পাকিস্তানে আরও কয়েকজন তালেবান নেতা গ্রেপ্তার
মার্কিন গোয়েন্দা-সহায়তায় তালেবানের আরও বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। গ্রেপ্তার হওয়া তালেবান নেতাদের মধ্যে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের পরিচিত সহযোগীও রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তানের একটি গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত বুধবার দিনের শেষে ও বৃহস্পতিবার ভোরে পাকিস্তানের বন্দরনগর করাচির কাছে তিনটি পৃথক অভিযান চালিয়ে আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়জন তালেবান জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আফগান ও পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানান, পৃথক অভিযান চালিয়ে তালেবানের দুজন ‘ছায়া গভর্নরকেও’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ওই কর্মকর্তারা এর চেয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
পাকিস্তানের করাচিতে তালেবান-প্রধান মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের ডেপুটি মোল্লা আবদুল গনি বারাদারের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নতুন করে এসব গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেল। হোয়াইট হাউস ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী বারাদারের গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করলেও বারাদার কীভাবে গ্রেপ্তার হয়েছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
তবে পাকিস্তানি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, আবদুল গনি বারাদার করাচির উপকণ্ঠে গাড়িতে করে যাওয়ার সময় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ধাওয়া করে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন। ওই সময় তাঁর তিন দেহরক্ষীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, বারাদার ‘দরকারি’ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন, যা অন্য জঙ্গিদের গ্রেপ্তারে সহায়তা করেছে।
তাঁরা জানান, মার্কিন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গতিবিধি অনুসরণ ও গ্রেপ্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পেন্টাগনের মুখপাত্র জিওফ মোরেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক গ্রেপ্তারে খুশি।
যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের আফগানিস্তানে বিদ্রোহ তত্পরতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। অন্যরা পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় সক্রিয় জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য।
গজনি প্রদেশের আদিবাসী নেতা মোল্লা মামামুদ জানান, গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে ওসামা বিন লাদেনের সহযোগী আমির মুয়াবিয়াও রয়েছেন। তিনি পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিদেশি আল-কায়েদা জঙ্গিদের দায়িত্বে রয়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আরও রয়েছেন আখুনজাদা পোপালজাই। তিনি মোহাম্মদ ইউনুস নামেও পরিচিত। কাবুলের সাবেক ওই পুলিশপ্রধান জাবুল প্রদেশের ‘ছায়া গভর্নর’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
করাচিতে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তালেবান আমলের আফগান সেনাবাহিনীর সাবেক কমান্ডার হামজা এবং পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় চেচেন ও তাজিক জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব পালনকারী আবু রিয়াদ আল-জারকাবিও রয়েছেন।
কুন্দুজের গভর্নর মোহাম্মদ ওমর জানান, কুন্দুজে তালেবানের ‘ছায়া গভর্নর’ মোল্লা আবদুস সালাম ও বাগলান প্রদেশের ‘ছায়া গভর্নর’ মোল্লা মোহাম্মদকে ১০-১২ দিন আগে পৃথক অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে তালেবানের একজন মুখপাত্র ওই গ্রেপ্তারের খবর নাকচ করে দিয়ে বলেন, মারজাহতে ন্যাটো ও আফগান বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত তালেবান যোদ্ধাদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য ওই মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বলেছেন, পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আফগান তালেবানের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার সিরাজ হাক্কানির ছেলে নিহত হয়েছে।
দুই কর্মকর্তা গতকাল শুক্রবার জানান, আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী উত্তর ওয়াজিরিস্তানের দান্দে দাপরা খেল এলাকার একটি বাড়িতে ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। হামলায় সিরাজ হাক্কানির ছেলে মোহাম্মদ হাক্কানি ও তাঁর তিন সহযোগী নিহত হয়েছে। ওই দুই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন। কারণ সরাসরি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁরা দায়িত্বপ্রাপ্ত নন।
