শাহরুখের কাছে পরাজিত শিবসেনা by শান্তনু মজুমদার
ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা শাহরুখ খানের কাছে হেরে গেছে দেশটির হিন্দু মৌলবাদী সংগঠন শিবসেনা ও তার দোসরেরা। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া শাহরুখের মাই নেম ইজ খান দেখার জন্য ভারতজুড়ে সিনেমা হলমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। শাহরুখ এই ছবির প্রধান অভিনেতা। কয়েক সপ্তাহ আগে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের খেলতে দেওয়ার পক্ষে কথা বলার পর থেকেই শিবসেনা ও তার দোসরেরা ছবিটির প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়ার আস্ফাালন করেছিল। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে দেখা যাচ্ছে, জনজোয়ারের তোড়ে প্রধান ঘাঁটি মুম্বাই শহর থেকেই আরব সাগরে ভেসে গেছে সেনাদল। গণমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, সারা ভারতেই একই অবস্থা।
আর দশজন মৌলবাদীর মতো শিবসেনা নেতা বাল থাকরে হচ্ছেন মনোযোগ আকর্ষণে মরিয়া এক নির্লজ্জ ব্যক্তি। যেই না শাহরুখের মুখ দিয়ে আইপিএল-বিষয়ক মন্তব্যটি বেরিয়েছে, ওমনি হুঙ্কার ছাড়লেন থাকরে। মনে বড় আশা, নিজের ও শিবসেনার জন্য কিছু পাবলিসিটি বাগিয়ে নেওয়া। উসকানিমূলক কথাবার্তা আর নানা স্থানে মাই নেম ইজ খান-এর ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে দেশ-বিদেশে প্রচার পেলেও ছবিটি মুক্তির পর জনরায়ে তাদের চরম পরাজয়ের ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়েছে। ছবি বন্ধ করে দেওয়া তো দূরের কথা, সিনেমা হলমুখী মানুষের ক্ষোভের মধ্যে পড়ার আশঙ্কায়ই সম্ভবত সেনা কিংবা তাদের দোসর বজরংদের দুই-একটি বিচ্ছিন্ন স্থান ছাড়া তেমন কোথাও দেখা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি ছবিটি মুক্তি পাওয়ার দিন। মৌলবাদীদের শয়তানি প্রতিরোধে সংবাদ-মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যগুলো দেখে মনে হয়, এবারো এগিয়ে কলকাতা। তবে মুম্বাই ও নয়াদিল্লির মতো স্থানেও মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান দেখা গেছে।
খানের দোষটা কী? খানের কোন দোষ নেই। এবার আইপিএলের নিলামে তালিকাভুক্ত ১১ পাকিস্তানি ক্রিকেটারের জন্য দর হাঁকেনি কোনো দল। স্পষ্ট কোনো কারণ দেখানো হয়নি। দল-মালিকদের পক্ষে কেউ-কেউ জানিয়েছেন, পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ভিসা পেতে সমস্যা হবে ভেবে মিলিয়ন-মিলিয়ন ডলারের ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। তবে অনেকেই মনে করেন, পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ভারতে আসতে দেওয়ার বিরুদ্ধে শিবসেনার হুমকিতে ভয় পেয়েই নিলামে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের কেনার আগ্রহ দেখায়নি দলগুলো। উল্লেখ্য, শাহরুখ খান নিজেই আইপিএলের অন্যতম দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক। কারণ যা-ই হোক, সিদ্ধান্তটি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক কথাবার্তা হয়েছে এবং শাহরুখ খান নিজের মতটি দিয়েছেন।
