ছাত্রদল নিয়ে খালেদা জিয়া -সংগঠনটি লেজুড়বৃত্তি থেকে মুক্ত করুন
গত বুধবার রাজধানীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের এক সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতি সম্পর্কে যেসব নির্দেশনামূলক কথাবার্তা বলেছেন, তা আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তিনি বলেছেন, ছাত্রদের দিয়েই ছাত্রদল চালানো হবে; ভবিষ্যতে ছাত্র সংগঠনটির সব কমিটিতে শুধু ছাত্রদেরই রাখা হবে। বয়স্ক, অর্থাৎ যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে, তাঁরা যাবেন বিএনপি ও যুবদলে।
ছাত্ররাই ছাত্রসংগঠনের সদস্য বা নেতা হবেন, অছাত্ররা নয়—এই সাধারণ নিয়মটি যে মানা দরকার, খালেদা জিয়ার এ উপলব্ধিকে স্বাগত জানাতে হয়। মধ্যবয়সী, ছেলেমেয়ের বাবা হয়েছেন, এমন নেতাদের আর ছাত্রসংগঠনে থাকতে দেওয়া হবে না—এটি বেশ ভালো কথা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সঙ্গে বিএনপি বা যুবদলের কী সম্পর্ক? প্রশ্নটি উঠছে এ কারণে যে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী, ছাত্র সংগঠনগুলো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগী বা অঙ্গসংগঠন হিসেবে থাকতে পারে না। তাহলে বিএনপির চেয়ারপারসন কী এখতিয়ারে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় নির্দেশ জারি করতে পারেন।
তিন সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রদলের একটি স্থায়ী গঠনতন্ত্র তৈরি করার নির্দেশ দেওয়ার সময় বিএনপির চেয়ারপারসন হয়তো খেয়াল করেননি, এ নির্দেশের মধ্য দিয়ে এই সত্য আরও প্রকট হয়ে ওঠে যে ছাত্রদল নামের সংগঠনটি আগের মতোই বিএনপির হুকুমে চলবে। এভাবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইনের একটি শর্তকে কার্যত অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের এদিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত। কমিশনের তরফ থেকে এ বিষয়ে একটা বক্তব্য প্রত্যাশিত। শুধু ছাত্রদলের বিষয়ে নয়, ছাত্রলীগ ও ইসলামী ছাত্রশিবিরও কার্যত আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গসংগঠন হিসেবেই সক্রিয় রয়েছে। সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বর্বরতার ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সংশ্লিষ্টতার খবর বেরিয়েছে। ছাত্রলীগের ব্যাপারেও সরকারি দলের কর্তৃত্ব সুস্পষ্ট। তাহলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইনের এ-সংক্রান্ত ধারার কী অর্থ থাকল?
দ্বিতীয়ত, খালেদা জিয়ার নির্দেশে ছাত্রদল থেকে সব অছাত্র যদি বিদায় নেন, অতঃপর শুধু ছাত্রদের দ্বারাই সংগঠনটি পরিচালিত হয়, তাহলে কি তাদের মধ্যে গুণগত কোনো পরিবর্তন আসবে? অর্থাৎ শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, হল দখল, আসন-বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ যেসব কর্মকাণ্ড এখন ছাত্র সংগঠনগুলোর মূল তৎপরতা হয়ে উঠেছে, ছাত্রদল কি সেগুলো পরিত্যাগ করবে? যেসব ছাত্র ছাত্রদলের নেতৃত্বে আসতে চান, সংগঠনটির প্রতি তাঁদের অঙ্গীকার কী? কী তাঁদের চূড়ান্ত লক্ষ্য? তাঁরা কি ছাত্র সংগঠনটিকে ছাত্রসমাজের মঙ্গলকামী সংগঠনে রূপান্তর করার উদ্যোগ নেবেন? পড়াশোনা, গবেষণা, খেলাধুলা, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে প্রাণবন্ত করে তুলবেন? জাতীয় স্বার্থের কোনো বিষয় গোটা জাতিকে যখন নাড়া দেবে, তখন সমগ্র জাতির স্বার্থে জনগণের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে কথা বলবেন?
