গড়কারির নেতৃত্বে ‘উদার’ পথে বিজেপি
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নতুন প্রধান নীতিন গড়কারি দলকে কট্টর হিন্দুত্ববাদী অবস্থান থেকে সরিয়ে এনে অপেক্ষাকৃত উদার ও প্রগতিশীল জায়গায় নিয়ে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিশেষ করে দলের যেসব নীতি ও কর্মকাণ্ড সমাজের দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষতির কারণ, সেগুলো থেকে তাঁরা সরে আসবেন বলে আভাস দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দলের জাতীয় কাউন্সিলে নবনির্বাচিত সভাপতি হিসেবে তাঁকে প্রায় পাঁচ হাজার প্রতিনিধি সভাপতি হিসেবে অনুমোদন দেন।
২৪ পৃষ্ঠার লিখিত উদ্বোধনী ভাষণে তিনি ‘অন্ত্যদয়া’ (দরিদ্র শ্রেণীর কল্যাণ), ‘সামাজিক সমরাষ্ট্র’ (সামাজিক সাম্য) ও ‘বিকাশ’ (উন্নয়ন)—এ রকম বহু শব্দ ব্যবহার করেছেন। রামমন্দির ইস্যুতে বিজেপি নেতাদের দেওয়া গতানুগতিক কট্টর বক্তব্য থেকে সরে এসে তিনি নমনীয় ভাষায় কথা বলেছেন। গড়কারি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে মুসলমানদের উদার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা উচিত। সন্ত্রাস, পাকিস্তান ও কাশ্মীর প্রসঙ্গ থেকে তিনি দূরত্ব বজায় রেখেছেন। বিশেষ করে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা নিশ্চিতকরণে প্রণীত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করার বিষয়টি তিনি একেবারেই উল্লেখ করেননি। মূলত উন্নয়ন ও উদারপন্থী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তাই ছিল তাঁর বক্তব্যের মূল বিষয়। সুসংগঠিত নয়—এমন খাতগুলোর শ্রমিক ও দরিদ্র কৃষকদের দুর্দশা তাঁর বক্তব্যে প্রাধান্য পেয়েছে।
দেনার দায়ে কৃষকদের আত্মহনন ঠেকাতে গড়কারি দলীয় কর্মীদের প্রতি তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিজেপি যদি অচ্ছুত দলিত সম্প্রদায়সহ নিম্নবর্ণের ১০ শতাংশ মানুষের সমর্থনও আদায় করতে পারে, তাহলে অচিরেই তাঁরা শক্তিশালী অবস্থানে চলে আসতে পারবেন। সাধারণত উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতারা সাধারণ শ্রমিকশ্রেণীর কাছ থেকে বিশেষ শ্রদ্ধা আশা করেন। কিন্তু নীতিন গড়কারি নেতা-কর্মীদের শ্রমিকদের কাছ থেকে ষষ্ঠাঙ্গ প্রণাম না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণে অকারণে দিল্লির দিকে না ছুটে সাধারণ মানুষের সেবামূলক কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্যও তিনি তাঁদের পরামর্শ দেন। তিনি সরকারের ইতিবাচক কাজের প্রশংসা করার জন্যও নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিজেপির প্রচলিত যুদ্ধংদেহী মনোভাব থেকে সরে এসে তাঁর এ নমনীয় ভাষণ দেওয়াকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, জনসমর্থন বাড়াতে তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি অপেক্ষাকৃত উদারপন্থা বেছে নিচ্ছে।
২৪ পৃষ্ঠার লিখিত উদ্বোধনী ভাষণে তিনি ‘অন্ত্যদয়া’ (দরিদ্র শ্রেণীর কল্যাণ), ‘সামাজিক সমরাষ্ট্র’ (সামাজিক সাম্য) ও ‘বিকাশ’ (উন্নয়ন)—এ রকম বহু শব্দ ব্যবহার করেছেন। রামমন্দির ইস্যুতে বিজেপি নেতাদের দেওয়া গতানুগতিক কট্টর বক্তব্য থেকে সরে এসে তিনি নমনীয় ভাষায় কথা বলেছেন। গড়কারি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে মুসলমানদের উদার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা উচিত। সন্ত্রাস, পাকিস্তান ও কাশ্মীর প্রসঙ্গ থেকে তিনি দূরত্ব বজায় রেখেছেন। বিশেষ করে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা নিশ্চিতকরণে প্রণীত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করার বিষয়টি তিনি একেবারেই উল্লেখ করেননি। মূলত উন্নয়ন ও উদারপন্থী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তাই ছিল তাঁর বক্তব্যের মূল বিষয়। সুসংগঠিত নয়—এমন খাতগুলোর শ্রমিক ও দরিদ্র কৃষকদের দুর্দশা তাঁর বক্তব্যে প্রাধান্য পেয়েছে।
দেনার দায়ে কৃষকদের আত্মহনন ঠেকাতে গড়কারি দলীয় কর্মীদের প্রতি তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিজেপি যদি অচ্ছুত দলিত সম্প্রদায়সহ নিম্নবর্ণের ১০ শতাংশ মানুষের সমর্থনও আদায় করতে পারে, তাহলে অচিরেই তাঁরা শক্তিশালী অবস্থানে চলে আসতে পারবেন। সাধারণত উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতারা সাধারণ শ্রমিকশ্রেণীর কাছ থেকে বিশেষ শ্রদ্ধা আশা করেন। কিন্তু নীতিন গড়কারি নেতা-কর্মীদের শ্রমিকদের কাছ থেকে ষষ্ঠাঙ্গ প্রণাম না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণে অকারণে দিল্লির দিকে না ছুটে সাধারণ মানুষের সেবামূলক কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্যও তিনি তাঁদের পরামর্শ দেন। তিনি সরকারের ইতিবাচক কাজের প্রশংসা করার জন্যও নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিজেপির প্রচলিত যুদ্ধংদেহী মনোভাব থেকে সরে এসে তাঁর এ নমনীয় ভাষণ দেওয়াকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, জনসমর্থন বাড়াতে তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি অপেক্ষাকৃত উদারপন্থা বেছে নিচ্ছে।
No comments