ঈদের এক সপ্তাহ আগেই বেতন-বোনাস পরিশোধ করুন -ঈদ কি পোশাক-শ্রমিকদের জন্য নয়?
রোজা ও ঈদ সবার জন্য সমান নয়। অন্তত পোশাক-শ্রমিকদের জন্য তা বঞ্চনার মাস হয়ে দেখা দিয়েছে। প্রতিবছরই পোশাক তৈরি কারখানার (গার্মেন্টস) মালিকেরা রমজান মাস এলেই নিজেদের দীন-দরিদ্র হিসেবে ফলাও করে প্রচার করেন এবং শ্রমিকদের পাওনা বেতন, বকেয়া বোনাস প্রভৃতি দিতে গড়িমসি করেন। অনেক ক্ষেত্রে নিয়মিত বেতনটুকুও দেওয়া হয় না। এটা অগ্রহণযোগ্য, রীতিনীতিবর্জিত ও অন্যায়।
রমজান মাস তথা আগস্ট-সেপ্টেম্বরেই মালিকদের দেখা যায় ‘টাকা নাই, তাই বেতন দেওয়া যাবে না’—এজাতীয় কথাবার্তা বলতে, আর শ্রমিকদের দেখা যায় রাজপথে বেতন-বোনাসের জন্য হাহাকার করে বেড়াতে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিল যে সরকারি সাহায্য না পেলে তারা শ্রমিকদের বেতন দিতে পারবে না। পরে অবশ্য এই দাবির ভাষা নিয়ে তাদের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। তা হলেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং রোজা ও ঈদের এই জটিল সময়ে এখনো বেতন-বোনাসের নিশ্চয়তা পাননি শ্রমিকেরা। অবশ্য অনেক কারখানায়ই শ্রমিকেরা বেতন-বোনাস নিয়মিত পেয়ে থাকেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি এ রকম নয়।
বাংলাদেশে পোশাকশিল্প অন্যতম প্রধান লাভজনক ব্যবসা। এমনকি খুদে কৃষকের করের ছাড় না থাকলেও পোশাকশিল্পে কর রেয়াত পর্যাপ্ত। তাদের জন্য সরকারি ঋণ ও জমি সহজলভ্য। তাদের মুনাফা আসে ডলারের হিসাবে। সম্প্রতি বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলার জন্য তাদের আবেদন অনুযায়ী ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছে। দেশের বিত্তশালীদের মধ্যেও তারাই শিরোমণি। তার পরও বহুবিধ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাধন্য এ শিল্পের শ্রমিকদের বেতন কেন বকেয়া থাকবে বা নির্ধারিত মজুরি দেওয়া হবে না, এটা তাই কোনোভাবেই বোধগম্য নয়।
প্রায় ২৫ লাখ পোশাক-শ্রমিকের বেশির ভাগই অল্পবয়সী নারী। কাজের সন্ধানে তাঁরা গ্রামছাড়া হয়েছেন। তাঁরা দাস নন যে মজুরি না দিয়ে কিংবা ক্ষুধার্ত রেখেই কাজ করিয়ে নেওয়া চলে। এই লাখ লাখ শ্রমিককে যদি মানুষ হিসেবে স্বীকার করি, যদি তাঁরা এ দেশের নাগরিক হয়ে থাকেন, তাহলে সরকারের উচিত পোশাক কারখানার মালিকদের বাধ্য করা। ঈদের আগেই সব পোশাক কারখানায় নির্ধারিত বেতন বৃদ্ধি, বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং যথাযথ ভাতা ও বোনাসের ব্যবস্থা করতে হবে। মনে রাখা দরকার, গত বছর ঈদ উপলক্ষেই ব্যাপক শ্রমিক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছিল। পোশাক কারখানার মালিকদের গড়িমসিতে আবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
রমজান মাস তথা আগস্ট-সেপ্টেম্বরেই মালিকদের দেখা যায় ‘টাকা নাই, তাই বেতন দেওয়া যাবে না’—এজাতীয় কথাবার্তা বলতে, আর শ্রমিকদের দেখা যায় রাজপথে বেতন-বোনাসের জন্য হাহাকার করে বেড়াতে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিল যে সরকারি সাহায্য না পেলে তারা শ্রমিকদের বেতন দিতে পারবে না। পরে অবশ্য এই দাবির ভাষা নিয়ে তাদের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। তা হলেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং রোজা ও ঈদের এই জটিল সময়ে এখনো বেতন-বোনাসের নিশ্চয়তা পাননি শ্রমিকেরা। অবশ্য অনেক কারখানায়ই শ্রমিকেরা বেতন-বোনাস নিয়মিত পেয়ে থাকেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি এ রকম নয়।
বাংলাদেশে পোশাকশিল্প অন্যতম প্রধান লাভজনক ব্যবসা। এমনকি খুদে কৃষকের করের ছাড় না থাকলেও পোশাকশিল্পে কর রেয়াত পর্যাপ্ত। তাদের জন্য সরকারি ঋণ ও জমি সহজলভ্য। তাদের মুনাফা আসে ডলারের হিসাবে। সম্প্রতি বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলার জন্য তাদের আবেদন অনুযায়ী ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছে। দেশের বিত্তশালীদের মধ্যেও তারাই শিরোমণি। তার পরও বহুবিধ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাধন্য এ শিল্পের শ্রমিকদের বেতন কেন বকেয়া থাকবে বা নির্ধারিত মজুরি দেওয়া হবে না, এটা তাই কোনোভাবেই বোধগম্য নয়।
প্রায় ২৫ লাখ পোশাক-শ্রমিকের বেশির ভাগই অল্পবয়সী নারী। কাজের সন্ধানে তাঁরা গ্রামছাড়া হয়েছেন। তাঁরা দাস নন যে মজুরি না দিয়ে কিংবা ক্ষুধার্ত রেখেই কাজ করিয়ে নেওয়া চলে। এই লাখ লাখ শ্রমিককে যদি মানুষ হিসেবে স্বীকার করি, যদি তাঁরা এ দেশের নাগরিক হয়ে থাকেন, তাহলে সরকারের উচিত পোশাক কারখানার মালিকদের বাধ্য করা। ঈদের আগেই সব পোশাক কারখানায় নির্ধারিত বেতন বৃদ্ধি, বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং যথাযথ ভাতা ও বোনাসের ব্যবস্থা করতে হবে। মনে রাখা দরকার, গত বছর ঈদ উপলক্ষেই ব্যাপক শ্রমিক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছিল। পোশাক কারখানার মালিকদের গড়িমসিতে আবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
No comments