মিয়ানমার ‘দুঃখ’ এবং...
চোখের সামনে দিয়ে মিয়ানমারের খেলোয়াড়েরা ফুরফুরে মেজাজে ঘুরছেন, আর সেটি শেল হয়ে বিঁধছে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের বুকে!
দলনেতা বলে আমিনুলের কষ্টটা একটু বেশিই, ‘কাল রাতে (পরশু) ঘুম হয়নি। মনে হয় না, কোনো খেলোয়াড় ঘুমাতে পেরেছে। এত কষ্ট পেয়েছি সবাই। হয়তো সুস্থ আছি, কিন্তু মনের অবস্থা খুবই খারাপ।’
মন সবারই খারাপ ছিল কাল। খেলোয়াড়েরা কেউই তেমন কথা বলতে চাইছিলেন না। তবু আমিনুলকে কিছু বলতেই হলো, ‘নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির কারণে মিয়ানমারের কাছে হেরে গেলাম। ওভাবে দুটি গোল হওয়ার কথা নয়। ওরা হাফ চান্স থেকে গোল করল, আমরা সহজ সুযোগও নষ্ট করলাম। এখন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের জিততেই হবে।’
অন্তর্বর্তীকালীন কোচ সাইফুল বারী আগের রাত থেকেই মিয়ানমার ম্যাচ নিয়ে শুরু করেছেন কাটাছেঁড়া। এএফসি টেকনিক্যাল গ্রুপের কাছ থেকে জেনেছেন, মিয়ানমার ম্যাচে বল পজিশনে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল (৫৪-৪৬)। ম্যাচ ভিডিও নিয়ে কাল সারা দিনই চেষ্টা করছেন ভুলগুলো বের করতে, যাতে শিক্ষা নেওয়া যায়।
‘আমাদের প্রেসিং ফুটবলের বিপরীতে মিয়ানমার শুধু দ্রুত প্রান্ত বদল করে খেলেনি, অনেক পেছন থেকে উঠে এসেছে। ওদের দ্রুত ওঠা খেলোয়াড়দের পাহারায় রাখার নির্দেশ ছিল, কিন্তু সেটা ঠিকমতো না হওয়ায় দ্বিতীয় গোলটা খেয়েছি আমরা। প্রথম গোলটার সময় আমিনুল পোস্ট না ছাড়লে ওয়ালি ফয়সাল হয়তো কাভার দিয়ে ফেলত, ওটা গোল হতো না। তা হোক, সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আমরাই তো ম্যাচটা জিততাম—’ বললেন বাংলাদেশ কোচ।
সুযোগ কাজে লাগাতে যার দিকে বেশি তাকিয়ে থাকে দল, সেই জাহিদ হাসান (এমিলি) টানা আট ম্যাচে গোল পেলেন না! কোচ যতই বলুন, ‘ও গোল না পেলেও গোল করতে সাহায্য করছে এবং আক্রমণ তৈরিতে ভূমিকা রাখছে’, কিন্তু দলে জাহিদ হাসানের থাকা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাবে হয়তো শিগগিরই। এভাবে আর কত দিন! বিকল্প না থাকায় এমিলিকে একাদশের বাইরে রাখার চিন্তা করা হচ্ছে না, তবে কথা কিন্তু উঠছে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও চিন্তিত, ‘ওর অবস্থা তো ভালো মনে হচ্ছে না। দলেই তো বোধহয় আর টিকতে পারবে না।’
জাহিদ হাসান তা ভালো করেই জানেন। কিন্তু নতুন কিছু বলার নেই। পুরোনো কথাই তাঁর কণ্ঠে, ‘একটা গোল পেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।’ একটা গোল কবে পাবেন—সেটাই প্রশ্ন। আরেক স্ট্রাইকার এনামুল গোল পেলেও নষ্ট করছেন সহজ সব সুযোগ।
কেন এমন হলো? এনামুলের উত্তর, ‘ইনশাআল্লাহ শ্রীলঙ্কা ম্যাচে হবে।’ এমন মিসের পরও এএফসির কর্মকর্তারা নাকি তাঁর সাফ দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, ‘ওই যে তেভেজের মতো যে ছেলেটা, সেই তো এই দল থেকে বাদ পড়েছিল!’
দুই হলুদ কার্ডের কারণে আজ স্টপার রেজাউল খেলতে পারছেন না। মামুন মিয়া অথবা নাসিরউদ্দিন আছেন, স্ট্রাইকার নাসিরকে প্রস্তুতি ম্যাচে জর্জেভিচ রক্ষণে খেলিয়েছেন বলে এই দলেও তাঁকে সেভাবেই ব্যবহার করার চিন্তা হচ্ছে।
উইংগার জাহিদকে নিয়ে সালাউদ্দিনের দেখা যাচ্ছে অনেক চিন্তা। নিজেই জানালেন, ‘মিয়ানমার ম্যাচের পর ওর “মগজ ধোলাই” করেছি। একটা গোল করল, আরও গোল পেত। ওর বয়সে আমিও এত ভালো প্লেয়ার ছিলাম না। ও কী করতে পারে ও নিজেও জানে না। আমি ওকে বলেছি, নিজের প্রতি উদাসীনতা কমাও। সব দিক দিয়ে তুমি ঠিক থাকলে কোচের ক্ষমতা কী তোমাকে একাদশের বাইরে রাখে!’
