দলত্যাগী জঙ্গিদের নিরাপত্তা -এই হত্যাকাণ্ড চোখ খুলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট
জঙ্গি তত্পরতা রোধে সরকার কথায় যতটা কঠোর, কাজেও সে রকম হলে রাজধানীর উত্তরায় রাশিদুল ইসলাম প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হতেন না। স্ত্রীর দাবি অনুযায়ী রাশিদুলের ‘অপরাধ’, তিনি উগ্র ধর্মীয় সংগঠন নিষিদ্ধঘোষিত জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সংস্রব ত্যাগ করে ধর্মের নামে মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। এ কারণে তাঁকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। মানুষ তাঁর সাহায্যে ছুটে এলে হত্যাকারীরা বোমা ফাটিয়ে চলে যায়।
নিহত রাশিদুল জেএমবির সদস্য ছিলেন এবং জঙ্গি তত্পরতায় জড়িত থাকার কারণে একবার গ্রেপ্তারও হন। তিনি পুলিশের অস্ত্র লুট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। তাঁর স্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে এক বছর আগে জেএমবি ছেড়ে দেন এবং মসজিদে খুতবায় ও বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে জেএমবির বিরুদ্ধে কথা বলতেন—এমনকি দলের অন্যদেরও সুপথে ফিরে আসার আহ্বান জানাতেন। এতে জেএমবির সদস্যরা রাশিদুলের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল বলে তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন। এ বক্তব্য সত্য হলে প্রশ্ন ওঠে, দেশের বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ব্যবস্থাটিকে রক্ষা করবে কে? প্রথমত, একজন দণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে যাচ্ছেন, পুলিশ তাঁর খবরও রাখে না, তাদের ভাষায় তিনি ‘পলাতক’। দ্বিতীয়ত, তিনি যে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, গোয়েন্দারা সেই খবরটুকু রাখলেও তো তাঁর নিরাপত্তার উদ্যোগ এবং এখনো কারা এই তত্পরতার সঙ্গে জড়িত, সে খবর বের করতে পারতেন। আর তৃতীয়ত, প্রকাশ্যে রাজপথে যদি এভাবে হামলা চালিয়ে খুনিরা সদম্ভে চলে যেতে পারে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা কোথায় রইল?
সোমবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী তত্পরতা দমনে র্যাব ও পুলিশকে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ ও অত্যাধুনিক অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। মহানগর পুলিশের অধীনে গঠিত হয়েছে ‘সোয়াত’ (স্পেশাল ওয়েপন্স অ্যান্ড ট্যাকটিক্স) নামে বিশেষায়িত বাহিনী। প্রচলিত প্রথায় যথাযথ চুক্তির আওতায় এ ধরনের আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এর সুফল পেতে যদি দেরি হয়, তাহলে লাভ কী? এটা ঠিক যে উন্নত প্রশিক্ষণ সবেমাত্র শুরু হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্রও অপ্রতুল। কিন্তু প্রাথমিক তত্পরতা শুরু করতে বাধা কোথায়? জঙ্গিদের হাতে দলত্যাগী জঙ্গি খুন হওয়ার পর পুলিশের চোখ খুলে যাওয়া উচিত।
শুধু বক্তৃতা-বিবৃতিতে জঙ্গি তত্পরতা বন্ধ করা যাবে না। পুলিশ যেমন এদের সহিংস তত্পরতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, তেমনি যারা জঙ্গিবাদ ত্যাগ করে সুস্থ জীবনধারায় ফিরে আসতে চায় তাদের প্রতিও যত্নবান হতে হবে। বিশেষত, তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সংগঠিত অপরাধ দমনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাক্ষীদের নিরাপত্তা কর্মসূচি (উইটনেস প্রোটেকশন প্রোগ্রাম) থাকে, আইন থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে সুপথে ফিরে আসা অপরাধীদের পুনর্বাসনের বিশেষ সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশে এ আইনের প্রয়োগ এত দুর্বল যে, নেই বললেই চলে। জঙ্গিদের বিষয়টি একটু ভিন্ন হলেও, যারা জঙ্গিবাদী তত্পরতা থেকে ফিরে আসতে চায়, তাদের নিরাপত্তা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা দরকার।