বলা বাহুল্য, এসব সিদ্ধান্ত ছাত্রদলকেই নিতে হবে। বিএনপির চেয়ারপারসনের নির্দেশ এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নয়। খালেদা জিয়া যদি আন্তরিকভাবেই ছাত্রদলের মঙ্গল চান, তাহলে বিএনপির লেজুড়বৃত্তি থেকে মুক্ত করে সংগঠনটিকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে চলতে দেওয়াই হবে সত্যিকারের কাজ।
ছাত্ররাই ছাত্রসংগঠনের সদস্য বা নেতা হবেন, অছাত্ররা নয়—এই সাধারণ নিয়মটি যে মানা দরকার, খালেদা জিয়ার এ উপলব্ধিকে স্বাগত জানাতে হয়। মধ্যবয়সী, ছেলেমেয়ের বাবা হয়েছেন, এমন নেতাদের আর ছাত্রসংগঠনে থাকতে দেওয়া হবে না—এটি বেশ ভালো কথা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সঙ্গে বিএনপি বা যুবদলের কী সম্পর্ক? প্রশ্নটি উঠছে এ কারণে যে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী, ছাত্র সংগঠনগুলো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগী বা অঙ্গসংগঠন হিসেবে থাকতে পারে না। তাহলে বিএনপির চেয়ারপারসন কী এখতিয়ারে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় নির্দেশ জারি করতে পারেন।
তিন সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রদলের একটি স্থায়ী গঠনতন্ত্র তৈরি করার নির্দেশ দেওয়ার সময় বিএনপির চেয়ারপারসন হয়তো খেয়াল করেননি, এ নির্দেশের মধ্য দিয়ে এই সত্য আরও প্রকট হয়ে ওঠে যে ছাত্রদল নামের সংগঠনটি আগের মতোই বিএনপির হুকুমে চলবে। এভাবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইনের একটি শর্তকে কার্যত অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের এদিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত। কমিশনের তরফ থেকে এ বিষয়ে একটা বক্তব্য প্রত্যাশিত। শুধু ছাত্রদলের বিষয়ে নয়, ছাত্রলীগ ও ইসলামী ছাত্রশিবিরও কার্যত আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গসংগঠন হিসেবেই সক্রিয় রয়েছে। সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বর্বরতার ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সংশ্লিষ্টতার খবর বেরিয়েছে। ছাত্রলীগের ব্যাপারেও সরকারি দলের কর্তৃত্ব সুস্পষ্ট। তাহলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইনের এ-সংক্রান্ত ধারার কী অর্থ থাকল?
দ্বিতীয়ত, খালেদা জিয়ার নির্দেশে ছাত্রদল থেকে সব অছাত্র যদি বিদায় নেন, অতঃপর শুধু ছাত্রদের দ্বারাই সংগঠনটি পরিচালিত হয়, তাহলে কি তাদের মধ্যে গুণগত কোনো পরিবর্তন আসবে? অর্থাৎ শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, হল দখল, আসন-বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ যেসব কর্মকাণ্ড এখন ছাত্র সংগঠনগুলোর মূল তৎপরতা হয়ে উঠেছে, ছাত্রদল কি সেগুলো পরিত্যাগ করবে? যেসব ছাত্র ছাত্রদলের নেতৃত্বে আসতে চান, সংগঠনটির প্রতি তাঁদের অঙ্গীকার কী? কী তাঁদের চূড়ান্ত লক্ষ্য? তাঁরা কি ছাত্র সংগঠনটিকে ছাত্রসমাজের মঙ্গলকামী সংগঠনে রূপান্তর করার উদ্যোগ নেবেন? পড়াশোনা, গবেষণা, খেলাধুলা, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে প্রাণবন্ত করে তুলবেন? জাতীয় স্বার্থের কোনো বিষয় গোটা জাতিকে যখন নাড়া দেবে, তখন সমগ্র জাতির স্বার্থে জনগণের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে কথা বলবেন?
বলা বাহুল্য, এসব সিদ্ধান্ত ছাত্রদলকেই নিতে হবে। বিএনপির চেয়ারপারসনের নির্দেশ এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নয়। খালেদা জিয়া যদি আন্তরিকভাবেই ছাত্রদলের মঙ্গল চান, তাহলে বিএনপির লেজুড়বৃত্তি থেকে মুক্ত করে সংগঠনটিকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে চলতে দেওয়াই হবে সত্যিকারের কাজ।
No comments