এমনিতে দলের পারফরম্যান্সে খুশি সালাউদ্দিন, ‘দল ভালো খেলছে।’ মিয়ানমার দুঃখটাই একটু কষ্ট দিয়েছে—এই যা!
দলনেতা বলে আমিনুলের কষ্টটা একটু বেশিই, ‘কাল রাতে (পরশু) ঘুম হয়নি। মনে হয় না, কোনো খেলোয়াড় ঘুমাতে পেরেছে। এত কষ্ট পেয়েছি সবাই। হয়তো সুস্থ আছি, কিন্তু মনের অবস্থা খুবই খারাপ।’
মন সবারই খারাপ ছিল কাল। খেলোয়াড়েরা কেউই তেমন কথা বলতে চাইছিলেন না। তবু আমিনুলকে কিছু বলতেই হলো, ‘নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির কারণে মিয়ানমারের কাছে হেরে গেলাম। ওভাবে দুটি গোল হওয়ার কথা নয়। ওরা হাফ চান্স থেকে গোল করল, আমরা সহজ সুযোগও নষ্ট করলাম। এখন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের জিততেই হবে।’
অন্তর্বর্তীকালীন কোচ সাইফুল বারী আগের রাত থেকেই মিয়ানমার ম্যাচ নিয়ে শুরু করেছেন কাটাছেঁড়া। এএফসি টেকনিক্যাল গ্রুপের কাছ থেকে জেনেছেন, মিয়ানমার ম্যাচে বল পজিশনে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল (৫৪-৪৬)। ম্যাচ ভিডিও নিয়ে কাল সারা দিনই চেষ্টা করছেন ভুলগুলো বের করতে, যাতে শিক্ষা নেওয়া যায়।
‘আমাদের প্রেসিং ফুটবলের বিপরীতে মিয়ানমার শুধু দ্রুত প্রান্ত বদল করে খেলেনি, অনেক পেছন থেকে উঠে এসেছে। ওদের দ্রুত ওঠা খেলোয়াড়দের পাহারায় রাখার নির্দেশ ছিল, কিন্তু সেটা ঠিকমতো না হওয়ায় দ্বিতীয় গোলটা খেয়েছি আমরা। প্রথম গোলটার সময় আমিনুল পোস্ট না ছাড়লে ওয়ালি ফয়সাল হয়তো কাভার দিয়ে ফেলত, ওটা গোল হতো না। তা হোক, সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আমরাই তো ম্যাচটা জিততাম—’ বললেন বাংলাদেশ কোচ।
সুযোগ কাজে লাগাতে যার দিকে বেশি তাকিয়ে থাকে দল, সেই জাহিদ হাসান (এমিলি) টানা আট ম্যাচে গোল পেলেন না! কোচ যতই বলুন, ‘ও গোল না পেলেও গোল করতে সাহায্য করছে এবং আক্রমণ তৈরিতে ভূমিকা রাখছে’, কিন্তু দলে জাহিদ হাসানের থাকা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাবে হয়তো শিগগিরই। এভাবে আর কত দিন! বিকল্প না থাকায় এমিলিকে একাদশের বাইরে রাখার চিন্তা করা হচ্ছে না, তবে কথা কিন্তু উঠছে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও চিন্তিত, ‘ওর অবস্থা তো ভালো মনে হচ্ছে না। দলেই তো বোধহয় আর টিকতে পারবে না।’
জাহিদ হাসান তা ভালো করেই জানেন। কিন্তু নতুন কিছু বলার নেই। পুরোনো কথাই তাঁর কণ্ঠে, ‘একটা গোল পেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।’ একটা গোল কবে পাবেন—সেটাই প্রশ্ন। আরেক স্ট্রাইকার এনামুল গোল পেলেও নষ্ট করছেন সহজ সব সুযোগ।
কেন এমন হলো? এনামুলের উত্তর, ‘ইনশাআল্লাহ শ্রীলঙ্কা ম্যাচে হবে।’ এমন মিসের পরও এএফসির কর্মকর্তারা নাকি তাঁর সাফ দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, ‘ওই যে তেভেজের মতো যে ছেলেটা, সেই তো এই দল থেকে বাদ পড়েছিল!’
দুই হলুদ কার্ডের কারণে আজ স্টপার রেজাউল খেলতে পারছেন না। মামুন মিয়া অথবা নাসিরউদ্দিন আছেন, স্ট্রাইকার নাসিরকে প্রস্তুতি ম্যাচে জর্জেভিচ রক্ষণে খেলিয়েছেন বলে এই দলেও তাঁকে সেভাবেই ব্যবহার করার চিন্তা হচ্ছে।
উইংগার জাহিদকে নিয়ে সালাউদ্দিনের দেখা যাচ্ছে অনেক চিন্তা। নিজেই জানালেন, ‘মিয়ানমার ম্যাচের পর ওর “মগজ ধোলাই” করেছি। একটা গোল করল, আরও গোল পেত। ওর বয়সে আমিও এত ভালো প্লেয়ার ছিলাম না। ও কী করতে পারে ও নিজেও জানে না। আমি ওকে বলেছি, নিজের প্রতি উদাসীনতা কমাও। সব দিক দিয়ে তুমি ঠিক থাকলে কোচের ক্ষমতা কী তোমাকে একাদশের বাইরে রাখে!’
এমনিতে দলের পারফরম্যান্সে খুশি সালাউদ্দিন, ‘দল ভালো খেলছে।’ মিয়ানমার দুঃখটাই একটু কষ্ট দিয়েছে—এই যা!
No comments