যে জঙ্গিরা রাশিদুলকে হত্যা করেছে, তাদের গ্রেপ্তার, বিচার ও আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। কাজটি বিলম্বিত না হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
নিহত রাশিদুল জেএমবির সদস্য ছিলেন এবং জঙ্গি তত্পরতায় জড়িত থাকার কারণে একবার গ্রেপ্তারও হন। তিনি পুলিশের অস্ত্র লুট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। তাঁর স্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে এক বছর আগে জেএমবি ছেড়ে দেন এবং মসজিদে খুতবায় ও বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে জেএমবির বিরুদ্ধে কথা বলতেন—এমনকি দলের অন্যদেরও সুপথে ফিরে আসার আহ্বান জানাতেন। এতে জেএমবির সদস্যরা রাশিদুলের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল বলে তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন। এ বক্তব্য সত্য হলে প্রশ্ন ওঠে, দেশের বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ব্যবস্থাটিকে রক্ষা করবে কে? প্রথমত, একজন দণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে যাচ্ছেন, পুলিশ তাঁর খবরও রাখে না, তাদের ভাষায় তিনি ‘পলাতক’। দ্বিতীয়ত, তিনি যে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, গোয়েন্দারা সেই খবরটুকু রাখলেও তো তাঁর নিরাপত্তার উদ্যোগ এবং এখনো কারা এই তত্পরতার সঙ্গে জড়িত, সে খবর বের করতে পারতেন। আর তৃতীয়ত, প্রকাশ্যে রাজপথে যদি এভাবে হামলা চালিয়ে খুনিরা সদম্ভে চলে যেতে পারে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা কোথায় রইল?
সোমবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী তত্পরতা দমনে র্যাব ও পুলিশকে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ ও অত্যাধুনিক অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। মহানগর পুলিশের অধীনে গঠিত হয়েছে ‘সোয়াত’ (স্পেশাল ওয়েপন্স অ্যান্ড ট্যাকটিক্স) নামে বিশেষায়িত বাহিনী। প্রচলিত প্রথায় যথাযথ চুক্তির আওতায় এ ধরনের আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এর সুফল পেতে যদি দেরি হয়, তাহলে লাভ কী? এটা ঠিক যে উন্নত প্রশিক্ষণ সবেমাত্র শুরু হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্রও অপ্রতুল। কিন্তু প্রাথমিক তত্পরতা শুরু করতে বাধা কোথায়? জঙ্গিদের হাতে দলত্যাগী জঙ্গি খুন হওয়ার পর পুলিশের চোখ খুলে যাওয়া উচিত।
শুধু বক্তৃতা-বিবৃতিতে জঙ্গি তত্পরতা বন্ধ করা যাবে না। পুলিশ যেমন এদের সহিংস তত্পরতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, তেমনি যারা জঙ্গিবাদ ত্যাগ করে সুস্থ জীবনধারায় ফিরে আসতে চায় তাদের প্রতিও যত্নবান হতে হবে। বিশেষত, তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সংগঠিত অপরাধ দমনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাক্ষীদের নিরাপত্তা কর্মসূচি (উইটনেস প্রোটেকশন প্রোগ্রাম) থাকে, আইন থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে সুপথে ফিরে আসা অপরাধীদের পুনর্বাসনের বিশেষ সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশে এ আইনের প্রয়োগ এত দুর্বল যে, নেই বললেই চলে। জঙ্গিদের বিষয়টি একটু ভিন্ন হলেও, যারা জঙ্গিবাদী তত্পরতা থেকে ফিরে আসতে চায়, তাদের নিরাপত্তা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা দরকার।
যে জঙ্গিরা রাশিদুলকে হত্যা করেছে, তাদের গ্রেপ্তার, বিচার ও আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। কাজটি বিলম্বিত না হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
No comments