শ্রীলঙ্কায় নির্বাচনোত্তর দমনপীড়নের নিন্দায় মানবাধিকার সংস্থাগুলো
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ধরপাকড়ের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। বিরোধী দল ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে সরকারের দমনপীড়নের নিন্দা জানিয়েছে তারা। তামিল গেরিলা সন্দেহে হাজার হাজার মানুষকে বন্দী করে রাখার ঘটনারও সমালোচনা করেছে সংস্থাগুলো। খবর এএফপির।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ২৬ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিরোধী দলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের ওপর দমনপীড়ন চলছে। সংস্থাটির এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপপরিচালক মাধু মালহোত্রা বলেন, তামিল গেরিলাদের বিরুদ্ধে বিজয়ের পর শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক নির্যাতন বন্ধ হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তবে তার পরিবর্তে সেখানে বাকস্বাধীনতার বিরুদ্ধে দমনপীড়ন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
অ্যামনেস্টি বলেছে, শ্রীলঙ্কায় নির্বাচনের পর বিরোধী দলের সমর্থক ও সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি খ্যাতনামা পত্রিকার সম্পাদককে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের হয়রানি করা তো আছেই।
নির্বাচনের পরে বিরোধী দলের সমর্থক একটি পত্রিকা অফিসে অভিযান চালানো হয়েছে। বিরোধী নেতা শরত্ ফনসেকাকে সমর্থনকারী কয়েকটি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের দুই দিন আগে লঙ্কা ই-নিউজ ওয়েবসাইটের লেখক প্রজিত্ একনালিগোদা নিখোঁজ হন।
শ্রীলঙ্কার সাংবাদিকেরা অ্যামনেস্টিকে জানিয়েছেন, সে দেশের ৫৬ জন সাংবাদিক হুমকির মুখে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সরকারি গণমাধ্যমের কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছেন।
সেন্টার ফর মনিটরিং ইলেকশন ভায়োলেন্স নামে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, নির্বাচনোত্তর ৮৫টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুই ব্যক্তিকে হত্যা এবং কয়েকটি হামলার ঘটনা রয়েছে। তা ছাড়া বিরোধী দলের সমর্থক ১৩ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।
মালহোত্রা বলেন, ‘হুমকি, মারধর ও গ্রেপ্তারের ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে শ্রীলঙ্কার মানবাধিকারকর্মীরা তাঁদের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে হুমকির মুখে রয়েছেন।’
সরকারের অভিযোগ, সাবেক সেনাপ্রধান ফনসেকা ও তাঁর সমর্থকেরা সামরিক অভ্যুত্থানের পাঁয়তারা করছেন। গত সোমবার কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। এ ব্যাপারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি’ মনে করায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মালহোত্রা বলেন, প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের সরকারকে প্রমাণ করতে হবে যে নির্বাচনোত্তর ধরপাকড় বন্ধ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন এড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কেননা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাই শ্রীলঙ্কাকে অচল করে দিয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) শ্রীলঙ্কা সরকারের প্রতি তামিল গেরিলা সন্দেহে আটক ১১ হাজার ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে সরকার বলেছে, গত বছর গৃহযুদ্ধ অবসানের প্রাক্কালে তিন লাখ তামিল এলাকা ছাড়ার সময় ওই ১১ হাজার লোক আত্মসমর্পণ করে।
এইচআরডব্লিউ বলেছে, আটক হওয়া ব্যক্তিদের ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। সংস্থাটির আশঙ্কা, আটক ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এইচআরডব্লিউর এশীয় অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড অ্যাডাম বলেন, ‘সরকার ১১ হাজার ব্যক্তিকে মাসের পর মাস আটকে রেখেছে। এখন সময় হয়েছে, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে কারা সত্যিকার অর্থে নিরাপত্তার জন্য হুমকি তাদের চিহ্নিত করার এবং বাকিদের ছেড়ে দেওয়ার।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ২৬ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিরোধী দলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের ওপর দমনপীড়ন চলছে। সংস্থাটির এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপপরিচালক মাধু মালহোত্রা বলেন, তামিল গেরিলাদের বিরুদ্ধে বিজয়ের পর শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক নির্যাতন বন্ধ হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তবে তার পরিবর্তে সেখানে বাকস্বাধীনতার বিরুদ্ধে দমনপীড়ন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
অ্যামনেস্টি বলেছে, শ্রীলঙ্কায় নির্বাচনের পর বিরোধী দলের সমর্থক ও সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি খ্যাতনামা পত্রিকার সম্পাদককে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের হয়রানি করা তো আছেই।
নির্বাচনের পরে বিরোধী দলের সমর্থক একটি পত্রিকা অফিসে অভিযান চালানো হয়েছে। বিরোধী নেতা শরত্ ফনসেকাকে সমর্থনকারী কয়েকটি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের দুই দিন আগে লঙ্কা ই-নিউজ ওয়েবসাইটের লেখক প্রজিত্ একনালিগোদা নিখোঁজ হন।
শ্রীলঙ্কার সাংবাদিকেরা অ্যামনেস্টিকে জানিয়েছেন, সে দেশের ৫৬ জন সাংবাদিক হুমকির মুখে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সরকারি গণমাধ্যমের কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছেন।
সেন্টার ফর মনিটরিং ইলেকশন ভায়োলেন্স নামে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, নির্বাচনোত্তর ৮৫টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুই ব্যক্তিকে হত্যা এবং কয়েকটি হামলার ঘটনা রয়েছে। তা ছাড়া বিরোধী দলের সমর্থক ১৩ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।
মালহোত্রা বলেন, ‘হুমকি, মারধর ও গ্রেপ্তারের ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে শ্রীলঙ্কার মানবাধিকারকর্মীরা তাঁদের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে হুমকির মুখে রয়েছেন।’
সরকারের অভিযোগ, সাবেক সেনাপ্রধান ফনসেকা ও তাঁর সমর্থকেরা সামরিক অভ্যুত্থানের পাঁয়তারা করছেন। গত সোমবার কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। এ ব্যাপারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি’ মনে করায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মালহোত্রা বলেন, প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের সরকারকে প্রমাণ করতে হবে যে নির্বাচনোত্তর ধরপাকড় বন্ধ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন এড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কেননা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাই শ্রীলঙ্কাকে অচল করে দিয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) শ্রীলঙ্কা সরকারের প্রতি তামিল গেরিলা সন্দেহে আটক ১১ হাজার ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে সরকার বলেছে, গত বছর গৃহযুদ্ধ অবসানের প্রাক্কালে তিন লাখ তামিল এলাকা ছাড়ার সময় ওই ১১ হাজার লোক আত্মসমর্পণ করে।
এইচআরডব্লিউ বলেছে, আটক হওয়া ব্যক্তিদের ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। সংস্থাটির আশঙ্কা, আটক ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এইচআরডব্লিউর এশীয় অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড অ্যাডাম বলেন, ‘সরকার ১১ হাজার ব্যক্তিকে মাসের পর মাস আটকে রেখেছে। এখন সময় হয়েছে, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে কারা সত্যিকার অর্থে নিরাপত্তার জন্য হুমকি তাদের চিহ্নিত করার এবং বাকিদের ছেড়ে দেওয়ার।’
No comments