ব্রাজিলের জয়রথ ছুটছেই
আগের ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে হারিয়েই নিশ্চিত হয়ে গেছে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব। বাছাইপর্বের বাকি ম্যাচগুলো শুধুই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরার সুযোগ। ব্রাজিলের সেই মনের আনন্দের খেলার পর্ব শুরু হলো কাল। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর সব কটি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী একমাত্র দল কাল আনন্দময় ফুটবল খেলেই চিলিকে হারাল ৪-২ গোলে।
দুই হলুদ কার্ডের খাঁড়ায় পড়ে বাইরে বসে থাকলেন কাকা, ফ্যাবিয়ানো ও লুসিও। ডান পায়ের পেশির চোটের কারণে খেলতে পারেননি রবিনহো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ফেলিপ মেলোকে। তার পরও ব্রাজিল দেখাল তারা ‘ব্রাজিল’। দুঙ্গার দল টানা একাদশ জয় পেয়ে ঘোষণা করে দিল, দক্ষিণ আফ্রিকায় ফেবারিট হিসেবেই শুরু করবে বিশ্বকাপের সফলতম দল।
দুঙ্গা তাঁর তূণে নতুন নতুন তীরও পেয়েই যাচ্ছেন। রবিনহোর জায়গায় সুযোগ পেয়েই হ্যাটট্রিক করলেন নিলমার। পাঁচ বছরে ব্রাজিলের পক্ষে মাত্র দশম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে সেটিকে স্মরণীয় করে রাখলেন ভিলারিয়ালের ২৫ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মূলত কাউন্টার অ্যাটাকনির্ভর ব্রাজিল এ ম্যাচে নির্ভার থাকায় অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ছিল। ৩২তম মিনিটে নিলমারের গোলে পেয়ে যায় এর পুরস্কারও। ৪১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্যাপটিস্টা। ব্রাজিলের জন্য এটি নিছকই প্রদর্শনী ম্যাচে পরিণত হলেও চিলির কাছে এটি ছিল মহাগুরুত্বপূর্ণ। এতে জিতলে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত হয়ে যেত তাদের। তবে কাজটা শুধু কঠিন ছিল বললে কম বলা হয়। নিজেদের মাটিতে ৩৫ বছর কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হারেনি ব্রাজিল। তবে বিরতির আগে-পরে ৮ মিনিটের মধ্যে হামবার্তো সুয়োজোর দুই গোলে সমতা ফিরিয়ে কিছুক্ষণের জন্য হলেও একটু স্বপ্ন দেখেছিল চিলি। সেই স্বপ্ন অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৭৩ ও ৭৫ মিনিটে পরপর দুই গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন নিলমার। জল ঢেলে দেন ম্যাচের উত্তেজনাতেও।
এর আগে নাটক অবশ্য ভালোই হয়েছে। বিরতির ঠিক আগে অ্যালেক্সিস সানচেজকে ফাউল করে চিলিকে পেনাল্টি উপহার দেন ফিলিপ মেলো। ওই পেনাল্টি থেকেই সুয়াজোর প্রথম গোল। ৪৯ মিনিটে সানচেজকে মারাত্মক ফাউল করেই লাল কার্ড দেখতে হয় মেলোকে। চিলির দ্বিতীয় গোলটি এর তিন মিনিট পরই। খেলায় সমতা, ব্রাজিল দশ জনের দল—চিলিকে তখন দারুণ উজ্জীবিত দেখাচ্ছে।
