আবার হরতাল-জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী আন্দোলনের কৌশল বর্জন করুন
মহাজোট সরকারের আমলে হরতালের অভিষেক হতে যাচ্ছে ১৪ সেপ্টেম্বর। তবে প্রধান বিরোধী দল নয়, এর সূত্রপাত করল বামপন্থী দলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুত্-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। যখন ঈদের বাজারগুলো কেবল জমজমাট হতে শুরু করেছে, তখন রাজধানীতে আধা বেলা হরতাল আহ্বান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ঈদের ভরা মৌসুমে হরতাল আহ্বানের কারণে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষতির আশঙ্কা বিরাজ করছে। ঈদে বাড়ি ফেরা লোকজন যে এ হরতালের কারণে দুর্ভোগের মুখে পড়বে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি, মানুষ হরতাল চায় না। আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে এখন আর হরতালের তেমন কার্যকারিতা দেখা যায় না। সাম্প্রতিককালে হরতাল করে কোনো দাবি আদায় হয়েছে—এমন উদাহরণও নেই। দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে, জনগণের ভোগান্তি বাড়বে এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়। হরতালের নেতিবাচক ফলের কথা আমরা অতীতে বারবার বলেছি, এখনো সেই কথা পুনর্ব্যক্ত করছি।
ঈদ মৌসুমে হরতালের ঘোষণা আসবে, এটা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। ২ সেপ্টেম্বর আন্দোলনকারীদের ওপর নিন্দনীয় পুলিশি হামলার ঘটনায় সরকার দুঃখ প্রকাশ করেছিল, সেই পরিপ্রেক্ষিতে হরতালের ঘোষণা ছিল অনেকটাই আচমকা। পুলিশি হামলার কারণে আন্দোলনকারীদের প্রতি জনগণের যে সহানুভূতি তৈরি হয়েছিল, এই হরতাল তাতেও ধস নামাতে পারে।
হরতাল আহ্বান নিয়ে এরই মধ্যে আন্দোলনকারীদের মধ্যেও বিভক্তি লক্ষ করা গেছে। ওয়ার্কার্স পার্টি হরতাল সমর্থন করেনি। জাতীয় কমিটির অন্য শরিকেরা বলতে পারে, হরতালের বিকল্প কী? আমরা বলব, আন্দোলন ও দাবি আদায়ের আরও পন্থা আছে। সারা দেশে তারা বিক্ষোভ মিছিলের যে কর্মসূচি দিয়েছে, আন্দোলনের ধরন হিসেবে তা সমর্থনযোগ্য। হরতালের মতো জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী আন্দোলনের কৌশল বর্জন করে বিকল্প কর্মসূচির সন্ধান করতে হবে।
যেকোনো ইস্যুতে আন্দোলন-সংগ্রাম করা মানুষের নাগরিক অধিকার। কিন্তু স্বতঃস্ফূর্ত জনসমর্থনের লক্ষণীয় বহিঃপ্রকাশ ছাড়া শুধু জনগণকে জিম্মি করে কোনো আন্দোলনের ফসল ঘরে তোলা যায় না। মনে রাখতে হবে, হরতালের প্রথম আঘাত আসে শ্রমজীবী মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর। কেবল কথা ও গায়ের জোরে জনগণের ওপর যখন হরতাল চাপিয়ে দেওয়া হয়, তখন এর প্রত্যক্ষ ক্ষতির শিকার শ্রমজীবী মানুষ এ আন্দোলন থেকে দূরে সরে যেতে পারে। আন্দোলনে সাফল্য অর্জনের স্বার্থেই হরতালের মতো আত্মবিনাশী কর্মসূচি পরিহার করা উচিত। দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নের স্বার্থে, জনদুর্ভোগ কমাতে হরতালের রাজনীতির অবসান ঘটাতে হবে—এ নিয়ে দ্বিমত প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই।
আমরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন এই কারণেও যে, এই একটি আধাবেলার হরতাল কিনা জাতীয় রাজনীতিতে দুঃস্বপ্নের হরতালসর্বস্ব সময়ের সূচনা ঘটায়। জাতীয় কমিটির জাতীয় স্বার্থ রক্ষার যে বৈধ উদ্বেগ তাকে নিশ্চয় আমরা গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। কিন্তু হরতাল নামের কৌশলটিকে নয়। তাই ঘোষিত হরতাল প্রত্যাহার করাই হবে বিচক্ষণতা। এ ক্ষেত্রে জাতীয় কমিটির নেতারা দূরদর্শিতার পরিচয় দেবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস।
অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি, মানুষ হরতাল চায় না। আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে এখন আর হরতালের তেমন কার্যকারিতা দেখা যায় না। সাম্প্রতিককালে হরতাল করে কোনো দাবি আদায় হয়েছে—এমন উদাহরণও নেই। দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে, জনগণের ভোগান্তি বাড়বে এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়। হরতালের নেতিবাচক ফলের কথা আমরা অতীতে বারবার বলেছি, এখনো সেই কথা পুনর্ব্যক্ত করছি।
ঈদ মৌসুমে হরতালের ঘোষণা আসবে, এটা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। ২ সেপ্টেম্বর আন্দোলনকারীদের ওপর নিন্দনীয় পুলিশি হামলার ঘটনায় সরকার দুঃখ প্রকাশ করেছিল, সেই পরিপ্রেক্ষিতে হরতালের ঘোষণা ছিল অনেকটাই আচমকা। পুলিশি হামলার কারণে আন্দোলনকারীদের প্রতি জনগণের যে সহানুভূতি তৈরি হয়েছিল, এই হরতাল তাতেও ধস নামাতে পারে।
হরতাল আহ্বান নিয়ে এরই মধ্যে আন্দোলনকারীদের মধ্যেও বিভক্তি লক্ষ করা গেছে। ওয়ার্কার্স পার্টি হরতাল সমর্থন করেনি। জাতীয় কমিটির অন্য শরিকেরা বলতে পারে, হরতালের বিকল্প কী? আমরা বলব, আন্দোলন ও দাবি আদায়ের আরও পন্থা আছে। সারা দেশে তারা বিক্ষোভ মিছিলের যে কর্মসূচি দিয়েছে, আন্দোলনের ধরন হিসেবে তা সমর্থনযোগ্য। হরতালের মতো জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী আন্দোলনের কৌশল বর্জন করে বিকল্প কর্মসূচির সন্ধান করতে হবে।
যেকোনো ইস্যুতে আন্দোলন-সংগ্রাম করা মানুষের নাগরিক অধিকার। কিন্তু স্বতঃস্ফূর্ত জনসমর্থনের লক্ষণীয় বহিঃপ্রকাশ ছাড়া শুধু জনগণকে জিম্মি করে কোনো আন্দোলনের ফসল ঘরে তোলা যায় না। মনে রাখতে হবে, হরতালের প্রথম আঘাত আসে শ্রমজীবী মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর। কেবল কথা ও গায়ের জোরে জনগণের ওপর যখন হরতাল চাপিয়ে দেওয়া হয়, তখন এর প্রত্যক্ষ ক্ষতির শিকার শ্রমজীবী মানুষ এ আন্দোলন থেকে দূরে সরে যেতে পারে। আন্দোলনে সাফল্য অর্জনের স্বার্থেই হরতালের মতো আত্মবিনাশী কর্মসূচি পরিহার করা উচিত। দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নের স্বার্থে, জনদুর্ভোগ কমাতে হরতালের রাজনীতির অবসান ঘটাতে হবে—এ নিয়ে দ্বিমত প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই।
আমরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন এই কারণেও যে, এই একটি আধাবেলার হরতাল কিনা জাতীয় রাজনীতিতে দুঃস্বপ্নের হরতালসর্বস্ব সময়ের সূচনা ঘটায়। জাতীয় কমিটির জাতীয় স্বার্থ রক্ষার যে বৈধ উদ্বেগ তাকে নিশ্চয় আমরা গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। কিন্তু হরতাল নামের কৌশলটিকে নয়। তাই ঘোষিত হরতাল প্রত্যাহার করাই হবে বিচক্ষণতা। এ ক্ষেত্রে জাতীয় কমিটির নেতারা দূরদর্শিতার পরিচয় দেবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস।
No comments