্বের ম্যাচগুলো ভিডিও করার নিশ্চয়তা দিয়েছে বাফুফে। দেখা যাক, পেশাদারির চর্চা কতটা হয় এই পর্বে!
বদলানোর আপাত কোনো জোরালো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ‘ঠেলাগাড়ি চলছে, চলুক’—মোটের ওপর এই হলো আয়োজক বাফুফে আর ক্লাবগুলোর মানসিকতা।
বাফুফে একবারে কিছুই করছে না, তা অবশ্য বলার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ লিগ কমিটির ম্যানেজার আবু নাঈম কাল জানিয়েছেন, বাফুফের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় পর্ব শুরুর আগে ঢাকার বাইরের ক্লাবগুলোকে চিঠি দিয়ে ভেন্যু ব্যবস্থাপনা, মাঠ এবং পেশাদারির আবশ্যকীয় উপাদানগুলো নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই পর্বে আর বিরতি দেওয়া হবে না। জুনের প্রথম সপ্তাহে লিগ শেষ করার লক্ষ্য। সেজন্যই হয়তো প্রথম দিনেই রাখা হয়েছে চারটি ম্যাচ।
প্রথম পর্বের লম্বা সময় লিগের আকর্ষণ কমিয়ে দিয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা অবশ্যই ভালো মাঠের অভাব। ফুটবলার হাসান মাল মামুন চট্টগ্রামের মাঠকে তো তুলনা করেছেন খটখটে রাস্তার সঙ্গে! সিলেট স্টেডিয়ামে খেলে ঢাকা মোহামেডান বলেছে, ধুলাবালি ওড়ে ওই মাঠে। ওটা আদতে মাঠই নয়! নারায়ণগঞ্জ শুকতারার মাঠ খুবই ছোট, শক্ত এবং অসমান। সবচেয়ে বেশি কথা হয়েছে সিলেট ভেন্যু নিয়ে। প্রথম পর্বে সেখানে খেলতে গিয়ে নিরাপত্তাহীন ছিল মোহামেডান এবং তারা স্থানীয় সংগঠক-দর্শকের মারমুখী আচরণের শিকার হয়েছে।
‘আর যা-ই হোক, ঢাকার বাইরে নিম্নমানের মাঠে পেশাদার লিগ হয় না’—ক্ষোভ আবাহনী কোচ অমলেশ সেনের। মোহামেডান গোলরক্ষক আমিনুল বলেছেন, ‘এসব মাঠে খেলে ফুটবলের কোনো উন্নতি হবে না!’
দ্বিতীয় পর্ব শুরুর দিনে চারটি ম্যাচের তিনটিই ঢাকার বাইরে। অথচ সেখানে প্রতিনিধি পাঠাতে বাফুফের সক্রিয় এবং পরিপূর্ণ উদ্যোগ নেই! জানা গেছে, ফেনীতে কেউ যাবে না। সিলেটে একজন যাবে। নারায়ণগঞ্জে একজন যেতে পারেন, তবে নিশ্চিত নয়। পেশাদার লিগ নিয়ে বাফুফে কীভাবে এগোচ্ছে, তা কি আর বলার দরকার আছে!
প্রথম পর্বে মাঠে ডাক্তার-অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি (বিশেষ করে ঢাকার বাইরে)। ম্যাচ কমিশনারের সামনে কোনো একজনকে ডাক্তার বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আছে। খেলোয়াড় আহত হওয়ার পর দেখা গেল, ডাক্তার-অ্যাম্বুলেন্স নেই!
দ্বিতীয় পর্বে এই সমস্যা আর থাকবে না, দাবি বাফুফের। ম্যাচ কমিশনারের চিঠি দিয়ে লিগ কমিটি বলেছে, ডাক্তার-অ্যাম্বুলেন্স নিশ্চিত না করে তারা কোনোভাবেই দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ শুরু করতে পারবে না।
মাঠের লড়াই বরাবরের মতো সীমাবদ্ধ আবাহনী-মোহামেডানের মধ্যে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানেকে (১২ ম্যাচে ৩০) ৪ পয়েন্ট পেছনে রেখে এগিয়ে আছে আবাহনী (১২ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট)। আজ সিলেটে আবাহনী, ফেনীতে মোহামেডান মাঠে নামছে।
মধ্যবর্তী দলবদলে তেমন সাড়া নেই। আবাহনী-মোহামেডান নতুন খেলোয়াড় নেয়নি। বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধনের সময় আগামীকাল পর্যন্ত। আবাহনী একজন আফ্রিকানকে দলে নিতে পারে। মোহামেডান নিতে পারে গতবার খেলে যাওয়া মিসরীয় খেলোয়াড় হাজেমকে।
খেলোয়াড়েরা নিয়ম-নীতি মানছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। সিলেট বিয়ানীবাজার তাদের খেলোয়াড় ফয়সাল মাহমুদ ও রেজাউল করিমের (বিপ্লব) বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার গুরুতর অভিযোগ তুলেছে বাফুফের কাছে। এমন অভিযোগ আরও আছে!
বরাবরের মতো পাতানো খেলার আশঙ্কা বেশি থাকছে এই পর্বে। পাতানো খেলা বন্ধ করার সুনির্দিষ্ট উপায় এখনো বের করতে পারেনি বাফুফে। তবে এই পর্বের ম্যাচগুলো ভিডিও করার নিশ্চয়তা দিয়েছে বাফুফে। দেখা যাক, পেশাদারির চর্চা কতটা হয় এই পর্বে!
No comments