মৃত্যুদুয়ার থেকে ফিরেই...
হাতপাতালের ধবধবে বিছানা। টানা ছয় দিন এখানেই জ্ঞানহীন শুয়ে ছিলেন সালভাদর কাবানাস। ছিলেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। জীবনদীপ বাঁচিয়ে রাখতে দিতে হয়েছে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস। সেই কাবানাসের জ্ঞান ফিরেছে গত শনিবার। ছয় দিন পর কথাও বলেছেন। কী বলেছেন কাবানাস? বলেছেন, তিনি খেলতে চান বিশ্বকাপে!
প্যারাগুয়ের ২৯ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার গত ২৫ জানুয়ারি মেক্সিকো সিটির এক পানশালায় গুলিবিদ্ধ হন। মেক্সিকোর ‘ক্লাব আমেরিকা’র হয়ে খেলেন। এই দলের হয়ে খেলেছেন ক্লাব বিশ্বকাপেও। কিন্তু আসল বিশ্বকাপে কখনোই খেলা হয়নি তাঁর। গত বিশ্বকাপের দলে থাকলেও সাইড বেঞ্চে বসেই দেখতে হয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে প্যারাগুয়ের বিদায়।
কিন্তু এই বিশ্বকাপে দলে তাঁর জায়গা পাকাই ছিল। বাছাইপর্বে ৬ গোল করেছেন। প্যারাগুয়ের সর্বোচ্চ গোলদাতাও ছিলেন। এ বছর শুরুতেই লিগে চার গোল করে ধরে রেখেছিলেন ফর্ম। নিশ্চয়ই স্বপ্ন আঁকতে শুরু করেছিলেন ২০১০ বিশ্বকাপ নিয়ে। এর আগে সাতবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েও কখনোই দ্বিতীয় রাউন্ডের গণ্ডি পেরোতে পারেনি প্যারাগুয়ে। গতবারসহ চারবার বাদ পড়েছে প্রথম রাউন্ডেই। কিন্তু এবার বাছাইপর্বে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দেওয়া প্যারাগুয়ে বড় স্বপ্নই দেখছে।
সেই স্বপ্নের অন্যতম কারিগর হতে পারতেন কাবানাস। কিন্তু বিশ্বকাপটাই অনিশ্চিত হয়ে গেল তাঁর! ফুটবল-পাগল কাবানাস জ্ঞান ফেরার পরই ফিরে যেতে চেয়েছেন তাঁর ফুটবল-জগতে। শুধু বিশ্বকাপেই খেলতে চাননি, হাসপাতালের কেবিনে শুয়ে দেখতে চেয়েছেন ম্যাচ। আবদার পূরণ করতে কেবিনে বসাতে হয়েছে টিভি। সেখানেই তিনি দেখেছেন মেক্সিকান লিগে তাঁর দলের খেলা। সতীর্থরা অবশ্য ১-০ গোলের জয়ই উপহার দিয়েছে তাঁকে।
ফুটবল বেশ ভালো দাওয়াই হিসেবেই কাজ করছে। চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, অবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে তাঁর। যদিও মাথা থেকে গুলিটি এখনো বের করা সম্ভব হয়নি। তাঁর চিকিত্সক আর্নেস্তো মার্তিনেজ অবশ্যই বলেছেন, ‘ওর অবস্থা ভালোর দিকেই। খুব সুস্থিরভাবে ম্যাচটা দেখেছে ও। টেলিভিশনে প্রায় সব ফুটবল ম্যাচ ও দেখছে। ওই সময় হূত্স্পন্দনের গতিও স্বাভাবিকই থাকে। দ্রুত ওর চেতনা ফিরছে। স্বাভাবিকভাবে কথা বলছে। হাত-পাও নাড়াতে পারছে।’
কাবানাসের বাবা স্থানীয় এক পত্রিকাকে জানিয়েছেন, “আমরা যখন ওর ঘরে দেখা করতে গেলাম, ও আমাকে বলল, ‘বাবা, আমি বিশ্বকাপে খেলবই।” কিন্তু চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, কাবানাস বিশ্বকাপে খেলতে পারবে কি না, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। সেই উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও।
প্যারাগুয়ের কোচ জেরার্ডো মার্টিনো শিষ্যের এই আকাঙ্ক্ষায় একই সঙ্গে বিস্মিত এবং আবেগাপ্লুত। কোচ বলেছেন, কাবানাসকে অবশ্যই দলে চান তিনি। যদি মাঠে খেলতে না-ও পারেন, তার পরও দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে যেতে চান। কাবানাস যে তাঁর সতীর্থদের জন্য প্রেরণার প্রতিমূর্তি!
