পুনের হামলায় জড়িত ছিল হিন্দুত্ববাদী ‘অভিনব ভারত’!
ভারতের পুনে শহরের রেস্তোরাঁয় ১৩ ফেব্রুয়ারি বোমা হামলার পেছনে উগ্র হিন্দু সংগঠনের জড়িত থাকার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ওই ঘটনায় তদন্তকারীরা যদিও জিহাদি গ্রুপগুলোর সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করছেন, কিন্তু অনেকে মনে করছেন উগ্রপন্থী হিন্দু সংগঠন ‘অভিনব ভারত’ কিংবা অন্য কোনো সংগঠন এতে জড়িত থাকতে পারে।
এর আগে পাকিস্তানকে সরাসরি দোষারোপ না করে ভারতের স্বরাষ্ট্রসচিব জি কে পিল্লাই বলেছিলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে লস্কর-ই-তৈয়বা নেতা আমেরিকান নাগরিক ডেভিড কোলম্যান হেডলির অবশ্যই যোগাযোগ আছে।
বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, উগ্র হিন্দুত্ববাদী বেশ কয়েকটি সংগঠন আছে ভারতে, যেগুলো এ রকম সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পারে। এর মধ্যে অভিনব ভারত অন্যতম। মহাত্মা গান্ধীর খুনি গোপাল গডসের মেয়ে হিমানি সরকারের নেতৃত্বে একটি শিক্ষা ট্রাস্টের আদলে ২০০৬ সালে জন্ম হয় অভিনব ভারতের।
আদালতে মহারাষ্ট্রের আইনজীবীদের উপস্থাপিত তথ্যে জানা যায়, শিক্ষা ট্রাস্ট গড়ার আড়ালে সংগঠনটি খুব দ্রুত অস্ত্রের মজুত গড়ে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাদের অন্যতম নেতা লে. কর্নেল প্রাসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিত ২০০৭ সালে সংগঠনের কর্মীদের নির্দেশ দেন, সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে এখন মুসলমানদের আঘাত করার সময় এসে গেছে। তবে এতে অভিনব ভারতের অনেকেই তাঁর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন।
২০০৮ সালে মালেগাঁওয়ে বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন মামলায় লড়ছেন লে. কর্নেল প্রাসাদ শ্রীকান্ত। অভিযোগ মতে, ওই বছর এপ্রিলে মধ্যপ্রদেশভিত্তিক হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠনের কর্মীরা মালেগাঁওয়ে বোমা হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে। এরপর থেকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে অভিনব ভারত। তারা চায় ভারতের সব রাজ্যের অবসান ঘটিয়ে সমগ্রতাবাদ কায়েম করতে। অর্থাত্ পৃথক কোনো রাজ্যের অস্তিত্ব থাকবে না, ভারত হবে এক দেশ।
অনেকে মনে করেন, অভিনব ভারত নামে এই সংগঠনটি ইতিমধ্যে বহু সন্ত্রাসী ঘটনার জন্ম দিয়েছে। ২০০৭ সালের মে মাসে হায়দরাবাদের মক্কা মসজিদ ও আজমির শরিফে তারা একযোগে বোমা হামলা চালায়। কিন্তু তখন উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে ঘটনা দুটির সঙ্গে সংগঠনটির সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করা যায়নি।
হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর সাম্প্রতিক কার্যক্রম বিচার করলে মোটেই বোঝার উপায় নেই যে, তারা বড় কোনো সন্ত্রাসী হামলা চালাতে সক্ষম। এ অবস্থায় অনেক তদন্তকারী বলছেন, পুনের ঘটনায় অভিনব ভারতের সংশ্লিষ্টতা নাও থাকতে পারে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, অন্য কোনো হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এতে জড়িত নেই।
এর আগে পাকিস্তানকে সরাসরি দোষারোপ না করে ভারতের স্বরাষ্ট্রসচিব জি কে পিল্লাই বলেছিলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে লস্কর-ই-তৈয়বা নেতা আমেরিকান নাগরিক ডেভিড কোলম্যান হেডলির অবশ্যই যোগাযোগ আছে।
বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, উগ্র হিন্দুত্ববাদী বেশ কয়েকটি সংগঠন আছে ভারতে, যেগুলো এ রকম সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পারে। এর মধ্যে অভিনব ভারত অন্যতম। মহাত্মা গান্ধীর খুনি গোপাল গডসের মেয়ে হিমানি সরকারের নেতৃত্বে একটি শিক্ষা ট্রাস্টের আদলে ২০০৬ সালে জন্ম হয় অভিনব ভারতের।
আদালতে মহারাষ্ট্রের আইনজীবীদের উপস্থাপিত তথ্যে জানা যায়, শিক্ষা ট্রাস্ট গড়ার আড়ালে সংগঠনটি খুব দ্রুত অস্ত্রের মজুত গড়ে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাদের অন্যতম নেতা লে. কর্নেল প্রাসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিত ২০০৭ সালে সংগঠনের কর্মীদের নির্দেশ দেন, সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে এখন মুসলমানদের আঘাত করার সময় এসে গেছে। তবে এতে অভিনব ভারতের অনেকেই তাঁর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন।
২০০৮ সালে মালেগাঁওয়ে বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন মামলায় লড়ছেন লে. কর্নেল প্রাসাদ শ্রীকান্ত। অভিযোগ মতে, ওই বছর এপ্রিলে মধ্যপ্রদেশভিত্তিক হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠনের কর্মীরা মালেগাঁওয়ে বোমা হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে। এরপর থেকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে অভিনব ভারত। তারা চায় ভারতের সব রাজ্যের অবসান ঘটিয়ে সমগ্রতাবাদ কায়েম করতে। অর্থাত্ পৃথক কোনো রাজ্যের অস্তিত্ব থাকবে না, ভারত হবে এক দেশ।
অনেকে মনে করেন, অভিনব ভারত নামে এই সংগঠনটি ইতিমধ্যে বহু সন্ত্রাসী ঘটনার জন্ম দিয়েছে। ২০০৭ সালের মে মাসে হায়দরাবাদের মক্কা মসজিদ ও আজমির শরিফে তারা একযোগে বোমা হামলা চালায়। কিন্তু তখন উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে ঘটনা দুটির সঙ্গে সংগঠনটির সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করা যায়নি।
হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর সাম্প্রতিক কার্যক্রম বিচার করলে মোটেই বোঝার উপায় নেই যে, তারা বড় কোনো সন্ত্রাসী হামলা চালাতে সক্ষম। এ অবস্থায় অনেক তদন্তকারী বলছেন, পুনের ঘটনায় অভিনব ভারতের সংশ্লিষ্টতা নাও থাকতে পারে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, অন্য কোনো হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এতে জড়িত নেই।
No comments