আল-কায়েদা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এখনো হুমকি -টুইন টাওয়ারে হামলার অষ্টম বার্ষিকী আজ
নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার অষ্টম বার্ষিকী আজ ১১ সেপ্টেম্বর। আগের বছরগুলোর মতো এবারও দিনটির স্মরণে ‘গ্রাউন্ড জিরো’তে স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে নিউইয়র্কবাসী। ওই হামলায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়া টুইন টাওয়ারের স্থানটি গ্রাউন্ড জিরো নামে পরিচিত। এদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, আল-কায়েদা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এখনো হুমকি। খবর এএফপির।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আত্মঘাতী সন্ত্রাসীরা একটি বিমান ছিনতাই করে টুইন টাওয়ারে বা ওয়ার্ল্ডট্রেড সেন্টারে হামলা চালায়। হামলায় দুই হাজার ৭৫২ জন নিহত হয়। সন্ত্রাসীরা ওই দিন পেন্টাগনে বিমান ছিনতাই করে হামলা করে এবং আরেকটি বিমান ছিনতাই করে হামলা চালানোর সময় যাত্রীরা বাধা দিলে পেনসিলভানিয়ায় তা বিধ্বস্ত হয়।
মার্কিন প্রশাসন এ হামলার জন্য আল-কায়েদা জঙ্গিগোষ্ঠীকে অভিযুক্ত করে। স্মরণ অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ ও অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। এতে হামলায় নিহত প্রত্যেকের নাম পড়ে শোনানো হবে এবং তাদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করা হবে। সাম্প্রতিক এক জরিপে জানা গেছে, টুইন টাওয়ারের স্থানে প্রতিশ্রুত ভবন ও স্মৃতিসৌধের নির্মাণকাজের ধীরগতিতে নিউইয়র্কবাসী অসন্তুষ্ট।
আল-কায়েদা এখনো হুমকি: মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টুইন টাওয়ারে হামলার আট বছর পার হওয়ার পরও ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বাধীন জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এখনো হুমকি হিসেবে রয়েছে। গত মাসে মার্কিন জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ এর চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন বলেন, আল-কায়েদা চক্র এখনো মার্কিন ভূমিতে হামলা চালাতে সক্ষম এবং তারা তাদের লক্ষ্যের ব্যাপারে খুবই পরিষ্কার।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে আল-কায়েদার অবস্থান আগের মতো শক্তিশালী নেই। টুইন টাওয়ারে হামলার পর আল-কায়েদার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০০৮ সালের জুলাই পর্যন্ত বেশ কয়েকজন শীর্ষ আল-কায়েদা নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং ১১ জন নেতা অথবা সহযোগী নিহত হয়েছেন। ২০০৫ সালের জুলাইয়ের পর থেকে জঙ্গি সংগঠনটি পশ্চিমা দেশগুলোয় হামলা চালাতে পারেনি।
বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, আল-কায়েদার হুমকি কমে আসছে। প্যারিস ইনস্টিটিউট অব পলিটিক্যাল স্টাডিজের অধ্যাপক জ্যঁ-পিরে বলেন, প্রতিষ্ঠার ২১ বছর পর আল-কায়েদা এখন আত্মরক্ষায় ব্যস্ত। সম্ভবত তাদের দম ফুরিয়ে গেছে। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর তারা আবার জেগে ওঠার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাদের তৃণমূল শাখাগুলোর ভিত্তি নষ্ট হয়ে গেছে। তবে এই মতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে হারানোয় আল-কায়েদা এখন হয়তো চাপে রয়েছে। কিন্তু এখনো তারা যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলোর জন্য হুমকি হয়ে রয়েছে। গোষ্ঠীর সদস্যরা পাকিস্তানের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় পুনর্গঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। সেখানে তাদের শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেন ও দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা আয়মান আল জওয়াহিরি লুকিয়ে রয়েছেন।
