যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ‘বিশেষ সম্পর্ক’ নেই
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মধ্যে কোনো ‘বিশেষ সম্পর্ক’ নেই। দুই দেশের মধ্যে এ বিশেষ সম্পর্কের ধারণাটি বাতিল করে দেওয়া উচিত। গতকাল রোববার প্রকাশিত ব্রিটেনের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়। ওই প্রতিবেদনে ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা বলেন, ইরাক যুদ্ধ ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রকে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়েছে।
প্রতিবেদনের সারমর্ম তুলে ধরে কমিটির চেয়ারম্যান মাইক গেপস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অবশ্যই সুসম্পর্ক বজায় রাখবে ব্রিটেন, তবে যেসব ক্ষেত্রে ব্রিটেনের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে না, সেসব ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনকে অবশ্যই ‘না’ বলতে হবে লন্ডনকে। তিনি আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিশেষ সম্পর্কের ধারণাটি ভুল। এটি পরিহার করা উচিত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিল যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মধ্যে বিশেষ সম্পর্কের ধারণাটির প্রথম সূত্রপাত করেন।
মাইক গেপস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ওপর প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আশাবাদের জন্য ইউরোপ ও ব্রিটিশ রাজনীতিবিদেরাই দায়ী। আমাদের বাস্তবভিত্তিক চিন্তাভাবনা করতে হবে। বিশ্বায়ন ও ভূরাজনীতিতে পরিবর্তনের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে, এটা আমাদের মেনে নিতে হবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সমর্থন না থাকা সত্ত্বেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। এ যুদ্ধ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। ইরাক যুদ্ধের সময় ব্রিটেনের আচরণ দেখে মনে হয়েছে, তারা দাসত্ব মনোভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করেছে। ইরাক যুদ্ধে ব্রিটেনের এ ধরনের ভূমিকা ব্রিটিশ নাগরিক ও অন্য দেশের মানুষকে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছে। এতে ব্রিটেনের স্বার্থ ও নামধামে চরম প্রভাব পড়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অতীতের যেকোনো মার্কিন প্রশাসনের চেয়ে বর্তমান ওবামা প্রশাসন ব্রিটেনের সঙ্গে অনেকটা বাস্তবভিত্তিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে।
প্রতিবেদনের সারমর্ম তুলে ধরে কমিটির চেয়ারম্যান মাইক গেপস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অবশ্যই সুসম্পর্ক বজায় রাখবে ব্রিটেন, তবে যেসব ক্ষেত্রে ব্রিটেনের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে না, সেসব ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনকে অবশ্যই ‘না’ বলতে হবে লন্ডনকে। তিনি আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিশেষ সম্পর্কের ধারণাটি ভুল। এটি পরিহার করা উচিত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিল যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মধ্যে বিশেষ সম্পর্কের ধারণাটির প্রথম সূত্রপাত করেন।
মাইক গেপস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ওপর প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আশাবাদের জন্য ইউরোপ ও ব্রিটিশ রাজনীতিবিদেরাই দায়ী। আমাদের বাস্তবভিত্তিক চিন্তাভাবনা করতে হবে। বিশ্বায়ন ও ভূরাজনীতিতে পরিবর্তনের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে, এটা আমাদের মেনে নিতে হবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সমর্থন না থাকা সত্ত্বেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। এ যুদ্ধ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। ইরাক যুদ্ধের সময় ব্রিটেনের আচরণ দেখে মনে হয়েছে, তারা দাসত্ব মনোভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করেছে। ইরাক যুদ্ধে ব্রিটেনের এ ধরনের ভূমিকা ব্রিটিশ নাগরিক ও অন্য দেশের মানুষকে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছে। এতে ব্রিটেনের স্বার্থ ও নামধামে চরম প্রভাব পড়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অতীতের যেকোনো মার্কিন প্রশাসনের চেয়ে বর্তমান ওবামা প্রশাসন ব্রিটেনের সঙ্গে অনেকটা বাস্তবভিত্তিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে।
No comments