খেয়াল করার মতো বিষয় হচ্ছে, অনেকেই এ নিয়ে কথা বললেও মৌলবাদীরা শাহরুখ খানকেই ‘সিঙ্গেল আউট’ করে এবং যথারীতি ধর্মীয় বিষ ছড়াতে শুরু করে। দলীয় মুখপত্র সামনায় থাকরে লেখেন : শাহরুখ নামের এক খান আমাদের বলছে পাকিস্তানকে ভালোবাসতে। এই ধর্মবাদীর মতে, শাহরুখ খান হচ্ছেন একজন ‘বিশ্বাসঘাতক’। ওস্তাদের বচনের মাজেজা স্পষ্টতর হয়েছে শিষ্য সঞ্জয় রাউতের কথায়। সামনায় সংশোধন-অযোগ্য এই হতভাগ্য মৌলবাদীটি লেখেন : আসলে শাহরুখ নয়, বরং তাঁর ভেতরে থাকা খানটিই এসব কথা বলাচ্ছে। আইপিএলে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের খেলার সুযোগ উন্মুক্ত থাকার পক্ষে কথা বলার কারণে শাহরুখকে লাহোর, করাচি বা ইসলামাবাদ চলে যেতে বলেছেন তিনি। এটাই হচ্ছে মৌলবাদীদের স্টাইল। শাহরুখ খানের নাম শাহরুখ খান হওয়ার সুযোগটি নিয়ে তাঁকে ‘সাইজ’ করে দিয়ে নিজেদের বাহুবল দেখাতে চেয়েছিল সেনারদল। এভাবেই সেকুলার শক্তির গুটিয়ে থাকার সুযোগে তারা বাজিমাত করে ফেলে অনেক সময়। কিন্তু শাহরুখ খানের বেলায় এটা সম্ভব হয়নি।
কীভাবে হবে? প্রথম কথা, মৌলবাদীদের ভয় না পেয়ে শাহরুখ খান প্রথম থেকেই অনড় মনোভাব দেখাতে পেরেছেন। তাঁর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন না তোলার জন্যও আহ্বান জানান শাহরুখ। খান এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, তাঁর পিতা তাজ মোহাম্মদ ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ স্বাধীনতা সংগ্রামী, যিনি ১৯৪২ সালের ‘ভারত-ছাড়’ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
দ্বিতীয় কথা, বাজার। মৌলবাদীরা পেছনে লাগলে কী হবে, ভারতীয়রা শাহরুখ খানকে অনবরত দেখতে চায়। দেখতেই চায়। তিনি হিন্দি সিনেমার এক নম্বর হিরো এক দশকেরও বেশি সময়জুড়ে। সে জন্য গুজরাটের মতো রাজ্যের, যেখানে শীর্ষ মৌলবাদী নরেন্দ্র মোদি হচ্ছেন বারবার ভোট-জেতা মুখ্যমন্ত্রী, সেখানের হলগুলোতেও সাড়ম্বরে মুক্তি পেয়েছে মাই নেম ইজ খান। মুক্তির দিন শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বেঁকে থাকলেও সারা দেশে অভূতপূর্ব সমর্থনের খবর আসতে শুরু করলে দুপুর থেকে খানকে দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন হলমালিকেরা। শেষ পর্যন্ত টাকাই কথা বলে। সবাই জানে, মৌলবাদ পুঁজিবাদের উপজাত; কিন্তু মাল কামাইয়ে বিঘটন তৈরি করলে পুঁজিবাদ প্রথমে ঝেড়ে ফেলতে চায় মৌলবাদকে। তাতে কাজ না হলে লাথি মারে।
এবার শিবসেনাদের কলকে না পাওয়ার আরেকটা বড় কারণ আছে। শাহরুখ খান বহির্বিশ্বে সর্বাধিক পরিচিত ভারতীয় মুখ। লতা মুঙ্গেশকর, শচীন তেন্ডুলকার, অমিতাভ বচ্চনকে মনে রেখেও এটা সত্য। কেননা হিন্দি সিনেমার বিস্তৃতির তুলনায় হিন্দি গান বা ক্রিকেট অনেকটা পিছিয়ে। আর বিশ্ববাজারে অমিতাভের চেয়ে শাহরুখের জনপ্রিয়তাও একটি বাস্তবতা। উপনিবেশিক দাস্যভাব না কাটার কারণে উত্তর আমেরিকা বা পশ্চিম ইউরোপীয় ট্যাগ না থাকলে যাঁরা স্বস্তি পান না, তাঁরা ছাড়া সবাই মানবেন, শাহরুখ খানের জনপ্রিয়তা আসলে পৃথিবীর যেকোন সিনে-তারকার চেয়ে বেশি। সেদিন বিবিসির ফ্রাইডে ইভিনিং উইথ জোনাথন রস অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন শাহরুখ খান। উপস্থাপক রস দর্শকদের জানান, শাহরুখের ফ্যানের সংখ্যা মিলিয়নে নয়, বিলিয়নে গুনতে হয় এবং শাহরুখ খান হচ্ছেন পৃথিবীর জনপ্রিয়তম সিনে-তারকা। তো, এ ব্যাপারটা গুনতিতে না নিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকায় থেকে বাবরি মসজিদ গুঁড়ানোর মতো ঘটনা এবার ঘটতে দেয়নি ভারতীয় প্রশাসন।
