শেয়ারবাজারে বড় পতন
পুঁজিবাজারের অর্থের প্রবাহ কমাতে ঋণ বিতরণের সীমায় আবারও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের ১: ১ অনুপাতের বেশি ঋণসুবিধা দিতে পারবে না।
অর্থাত্, কোনো গ্রাহকের নিজস্ব মূলধন এক লাখ টাকা থাকলে তিনি অতিরিক্ত আরও এক লাখ টাকা ঋণসুবিধা পাবেন, এর বেশি নয়। আগামী রোববার থেকে এ নিয়ম কার্যকর হবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) গতকাল বুধবার এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি আদেশ জারি করে।
সকালে লেনদেন শুরুর আগেই এসইসির এ আদেশের খবর দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এর পরই বাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দাম কমতে শুরু করে। দিন শেষে বড় ধরনের সূচক পতনের মধ্য দিয়েই লেনদেনের সমাপ্তি ঘটে।
এ ঘটনার মাত্র দুই দিন আগে গত সোমবার ব্রোকারেজ হাউসগুলোর ঋণের সীমা ১: ২ থেকে কমিয়ে ১: ১.৫ নির্ধারণ করে দেয় এসইসি। একই সঙ্গে সংস্থাটি যেসব কোম্পানির শেয়ারের আয় অনুপাতে দাম বা পিই ৫০ পয়েন্ট বা এর বেশি, সেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনার জন্য মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর বিনিয়োগকারীদের ঋণসুবিধা দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
কিন্তু এসব সিদ্ধান্তের পরও বাজারে রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হয়। সূচকও ছাড়িয়ে যায় অতীতের সব রেকর্ড।
এসইসির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘গত মঙ্গলবার বাজারের এই চিত্রই বলে দেয়, তাঁদের নেওয়া আগের সিদ্ধান্তটি তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। বাজারে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের প্রবাহের কারণেই এমনটি ঘটেছে। এ জন্য তারল্যপ্রবাহ কমাতে ঋণ বিতরণের সীমা কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে অতিরিক্ত ঋণ বাজারকে আরও বেশি অস্থিতিশীল করতে না পারে।’
তবে বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসইসির এ সিদ্ধান্ত আপাতত বাজারকে কিছুটা স্থিতিশীলতা এনে দিলেও কদিন স্থায়ী হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তা ছাড়া এভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে তা নতুন ধরনের সংকট সৃষ্টি করতে পারে। তাই বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনার আগেই বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
শেয়ারের বিপরীতে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর প্রদত্ত ঋণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো সীমা ছিল না। ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো ঋণের সীমা ১: ১ বেঁধে দেয় এসইসি। কিন্তু ২০০৮ সালের শেষ ভাগে বাজারে তারল্যপ্রবাহ কমে গেলে ঋণের অনুপাত বাড়িয়ে ১: ১.৫ করা হয়। ওই সময়ে ব্রোকার হাউসগুলো এক টাকার বিপরীতে ৬৭ পয়সা (১: ০.৬৭) ঋণ দিতে পারত। কিন্তু গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অব্যাহত সূচকের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রোকার হাউসগুলোর ঋণের অনুপাত বাড়িয়ে ১: ২ নির্ধারণ করা হয়।
বাজার পরিস্থিতি: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১০৪ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৩৯৯ পয়েন্টে নেমে এসেছে। আর লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৫৩ কোটি টাকা কম। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ২৫৪ পয়েন্ট কমে নেমে এসেছে ১৫ হাজার ৭৪৮ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ১৪৬ কোটি টাকা।
অর্থাত্, কোনো গ্রাহকের নিজস্ব মূলধন এক লাখ টাকা থাকলে তিনি অতিরিক্ত আরও এক লাখ টাকা ঋণসুবিধা পাবেন, এর বেশি নয়। আগামী রোববার থেকে এ নিয়ম কার্যকর হবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) গতকাল বুধবার এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি আদেশ জারি করে।
সকালে লেনদেন শুরুর আগেই এসইসির এ আদেশের খবর দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এর পরই বাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দাম কমতে শুরু করে। দিন শেষে বড় ধরনের সূচক পতনের মধ্য দিয়েই লেনদেনের সমাপ্তি ঘটে।
এ ঘটনার মাত্র দুই দিন আগে গত সোমবার ব্রোকারেজ হাউসগুলোর ঋণের সীমা ১: ২ থেকে কমিয়ে ১: ১.৫ নির্ধারণ করে দেয় এসইসি। একই সঙ্গে সংস্থাটি যেসব কোম্পানির শেয়ারের আয় অনুপাতে দাম বা পিই ৫০ পয়েন্ট বা এর বেশি, সেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনার জন্য মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর বিনিয়োগকারীদের ঋণসুবিধা দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
কিন্তু এসব সিদ্ধান্তের পরও বাজারে রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হয়। সূচকও ছাড়িয়ে যায় অতীতের সব রেকর্ড।
এসইসির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘গত মঙ্গলবার বাজারের এই চিত্রই বলে দেয়, তাঁদের নেওয়া আগের সিদ্ধান্তটি তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। বাজারে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের প্রবাহের কারণেই এমনটি ঘটেছে। এ জন্য তারল্যপ্রবাহ কমাতে ঋণ বিতরণের সীমা কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে অতিরিক্ত ঋণ বাজারকে আরও বেশি অস্থিতিশীল করতে না পারে।’
তবে বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসইসির এ সিদ্ধান্ত আপাতত বাজারকে কিছুটা স্থিতিশীলতা এনে দিলেও কদিন স্থায়ী হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তা ছাড়া এভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে তা নতুন ধরনের সংকট সৃষ্টি করতে পারে। তাই বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনার আগেই বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
শেয়ারের বিপরীতে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর প্রদত্ত ঋণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো সীমা ছিল না। ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো ঋণের সীমা ১: ১ বেঁধে দেয় এসইসি। কিন্তু ২০০৮ সালের শেষ ভাগে বাজারে তারল্যপ্রবাহ কমে গেলে ঋণের অনুপাত বাড়িয়ে ১: ১.৫ করা হয়। ওই সময়ে ব্রোকার হাউসগুলো এক টাকার বিপরীতে ৬৭ পয়সা (১: ০.৬৭) ঋণ দিতে পারত। কিন্তু গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অব্যাহত সূচকের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রোকার হাউসগুলোর ঋণের অনুপাত বাড়িয়ে ১: ২ নির্ধারণ করা হয়।
বাজার পরিস্থিতি: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১০৪ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৩৯৯ পয়েন্টে নেমে এসেছে। আর লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৫৩ কোটি টাকা কম। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ২৫৪ পয়েন্ট কমে নেমে এসেছে ১৫ হাজার ৭৪৮ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ১৪৬ কোটি টাকা।
No comments