তবে এই সতর্কবার্তার পরও আফগানিস্তানে অভিযানের প্রতি মার্কিন জনগণের সমর্থন কমছে। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ ব্রুস হফম্যান বলেন, ‘অনেক মার্কিন সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ নিয়ে ক্লান্ত। যুদ্ধ ব্যয় ও যুদ্ধে মার্কিন সেনাদের প্রাণহানি তাদের এই বিরূপ মনোভাবের কারণ, বিশেষ করে অর্থনৈতিক মন্দার এই সময়ে। তবে অভিযান বন্ধ করার পথ নেই।’
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আত্মঘাতী সন্ত্রাসীরা একটি বিমান ছিনতাই করে টুইন টাওয়ারে বা ওয়ার্ল্ডট্রেড সেন্টারে হামলা চালায়। হামলায় দুই হাজার ৭৫২ জন নিহত হয়। সন্ত্রাসীরা ওই দিন পেন্টাগনে বিমান ছিনতাই করে হামলা করে এবং আরেকটি বিমান ছিনতাই করে হামলা চালানোর সময় যাত্রীরা বাধা দিলে পেনসিলভানিয়ায় তা বিধ্বস্ত হয়।
মার্কিন প্রশাসন এ হামলার জন্য আল-কায়েদা জঙ্গিগোষ্ঠীকে অভিযুক্ত করে। স্মরণ অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ ও অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। এতে হামলায় নিহত প্রত্যেকের নাম পড়ে শোনানো হবে এবং তাদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করা হবে। সাম্প্রতিক এক জরিপে জানা গেছে, টুইন টাওয়ারের স্থানে প্রতিশ্রুত ভবন ও স্মৃতিসৌধের নির্মাণকাজের ধীরগতিতে নিউইয়র্কবাসী অসন্তুষ্ট।
আল-কায়েদা এখনো হুমকি: মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টুইন টাওয়ারে হামলার আট বছর পার হওয়ার পরও ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বাধীন জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এখনো হুমকি হিসেবে রয়েছে। গত মাসে মার্কিন জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ এর চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন বলেন, আল-কায়েদা চক্র এখনো মার্কিন ভূমিতে হামলা চালাতে সক্ষম এবং তারা তাদের লক্ষ্যের ব্যাপারে খুবই পরিষ্কার।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে আল-কায়েদার অবস্থান আগের মতো শক্তিশালী নেই। টুইন টাওয়ারে হামলার পর আল-কায়েদার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০০৮ সালের জুলাই পর্যন্ত বেশ কয়েকজন শীর্ষ আল-কায়েদা নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং ১১ জন নেতা অথবা সহযোগী নিহত হয়েছেন। ২০০৫ সালের জুলাইয়ের পর থেকে জঙ্গি সংগঠনটি পশ্চিমা দেশগুলোয় হামলা চালাতে পারেনি।
বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, আল-কায়েদার হুমকি কমে আসছে। প্যারিস ইনস্টিটিউট অব পলিটিক্যাল স্টাডিজের অধ্যাপক জ্যঁ-পিরে বলেন, প্রতিষ্ঠার ২১ বছর পর আল-কায়েদা এখন আত্মরক্ষায় ব্যস্ত। সম্ভবত তাদের দম ফুরিয়ে গেছে। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর তারা আবার জেগে ওঠার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাদের তৃণমূল শাখাগুলোর ভিত্তি নষ্ট হয়ে গেছে। তবে এই মতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে হারানোয় আল-কায়েদা এখন হয়তো চাপে রয়েছে। কিন্তু এখনো তারা যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলোর জন্য হুমকি হয়ে রয়েছে। গোষ্ঠীর সদস্যরা পাকিস্তানের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় পুনর্গঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। সেখানে তাদের শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেন ও দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা আয়মান আল জওয়াহিরি লুকিয়ে রয়েছেন।
তবে এই সতর্কবার্তার পরও আফগানিস্তানে অভিযানের প্রতি মার্কিন জনগণের সমর্থন কমছে। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ ব্রুস হফম্যান বলেন, ‘অনেক মার্কিন সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ নিয়ে ক্লান্ত। যুদ্ধ ব্যয় ও যুদ্ধে মার্কিন সেনাদের প্রাণহানি তাদের এই বিরূপ মনোভাবের কারণ, বিশেষ করে অর্থনৈতিক মন্দার এই সময়ে। তবে অভিযান বন্ধ করার পথ নেই।’
No comments