অব্যবস্থাপনার মধ্যেই পিসিএলের যাত্রা by প্রণব বল
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিবাদে সারা বিশ্বের আরও অনেক স্থাপনার মতো গত পরশু বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন দুবাইয়ের ১৬২তলা বুর্জ আল খলিফা আর দুবাই শপিংমলের আলোও এক ঘণ্টার জন্য নিভে গিয়েছিল। দুবাইয়ের সে আলো আবার জ্বলে উঠলেও পাশের শহর শারজা যেন এখনো অন্ধকারেই তলিয়ে! শারজা স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের পিসিএল টি-টোয়েন্টি কাপ জ্বলে উঠতে পারছে না কোনোভাবেই। চূড়ান্ত অব্যবস্থাপনা আর সমন্বয়হীনতা ঘিরে ধরেছে বহুল আলোচিত এই টুর্নামেন্টকে।
ভিসা-জটিলতা, সম্প্রচার নিয়ে দুর্ভাবনাসহ আরও অনেক বিশৃঙ্খলার পর টুর্নামেন্টটা কাল শেষ পর্যন্ত মাঠে গড়ালেও অব্যবস্থাপনা এখনো রয়েই গেছে। সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের যুক্তি দিয়েছেন আয়োজকেরা। দিয়েছেন সব ঠিক হয়ে যাওয়ার আশ্বাস। অথচ অব্যবস্থাপনা আর সমন্বয়হীনতা থেকে টুর্নামেন্টটাকে খেলা শুরুর দিনও মুক্ত করা যায়নি। কাল এসবের সঙ্গে যোগ হয়েছে দর্শকখরার হতাশাও। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে কিছুটা ভরে উঠেছিল গ্যালারি।
২০০টি ওয়ানডে ম্যাচ বুকে ধরার গৌরব শারজা স্টেডিয়ামের। একসময় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তেজনায় ফুঁসে উঠত এই স্টেডিয়ামের গ্যালারি। প্রেসবক্সে পদধূলি পড়েছে কত না ক্রিকেটপণ্ডিতের। পিসিএল কাভার করতে আসা সাংবাদিকদের মতো বিড়ম্বনায় নিশ্চয়ই পড়তে হয়নি কারোই। ভিসা-জটিলতা পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে শারজায় উড়ে আসা সাংবাদিকেরা এখানে এসে মুখোমুখি হচ্ছেন নিত্যনতুন ঝামেলার। ইন্টারনেট সুবিধা অপ্রতুল। ছোট্ট একটা ঘরে ইন্টারনেট-ব্যবস্থা থাকলেও সেটার সেবা নিতে সাংবাদিকদের মধ্যে শুরু হয় মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা। ধুলোমলিন বসার চেয়ার। আর স্কোরার তো ছিলই না প্রেসবক্সে। গত ২৫ মার্চ স্টেডিয়ামে প্রথম ঢুকেই বাংলাদেশি সাংবাদিকেরা প্রেসবক্স পরিষ্কার ও পর্যাপ্ত ইন্টারনেট-সেবা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আয়োজকেরা আশ্বাস দিয়েছিলেন, ‘হয়ে যাবে হয়ে যাবে, কিচ্ছু চিন্তা করবেন না।’ গলাবাজিই সার। দেশে বসে যারা টেলিভিশনে খেলা দেখেছেন শারজায় আসা সাংবাদিকদের চেয়ে ভাগ্যবানই বলতে হবে তাদের।
শারজা ক্রিকেট ক্লাবকে এসব কারণে দোষ দেওয়ার উপায় নেই। পিসিএলের জন্য তারা মাঠ আর অন্যান্য অবকাঠামো ভাড়া দিয়েছে বাংলাদেশি আয়োজকদের। অব্যবস্থাপনার পুরো দায়-দায়িত্ব তাই পিসিএল কর্তৃপক্ষেরই। টুর্নামেন্ট শুরুর দিনে নতুন অভিযোগ তুলল টপ স্পোর্টস ক্লাব—মোহামেডান নাকি কোটার বাইরের ক্রিকেটার খেলিয়েছে প্রথম ম্যাচে!