শান্তনু মজুমদার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক। বর্তমানে ইন্সটিটিউট অফ কমনওয়েলথ স্টাডিজে গবেষণারত।
আর দশজন মৌলবাদীর মতো শিবসেনা নেতা বাল থাকরে হচ্ছেন মনোযোগ আকর্ষণে মরিয়া এক নির্লজ্জ ব্যক্তি। যেই না শাহরুখের মুখ দিয়ে আইপিএল-বিষয়ক মন্তব্যটি বেরিয়েছে, ওমনি হুঙ্কার ছাড়লেন থাকরে। মনে বড় আশা, নিজের ও শিবসেনার জন্য কিছু পাবলিসিটি বাগিয়ে নেওয়া। উসকানিমূলক কথাবার্তা আর নানা স্থানে মাই নেম ইজ খান-এর ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে দেশ-বিদেশে প্রচার পেলেও ছবিটি মুক্তির পর জনরায়ে তাদের চরম পরাজয়ের ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়েছে। ছবি বন্ধ করে দেওয়া তো দূরের কথা, সিনেমা হলমুখী মানুষের ক্ষোভের মধ্যে পড়ার আশঙ্কায়ই সম্ভবত সেনা কিংবা তাদের দোসর বজরংদের দুই-একটি বিচ্ছিন্ন স্থান ছাড়া তেমন কোথাও দেখা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি ছবিটি মুক্তি পাওয়ার দিন। মৌলবাদীদের শয়তানি প্রতিরোধে সংবাদ-মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যগুলো দেখে মনে হয়, এবারো এগিয়ে কলকাতা। তবে মুম্বাই ও নয়াদিল্লির মতো স্থানেও মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান দেখা গেছে।
খানের দোষটা কী? খানের কোন দোষ নেই। এবার আইপিএলের নিলামে তালিকাভুক্ত ১১ পাকিস্তানি ক্রিকেটারের জন্য দর হাঁকেনি কোনো দল। স্পষ্ট কোনো কারণ দেখানো হয়নি। দল-মালিকদের পক্ষে কেউ-কেউ জানিয়েছেন, পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ভিসা পেতে সমস্যা হবে ভেবে মিলিয়ন-মিলিয়ন ডলারের ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। তবে অনেকেই মনে করেন, পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ভারতে আসতে দেওয়ার বিরুদ্ধে শিবসেনার হুমকিতে ভয় পেয়েই নিলামে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের কেনার আগ্রহ দেখায়নি দলগুলো। উল্লেখ্য, শাহরুখ খান নিজেই আইপিএলের অন্যতম দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক। কারণ যা-ই হোক, সিদ্ধান্তটি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক কথাবার্তা হয়েছে এবং শাহরুখ খান নিজের মতটি দিয়েছেন।
খেয়াল করার মতো বিষয় হচ্ছে, অনেকেই এ নিয়ে কথা বললেও মৌলবাদীরা শাহরুখ খানকেই ‘সিঙ্গেল আউট’ করে এবং যথারীতি ধর্মীয় বিষ ছড়াতে শুরু করে। দলীয় মুখপত্র সামনায় থাকরে লেখেন : শাহরুখ নামের এক খান আমাদের বলছে পাকিস্তানকে ভালোবাসতে। এই ধর্মবাদীর মতে, শাহরুখ খান হচ্ছেন একজন ‘বিশ্বাসঘাতক’। ওস্তাদের বচনের মাজেজা স্পষ্টতর হয়েছে শিষ্য সঞ্জয় রাউতের কথায়। সামনায় সংশোধন-অযোগ্য এই হতভাগ্য মৌলবাদীটি লেখেন : আসলে শাহরুখ নয়, বরং তাঁর ভেতরে থাকা খানটিই এসব কথা