সেটা অবশ্য বেশিক্ষণ নয়। ৬৯ মিনিটে ব্যাপটিস্টা ও আদ্রিয়ানোকে তুলে নিয়ে সান্দ্রো ও ডিয়েগো টারডেলিকে নামান দুঙ্গা। দু মিনিট পর সান্তোসকে তুলে এলানোকে। ৭৩ ও ৭৫ মিনিটে দু গোল করে নিলমারের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করায় মাঠে সজীব পায়ের উপস্থিতির ভূমিকা থাকলেও থাকতে পারে। ৭৭ মিনিটে সানচেজও লাল কার্ড দেখলে চিলিও পরিণত হয় দশ জনের দলে। ম্যাচের ভাগ্য তো লেখা হয়ে গেছে এর আগেই।
দুই হলুদ কার্ডের খাঁড়ায় পড়ে বাইরে বসে থাকলেন কাকা, ফ্যাবিয়ানো ও লুসিও। ডান পায়ের পেশির চোটের কারণে খেলতে পারেননি রবিনহো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ফেলিপ মেলোকে। তার পরও ব্রাজিল দেখাল তারা ‘ব্রাজিল’। দুঙ্গার দল টানা একাদশ জয় পেয়ে ঘোষণা করে দিল, দক্ষিণ আফ্রিকায় ফেবারিট হিসেবেই শুরু করবে বিশ্বকাপের সফলতম দল।
দুঙ্গা তাঁর তূণে নতুন নতুন তীরও পেয়েই যাচ্ছেন। রবিনহোর জায়গায় সুযোগ পেয়েই হ্যাটট্রিক করলেন নিলমার। পাঁচ বছরে ব্রাজিলের পক্ষে মাত্র দশম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে সেটিকে স্মরণীয় করে রাখলেন ভিলারিয়ালের ২৫ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মূলত কাউন্টার অ্যাটাকনির্ভর ব্রাজিল এ ম্যাচে নির্ভার থাকায় অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ছিল। ৩২তম মিনিটে নিলমারের গোলে পেয়ে যায় এর পুরস্কারও। ৪১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্যাপটিস্টা। ব্রাজিলের জন্য এটি নিছকই প্রদর্শনী ম্যাচে পরিণত হলেও চিলির কাছে এটি ছিল মহাগুরুত্বপূর্ণ। এতে জিতলে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত হয়ে যেত তাদের। তবে কাজটা শুধু কঠিন ছিল বললে কম বলা হয়। নিজেদের মাটিতে ৩৫ বছর কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হারেনি ব্রাজিল। তবে বিরতির আগে-পরে ৮ মিনিটের মধ্যে হামবার্তো সুয়োজোর দুই গোলে সমতা ফিরিয়ে কিছুক্ষণের জন্য হলেও একটু স্বপ্ন দেখেছিল চিলি। সেই স্বপ্ন অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৭৩ ও ৭৫ মিনিটে পরপর দুই গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন নিলমার। জল ঢেলে দেন ম্যাচের উত্তেজনাতেও।
এর আগে নাটক অবশ্য ভালোই হয়েছে। বিরতির ঠিক আগে অ্যালেক্সিস সানচেজকে ফাউল করে চিলিকে পেনাল্টি উপহার দেন ফিলিপ মেলো। ওই পেনাল্টি থেকেই সুয়াজোর প্রথম গোল। ৪৯ মিনিটে সানচেজকে মারাত্মক ফাউল করেই লাল কার্ড দেখতে হয় মেলোকে। চিলির দ্বিতীয় গোলটি এর তিন মিনিট পরই। খেলায় সমতা, ব্রাজিল দশ জনের দল—চিলিকে তখন দারুণ উজ্জীবিত দেখাচ্ছে।
সেটা অবশ্য বেশিক্ষণ নয়। ৬৯ মিনিটে ব্যাপটিস্টা ও আদ্রিয়ানোকে তুলে নিয়ে সান্দ্রো ও ডিয়েগো টারডেলিকে নামান দুঙ্গা। দু মিনিট পর সান্তোসকে তুলে এলানোকে। ৭৩ ও ৭৫ মিনিটে দু গোল করে নিলমারের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করায় মাঠে সজীব পায়ের উপস্থিতির ভূমিকা থাকলেও থাকতে পারে। ৭৭ মিনিটে সানচেজও লাল কার্ড দেখলে চিলিও পরিণত হয় দশ জনের দলে। ম্যাচের ভাগ্য তো লেখা হয়ে গেছে এর আগেই।
No comments