স্থানীয় সময় বিকেল তিনটায় মোহামেডান-টপ স্পোর্টসের ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে টুর্নামেন্ট। বেলুন উড়িয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন। ভিসা-জটিলতায় মমতাজের দেখা না মিললেও শিরিনের পাঞ্জাবীওয়ালা কিংবা মিলার ‘কোমর দোলাইয়া’ গানের সঙ্গে চিয়ারগার্লরা নেচেছেন। প্রথম ম্যাচের পর ৪০ মিনিটের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে ছিল শিশুদের ডিসপ্লে, অ্যারাবিক ও আফ্রিকান গান আর নৃত্য। প্রায় শূন্য গ্যালারিতে যে অল্পসংখ্যক দর্শক বসেছিল, এসবে হয়তো কিছুটা মন জুড়িয়েছে তাদের। তবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যদের মেলা একটু বাড়াবাড়িই মনে হয়েছে।
এই টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত একমাত্র আশা-জাগানিয়া কাজটি করেছে এটিএন বাংলা। শনিবার রাতে শারজায় পৌঁছেই তারা প্রথম দিন থেকে ম্যাচের সম্প্রচার নিশ্চিত করেছে।
ভিসা-জটিলতা, সম্প্রচার নিয়ে দুর্ভাবনাসহ আরও অনেক বিশৃঙ্খলার পর টুর্নামেন্টটা কাল শেষ পর্যন্ত মাঠে গড়ালেও অব্যবস্থাপনা এখনো রয়েই গেছে। সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের যুক্তি দিয়েছেন আয়োজকেরা। দিয়েছেন সব ঠিক হয়ে যাওয়ার আশ্বাস। অথচ অব্যবস্থাপনা আর সমন্বয়হীনতা থেকে টুর্নামেন্টটাকে খেলা শুরুর দিনও মুক্ত করা যায়নি। কাল এসবের সঙ্গে যোগ হয়েছে দর্শকখরার হতাশাও। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে কিছুটা ভরে উঠেছিল গ্যালারি।
২০০টি ওয়ানডে ম্যাচ বুকে ধরার গৌরব শারজা স্টেডিয়ামের। একসময় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তেজনায় ফুঁসে উঠত এই স্টেডিয়ামের গ্যালারি। প্রেসবক্সে পদধূলি পড়েছে কত না ক্রিকেটপণ্ডিতের। পিসিএল কাভার করতে আসা সাংবাদিকদের মতো বিড়ম্বনায় নিশ্চয়ই পড়তে হয়নি কারোই। ভিসা-জটিলতা পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে শারজায় উড়ে আসা সাংবাদিকেরা এখানে এসে মুখোমুখি হচ্ছেন নিত্যনতুন ঝামেলার। ইন্টারনেট সুবিধা অপ্রতুল। ছোট্ট একটা ঘরে ইন্টারনেট-ব্যবস্থা থাকলেও সেটার সেবা নিতে সাংবাদিকদের মধ্যে শুরু হয় মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা। ধুলোমলিন বসার চেয়ার। আর স্কোরার তো ছিলই না প্রেসবক্সে। গত ২৫ মার্চ স্টেডিয়ামে প্রথম ঢুকেই বাংলাদেশি সাংবাদিকেরা প্রেসবক্স পরিষ্কার ও পর্যাপ্ত ইন্টারনেট-সেবা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আয়োজকেরা আশ্বাস দিয়েছিলেন, ‘হয়ে যাবে হয়ে যাবে, কিচ্ছু চিন্তা করবেন না।’ গলাবাজিই সার। দেশে বসে যারা টেলিভিশনে খেলা দেখেছেন শারজায় আসা সাংবাদিকদের চেয়ে ভাগ্যবানই বলতে হবে তাদের।
শারজা ক্রিকেট ক্লাবকে এসব কারণে দোষ দেওয়ার উপায় নেই। পিসিএলের জন্য তারা মাঠ আর অন্যান্য অবকাঠামো ভাড়া দিয়েছে বাংলাদেশি আয়োজকদের। অব্যবস্থাপনার পুরো দায়-দায়িত্ব তাই পিসিএল কর্তৃপক্ষেরই। টুর্নামেন্ট শুরুর দিনে নতুন অভিযোগ তুলল টপ স্পোর্টস ক্লাব—মোহামেডান নাকি কোটার বাইরের ক্রিকেটার খেলিয়েছে প্রথম ম্যাচে!
স্থানীয় সময় বিকেল তিনটায় মোহামেডান-টপ স্পোর্টসের ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে টুর্নামেন্ট। বেলুন উড়িয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন। ভিসা-জটিলতায় মমতাজের দেখা না মিললেও শিরিনের পাঞ্জাবীওয়ালা কিংবা মিলার ‘কোমর দোলাইয়া’ গানের সঙ্গে চিয়ারগার্লরা নেচেছেন। প্রথম ম্যাচের পর ৪০ মিনিটের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে ছিল শিশুদের ডিসপ্লে, অ্যারাবিক ও আফ্রিকান গান আর নৃত্য। প্রায় শূন্য গ্যালারিতে যে অল্পসংখ্যক দর্শক বসেছিল, এসবে হয়তো কিছুটা মন জুড়িয়েছে তাদের। তবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যদের মেলা একটু বাড়াবাড়িই মনে হয়েছে।
এই টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত একমাত্র আশা-জাগানিয়া কাজটি করেছে এটিএন বাংলা। শনিবার রাতে শারজায় পৌঁছেই তারা প্রথম দিন থেকে ম্যাচের সম্প্রচার নিশ্চিত করেছে।
No comments