কর্মকর্তারা বলেন, মনে হচ্ছে সিরাজ হাক্কানিকে লক্ষ্য করেই ওই হামলা চালানো হয়েছিল। তিনি ওই হামলায় আহত হয়েছেন কি না, সেটা জানা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তানের একটি গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত বুধবার দিনের শেষে ও বৃহস্পতিবার ভোরে পাকিস্তানের বন্দরনগর করাচির কাছে তিনটি পৃথক অভিযান চালিয়ে আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়জন তালেবান জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আফগান ও পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানান, পৃথক অভিযান চালিয়ে তালেবানের দুজন ‘ছায়া গভর্নরকেও’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ওই কর্মকর্তারা এর চেয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
পাকিস্তানের করাচিতে তালেবান-প্রধান মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের ডেপুটি মোল্লা আবদুল গনি বারাদারের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নতুন করে এসব গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেল। হোয়াইট হাউস ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী বারাদারের গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করলেও বারাদার কীভাবে গ্রেপ্তার হয়েছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
তবে পাকিস্তানি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, আবদুল গনি বারাদার করাচির উপকণ্ঠে গাড়িতে করে যাওয়ার সময় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ধাওয়া করে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন। ওই সময় তাঁর তিন দেহরক্ষীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, বারাদার ‘দরকারি’ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন, যা অন্য জঙ্গিদের গ্রেপ্তারে সহায়তা করেছে।
তাঁরা জানান, মার্কিন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গতিবিধি অনুসরণ ও গ্রেপ্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পেন্টাগনের মুখপাত্র জিওফ মোরেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক গ্রেপ্তারে খুশি।
যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের আফগানিস্তানে বিদ্রোহ তত্পরতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। অন্যরা পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় সক্রিয় জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য।
গজনি প্রদেশের আদিবাসী নেতা মোল্লা মামামুদ জানান, গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে ওসামা বিন লাদেনের সহযোগী আমির মুয়াবিয়াও রয়েছেন। তিনি পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিদেশি আল-কায়েদা জঙ্গিদের দায়িত্বে রয়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আরও রয়েছেন আখুনজাদা পোপালজাই। তিনি মোহাম্মদ ইউনুস নামেও পরিচিত। কাবুলের সাবেক ওই পুলিশপ্রধান জাবুল প্রদেশের ‘ছায়া গভর্নর’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
করাচিতে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তালেবান আমলের আফগান সেনাবাহিনীর সাবেক কমান্ডার হামজা এবং পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় চেচেন ও তাজিক জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব পালনকারী আবু রিয়াদ আল-জারকাবিও রয়েছেন।
কুন্দুজের গভর্নর মোহাম্মদ ওমর জানান, কুন্দুজে তালেবানের ‘ছায়া গভর্নর’ মোল্লা আবদুস সালাম ও বাগলান প্রদেশের ‘ছায়া গভর্নর’ মোল্লা মোহাম্মদকে ১০-১২ দিন আগে পৃথক অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে তালেবানের একজন মুখপাত্র ওই গ্রেপ্তারের খবর নাকচ করে দিয়ে বলেন, মারজাহতে ন্যাটো ও আফগান বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত তালেবান যোদ্ধাদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য ওই মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বলেছেন, পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আফগান তালেবানের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার সিরাজ হাক্কানির ছেলে নিহত হয়েছে।
দুই কর্মকর্তা গতকাল শুক্রবার জানান, আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী উত্তর ওয়াজিরিস্তানের দান্দে দাপরা খেল এলাকার একটি বাড়িতে ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। হামলায় সিরাজ হাক্কানির ছেলে মোহাম্মদ হাক্কানি ও তাঁর তিন সহযোগী নিহত হয়েছে। ওই দুই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন। কারণ সরাসরি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁরা দায়িত্বপ্রাপ্ত নন।
কর্মকর্তারা বলেন, মনে হচ্ছে সিরাজ হাক্কানিকে লক্ষ্য করেই ওই হামলা চালানো হয়েছিল। তিনি ওই হামলায় আহত হয়েছেন কি না, সেটা জানা যায়নি।
No comments