প্যারাগুয়ের ২৯ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার গত ২৫ জানুয়ারি মেক্সিকো সিটির এক পানশালায় গুলিবিদ্ধ হন। মেক্সিকোর ‘ক্লাব আমেরিকা’র হয়ে খেলেন। এই দলের হয়ে খেলেছেন ক্লাব বিশ্বকাপেও। কিন্তু আসল বিশ্বকাপে কখনোই খেলা হয়নি তাঁর। গত বিশ্বকাপের দলে থাকলেও সাইড বেঞ্চে বসেই দেখতে হয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে প্যারাগুয়ের বিদায়।
কিন্তু এই বিশ্বকাপে দলে তাঁর জায়গা পাকাই ছিল। বাছাইপর্বে ৬ গোল করেছেন। প্যারাগুয়ের সর্বোচ্চ গোলদাতাও ছিলেন। এ বছর শুরুতেই লিগে চার গোল করে ধরে রেখেছিলেন ফর্ম। নিশ্চয়ই স্বপ্ন আঁকতে শুরু করেছিলেন ২০১০ বিশ্বকাপ নিয়ে। এর আগে সাতবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েও কখনোই দ্বিতীয় রাউন্ডের গণ্ডি পেরোতে পারেনি প্যারাগুয়ে। গতবারসহ চারবার বাদ পড়েছে প্রথম রাউন্ডেই। কিন্তু এবার বাছাইপর্বে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দেওয়া প্যারাগুয়ে বড় স্বপ্নই দেখছে।
সেই স্বপ্নের অন্যতম কারিগর হতে পারতেন কাবানাস। কিন্তু বিশ্বকাপটাই অনিশ্চিত হয়ে গেল তাঁর! ফুটবল-পাগল কাবানাস জ্ঞান ফেরার পরই ফিরে যেতে চেয়েছেন তাঁর ফুটবল-জগতে। শুধু বিশ্বকাপেই খেলতে চাননি, হাসপাতালের কেবিনে শুয়ে দেখতে চেয়েছেন ম্যাচ। আবদার পূরণ করতে কেবিনে বসাতে হয়েছে টিভি। সেখানেই তিনি দেখেছেন মেক্সিকান লিগে তাঁর দলের খেলা। সতীর্থরা অবশ্য ১-০ গোলের জয়ই উপহার দিয়েছে তাঁকে।
ফুটবল বেশ ভালো দাওয়াই হিসেবেই কাজ করছে। চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, অবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে তাঁর। যদিও মাথা থেকে গুলিটি এখনো বের করা সম্ভব হয়নি। তাঁর চিকিত্সক আর্নেস্তো মার্তিনেজ অবশ্যই বলেছেন, ‘ওর অবস্থা ভালোর দিকেই। খুব সুস্থিরভাবে ম্যাচটা দেখেছে ও। টেলিভিশনে প্রায় সব ফুটবল ম্যাচ ও দেখছে। ওই সময় হূত্স্পন্দনের গতিও স্বাভাবিকই থাকে। দ্রুত ওর চেতনা ফিরছে। স্বাভাবিকভাবে কথা বলছে। হাত-পাও নাড়াতে পারছে।’
কাবানাসের বাবা স্থানীয় এক পত্রিকাকে জানিয়েছেন, “আমরা যখন ওর ঘরে দেখা করতে গেলাম, ও আমাকে বলল, ‘বাবা, আমি বিশ্বকাপে খেলবই।” কিন্তু চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, কাবানাস বিশ্বকাপে খেলতে পারবে কি না, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। সেই উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও।
প্যারাগুয়ের কোচ জেরার্ডো মার্টিনো শিষ্যের এই আকাঙ্ক্ষায় একই সঙ্গে বিস্মিত এবং আবেগাপ্লুত। কোচ বলেছেন, কাবানাসকে অবশ্যই দলে চান তিনি। যদি মাঠে খেলতে না-ও পারেন, তার পরও দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে যেতে চান। কাবানাস যে তাঁর সতীর্থদের জন্য প্রেরণার প্রতিমূর্তি!
No comments