বলাচ্ছে। আইপিএলে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের খেলার সুযোগ উন্মুক্ত থাকার পক্ষে কথা বলার কারণে শাহরুখকে লাহোর, করাচি বা ইসলামাবাদ চলে যেতে বলেছেন তিনি। এটাই হচ্ছে মৌলবাদীদের স্টাইল। শাহরুখ খানের নাম শাহরুখ খান হওয়ার সুযোগটি নিয়ে তাঁকে ‘সাইজ’ করে দিয়ে নিজেদের বাহুবল দেখাতে চেয়েছিল সেনারদল। এভাবেই সেকুলার শক্তির গুটিয়ে থাকার সুযোগে তারা বাজিমাত করে ফেলে অনেক সময়। কিন্তু শাহরুখ খানের বেলায় এটা সম্ভব হয়নি।
কীভাবে হবে? প্রথম কথা, মৌলবাদীদের ভয় না পেয়ে শাহরুখ খান প্রথম থেকেই অনড় মনোভাব দেখাতে পেরেছেন। তাঁর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন না তোলার জন্যও আহ্বান জানান শাহরুখ। খান এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, তাঁর পিতা তাজ মোহাম্মদ ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ স্বাধীনতা সংগ্রামী, যিনি ১৯৪২ সালের ‘ভারত-ছাড়’ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
দ্বিতীয় কথা, বাজার। মৌলবাদীরা পেছনে লাগলে কী হবে, ভারতীয়রা শাহরুখ খানকে অনবরত দেখতে চায়। দেখতেই চায়। তিনি হিন্দি সিনেমার এক নম্বর হিরো এক দশকেরও বেশি সময়জুড়ে। সে জন্য গুজরাটের মতো রাজ্যের, যেখানে শীর্ষ মৌলবাদী নরেন্দ্র মোদি হচ্ছেন বারবার ভোট-জেতা মুখ্যমন্ত্রী, সেখানের হলগুলোতেও সাড়ম্বরে মুক্তি পেয়েছে মাই নেম ইজ খান। মুক্তির দিন শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বেঁকে থাকলেও সারা দেশে অভূতপূর্ব সমর্থনের খবর আসতে শুরু করলে দুপুর থেকে খানকে দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন হলমালিকেরা। শেষ পর্যন্ত টাকাই কথা বলে। সবাই জানে, মৌলবাদ পুঁজিবাদের উপজাত; কিন্তু মাল কামাইয়ে বিঘটন তৈরি করলে পুঁজিবাদ প্রথমে ঝেড়ে ফেলতে চায় মৌলবাদকে। তাতে কাজ না হলে লাথি মারে।
এবার শিবসেনাদের কলকে না পাওয়ার আরেকটা বড় কারণ আছে। শাহরুখ খান বহির্বিশ্বে সর্বাধিক পরিচিত ভারতীয় মুখ। লতা মুঙ্গেশকর, শচীন তেন্ডুলকার, অমিতাভ বচ্চনকে মনে রেখেও এটা সত্য। কেননা হিন্দি সিনেমার বিস্তৃতির তুলনায় হিন্দি গান বা ক্রিকেট অনেকটা পিছিয়ে। আর বিশ্ববাজারে অমিতাভের চেয়ে শাহরুখের জনপ্রিয়তাও একটি বাস্তবতা। উপনিবেশিক দাস্যভাব না কাটার কারণে উত্তর আমেরিকা বা পশ্চিম ইউরোপীয় ট্যাগ না থাকলে যাঁরা স্বস্তি পান না, তাঁরা ছাড়া সবাই মানবেন, শাহরুখ খানের জনপ্রিয়তা আসলে পৃথিবীর যেকোন সিনে-তারকার চেয়ে বেশি। সেদিন বিবিসির ফ্রাইডে ইভিনিং উইথ জোনাথন রস অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন শাহরুখ খান। উপস্থাপক রস দর্শকদের জানান, শাহরুখের ফ্যানের সংখ্যা মিলিয়নে নয়, বিলিয়নে গুনতে হয় এবং শাহরুখ খান হচ্ছেন পৃথিবীর জনপ্রিয়তম সিনে-তারকা। তো, এ ব্যাপারটা গুনতিতে না নিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকায় থেকে বাবরি মসজিদ গুঁড়ানোর মতো ঘটনা এবার ঘটতে দেয়নি ভারতীয় প্রশাসন।
শান্তনু মজুমদার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক। বর্তমানে ইন্সটিটিউট অফ কমনওয়েলথ স্টাডিজে গবেষণারত।
No comments