মুক্তিযোদ্ধা আবুর কথা বলছি by গাজীউল হক
আজ ১২ সেপ্টেম্বর। একাত্তরের রণাঙ্গনে শহীদ হওয়া কিশোর আবুর ৩৮তম শাহাদতবার্ষিকী। পুরো নাম আবু জাহিদ। তবে ‘আবু’ নামেই ওই কিশোর সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। যুদ্ধ-পরবর্তী সময় থেকে তিনি হয়ে ওঠেন এক আদর্শিক নাম। কুমিল্লা জিলা স্কুলের নবম শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থী এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে লড়াই করে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন। উত্তরসূরিদের সংগঠন কুমিল্লা জিলা স্কুল ফোরাম ’৭৩-এর সব সহপাঠী তাঁকে আজও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। দিনটি এলেই তাঁরা সহপাঠী হারানোর কষ্টে একত্রে মিলিত হন। আবুর নামে তাঁরা কুমিল্লা জিলা স্কুলে মিলনায়তনের নামকরণ করেন।
ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে আবু এক তেজোদীপ্ত নাম। এক অহঙ্কারের নাম। আর ওই অহঙ্কারকে অলংকার মনে করছে এখানকার সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
কিশোর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবু জাহিদের জন্ম ১৯৫৬ সালের জানুয়ারি মাসে কুমিল্লা শহরের মগবাড়ী চৌমুহনীতে। বাবা আবুল হাসেম দুলা মিয়া ও মা ভেলুয়া বিবির পাঁচ পুত্রসন্তানের একজন আবু। ১৯৬৭ সালে কুমিল্লা জিলা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হন তিনি। ব্যতিক্রমী স্বভাবের ওই কিশোর সবার কাছে অল্প সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেন।
সহপাঠীরা জানান, বালকবেলা থেকেই আবু খুব ডানপিটে ছিলেন। পাখির বাসার খোঁজ করা, গ্রীষ্মের ভরদুপুরে আম পাড়া আর বাড়ির কাছের গোমতী নদী তাঁকে দারুণ মোহিত করত। খেলাধুলায়ও ছিলেন সবার আগে। সাহসী হিসেবে বন্ধুমহলে তাঁর পরিচিতি ছিল।
ঊনসত্তরে শহীদ আসাদের রক্তমাখা জামা নিয়ে মুক্তিকামী জনতার প্রতিবাদ ও সংগ্রামের কথা খবরের কাগজে পড়ে তাঁর মনে বিপ্লবী স্পৃহার জন্ম নেয়। একাত্তরের যুদ্ধ শুরু হলে মায়ের কাছে বায়না ধরেন যুদ্ধে যাওয়ার জন্য। অনুমতি মেলে না তাঁর। মা ভেলুয়া বিবির স্বামীসহ অন্য চার ছেলে যুদ্ধে গেছেন। এতটুকুন ছেলেকে তিনি কিছুতেই যুদ্ধে পাঠাতে রাজি নন। একদিন কিশোর আবু ফন্দি করেন। মাকে বলেন, ‘১০ টাকা দাও। সেলুনে যাব, শেভ করতে হবে।’ ওই টাকা নিয়ে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। গন্তব্য ভারতে। একাত্তরের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে আবু কুমিল্লা শহরের অদূরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সোনামুড়া টিলার কাছে মুক্তি শিবিরে এসে উপস্থিত হন। তখন তাঁর শরীরের সব কাপড় ছিল ভেজা। সেখানে অবস্থানরত তাঁর বড় ভাই আনোয়ার হোসেন কেনু মিয়া আবুকে দেখে বিচলিত হন। আবু তাঁকে বলেছিলেন, ‘প্রতিদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা তোমাদের খোঁজে বাড়িতে আসে। বাড়ি তল্লাশি করে। আমরা এ বাড়ি, সেই বাড়ি পালিয়ে বেড়াই। এভাবে বেঁচে থাকতে ভাল্লাগে না। যদি বাঁচতে হয়, তাহলে বীরের মতো বাঁচব। দেশকে বাঁচাতে পারলে আমরাও ভালো থাকব। তাই গোমতী নদী সাঁতরিয়ে এখানে চলে এসেছি।’ এ কথা বলার পর বড় ভাই তাঁকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু বড় ভাইয়ের অনুরোধ তাঁকে দেশমাতৃকার লড়াই থেকে একটুও টলাতে পারেনি, বরং গেরিলা প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য কেঁদে একাকার। সেখানে উপস্থিত অন্য মুক্তিযোদ্ধারাও তাঁকে বয়স কম বলে মুক্তিযুদ্ধে যেতে বারণ করেন। অনেক পীড়াপীড়ির পর সেক্টর ইস্টার্ন জোনের কমান্ডার শেখ ফজলুল হক মনি তাঁকে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে আবু অবস্থান করছিলেন নিমবাগ বাদাম ঘাট হেড কোয়ার্টারে। ১২ সেপ্টেম্বর বড় ভাই আনোয়ার হোসেন কেনুর জন্য একটি চিঠি লিখে যান আবু। ওই চিঠিতে দোয়া চেয়ে জানিয়েছিলেন, ‘ওই দলের দলনেতা এবং পরে প্রথিতযশা মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখী ভাইয়ের সঙ্গে আমি অপারেশনে যাচ্ছি।’ ওই দিন রাতে নাজমুল হাসান পাখীর নেতৃত্বে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার চারগাছ বাজারে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি ঝটিকা অপারেশনে বের হন। নয়জন মুক্তিযোদ্ধার একটি বহর নৌপথে ওই অপারেশনে রওনা হয়। ওই দলে ছিলেন শিব নারায়ণ দাস, নৃপেণ পোদ্দার, মুমিনুল হক ভূঞা, মোজাম্মেল হক, সাইফুল ইসলাম, আবু জাহিদসহ আরও অনেকে। রাতের অপারেশন, তাই কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর এ দেশের আলবদর বাহিনীর সহায়তায় মাঝনদীতে দলটির ওপর গুলি চালায়। তখন পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে মারা যান মোজাম্মেল হক ও সাইফুল ইসলাম। কনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা আবুও গুলিবিদ্ধ হয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন। কিন্তু তিনিও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সঙ্গী এবং মুক্তিকামী জনতা নদী থেকে কিশোর আবুর মরদেহ উদ্ধার করে। অতঃপর তাঁকেসহ তিন মুক্তিযোদ্ধাকে চারগাছ উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় সমাধিস্থ করা হয়। পরে সেখানে তাঁদের স্মরণে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। ওই দলের দলনেতা এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নাজমুল হাসান পাখী স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘আবু দেশকে নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করত। তেজোদীপ্ত ছেলে ছিল ও। তার চিন্তা গভীরভাবে রেখাপাত করেছে আমাদের। মিছিল আর সমাবেশে চেতনার রং ফুটিয়ে তুলত আন্দোলনের সামনের কাতারে থেকে।’
এ দিনটি এলে তাঁর সহপাঠীরা প্রতিবছরই কিছু করার চেষ্টা করেন। আজ শনিবার আবুর নামে নির্মিত ‘শহীদ আবু জাহিদ’ মিলনায়তনে সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখী, মুমিনুল হক ভূঞা ও আবদুল্লাহ-হিল-বাকী তাঁকে নিয়ে আলোচনা করবেন। তাঁর নামে স্মৃতিফলক উন্মোচন করবেন। সহযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেবেন। অনুষ্ঠানে কুমিল্লা-৬ আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. আবদুর রউফ অতিথি থাকবেন। আবুর সহপাঠী কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার ফারুক কুমিল্লা জিলা স্কুলের ফোরাম ’৭৩-এর সভাপতি। আবুর সহপাঠী শাহ মো. সেলিম বলেন, ‘বেঁচে থাকলে ও (আবু) আমাদের সঙ্গে ১৯৭৩ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় অংশ নিত। তাই ওই ব্যাচের সবাই তাঁকে সব সময়ই স্মরণ করে। ওর কথা মনে এলে এখনো কাঁদি।’
ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে আবু এক তেজোদীপ্ত নাম। এক অহঙ্কারের নাম। আর ওই অহঙ্কারকে অলংকার মনে করছে এখানকার সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
কিশোর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবু জাহিদের জন্ম ১৯৫৬ সালের জানুয়ারি মাসে কুমিল্লা শহরের মগবাড়ী চৌমুহনীতে। বাবা আবুল হাসেম দুলা মিয়া ও মা ভেলুয়া বিবির পাঁচ পুত্রসন্তানের একজন আবু। ১৯৬৭ সালে কুমিল্লা জিলা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হন তিনি। ব্যতিক্রমী স্বভাবের ওই কিশোর সবার কাছে অল্প সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেন।
সহপাঠীরা জানান, বালকবেলা থেকেই আবু খুব ডানপিটে ছিলেন। পাখির বাসার খোঁজ করা, গ্রীষ্মের ভরদুপুরে আম পাড়া আর বাড়ির কাছের গোমতী নদী তাঁকে দারুণ মোহিত করত। খেলাধুলায়ও ছিলেন সবার আগে। সাহসী হিসেবে বন্ধুমহলে তাঁর পরিচিতি ছিল।
ঊনসত্তরে শহীদ আসাদের রক্তমাখা জামা নিয়ে মুক্তিকামী জনতার প্রতিবাদ ও সংগ্রামের কথা খবরের কাগজে পড়ে তাঁর মনে বিপ্লবী স্পৃহার জন্ম নেয়। একাত্তরের যুদ্ধ শুরু হলে মায়ের কাছে বায়না ধরেন যুদ্ধে যাওয়ার জন্য। অনুমতি মেলে না তাঁর। মা ভেলুয়া বিবির স্বামীসহ অন্য চার ছেলে যুদ্ধে গেছেন। এতটুকুন ছেলেকে তিনি কিছুতেই যুদ্ধে পাঠাতে রাজি নন। একদিন কিশোর আবু ফন্দি করেন। মাকে বলেন, ‘১০ টাকা দাও। সেলুনে যাব, শেভ করতে হবে।’ ওই টাকা নিয়ে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। গন্তব্য ভারতে। একাত্তরের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে আবু কুমিল্লা শহরের অদূরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সোনামুড়া টিলার কাছে মুক্তি শিবিরে এসে উপস্থিত হন। তখন তাঁর শরীরের সব কাপড় ছিল ভেজা। সেখানে অবস্থানরত তাঁর বড় ভাই আনোয়ার হোসেন কেনু মিয়া আবুকে দেখে বিচলিত হন। আবু তাঁকে বলেছিলেন, ‘প্রতিদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা তোমাদের খোঁজে বাড়িতে আসে। বাড়ি তল্লাশি করে। আমরা এ বাড়ি, সেই বাড়ি পালিয়ে বেড়াই। এভাবে বেঁচে থাকতে ভাল্লাগে না। যদি বাঁচতে হয়, তাহলে বীরের মতো বাঁচব। দেশকে বাঁচাতে পারলে আমরাও ভালো থাকব। তাই গোমতী নদী সাঁতরিয়ে এখানে চলে এসেছি।’ এ কথা বলার পর বড় ভাই তাঁকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু বড় ভাইয়ের অনুরোধ তাঁকে দেশমাতৃকার লড়াই থেকে একটুও টলাতে পারেনি, বরং গেরিলা প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য কেঁদে একাকার। সেখানে উপস্থিত অন্য মুক্তিযোদ্ধারাও তাঁকে বয়স কম বলে মুক্তিযুদ্ধে যেতে বারণ করেন। অনেক পীড়াপীড়ির পর সেক্টর ইস্টার্ন জোনের কমান্ডার শেখ ফজলুল হক মনি তাঁকে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে আবু অবস্থান করছিলেন নিমবাগ বাদাম ঘাট হেড কোয়ার্টারে। ১২ সেপ্টেম্বর বড় ভাই আনোয়ার হোসেন কেনুর জন্য একটি চিঠি লিখে যান আবু। ওই চিঠিতে দোয়া চেয়ে জানিয়েছিলেন, ‘ওই দলের দলনেতা এবং পরে প্রথিতযশা মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখী ভাইয়ের সঙ্গে আমি অপারেশনে যাচ্ছি।’ ওই দিন রাতে নাজমুল হাসান পাখীর নেতৃত্বে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার চারগাছ বাজারে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি ঝটিকা অপারেশনে বের হন। নয়জন মুক্তিযোদ্ধার একটি বহর নৌপথে ওই অপারেশনে রওনা হয়। ওই দলে ছিলেন শিব নারায়ণ দাস, নৃপেণ পোদ্দার, মুমিনুল হক ভূঞা, মোজাম্মেল হক, সাইফুল ইসলাম, আবু জাহিদসহ আরও অনেকে। রাতের অপারেশন, তাই কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর এ দেশের আলবদর বাহিনীর সহায়তায় মাঝনদীতে দলটির ওপর গুলি চালায়। তখন পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে মারা যান মোজাম্মেল হক ও সাইফুল ইসলাম। কনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা আবুও গুলিবিদ্ধ হয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন। কিন্তু তিনিও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সঙ্গী এবং মুক্তিকামী জনতা নদী থেকে কিশোর আবুর মরদেহ উদ্ধার করে। অতঃপর তাঁকেসহ তিন মুক্তিযোদ্ধাকে চারগাছ উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় সমাধিস্থ করা হয়। পরে সেখানে তাঁদের স্মরণে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। ওই দলের দলনেতা এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নাজমুল হাসান পাখী স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘আবু দেশকে নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করত। তেজোদীপ্ত ছেলে ছিল ও। তার চিন্তা গভীরভাবে রেখাপাত করেছে আমাদের। মিছিল আর সমাবেশে চেতনার রং ফুটিয়ে তুলত আন্দোলনের সামনের কাতারে থেকে।’
এ দিনটি এলে তাঁর সহপাঠীরা প্রতিবছরই কিছু করার চেষ্টা করেন। আজ শনিবার আবুর নামে নির্মিত ‘শহীদ আবু জাহিদ’ মিলনায়তনে সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখী, মুমিনুল হক ভূঞা ও আবদুল্লাহ-হিল-বাকী তাঁকে নিয়ে আলোচনা করবেন। তাঁর নামে স্মৃতিফলক উন্মোচন করবেন। সহযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেবেন। অনুষ্ঠানে কুমিল্লা-৬ আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. আবদুর রউফ অতিথি থাকবেন। আবুর সহপাঠী কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার ফারুক কুমিল্লা জিলা স্কুলের ফোরাম ’৭৩-এর সভাপতি। আবুর সহপাঠী শাহ মো. সেলিম বলেন, ‘বেঁচে থাকলে ও (আবু) আমাদের সঙ্গে ১৯৭৩ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় অংশ নিত। তাই ওই ব্যাচের সবাই তাঁকে সব সময়ই স্মরণ করে। ওর কথা মনে এলে এখনো কাঁদি।’
No comments