প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় পরিষদ গঠন -পর্যটনশিল্পের বিকাশে নবোদ্যম
দেশের পর্যটনশিল্পকে গতিশীল এবং এ খাত থেকে রাজস্ব আদায় বাড়াতে সরকার পর্যটনশিল্পের জন্য রূপকল্প তৈরি করছে। গঠন করা হয়েছে জাতীয় পর্যটন পরিষদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পরিষদের সভাপতি।
পরিষদের সদস্য হিসেবে আরও আছেন অর্থমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। পরিষদের সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনসচিব। গত ৩১ আগস্ট এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে।
পরিষদের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পর্যটন উন্নয়নসংক্রান্ত জাতীয় ও আঞ্চলিক পরিকল্পনাগুলোর নীতিগত অনুমোদন করবে পরিষদ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচার ও বিপণনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়ানো, গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থানে যাতায়াতের জন্য যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রদান, বেসরকারি খাতে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ এবং পর্যটন উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশগুলোর পর্যালোচনা ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অনুমোদন দেবে জাতীয় পর্যটন পরিষদ। ছয় মাস পর পর জাতীয় পর্যটন পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী জি এম কাদের প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় পর্যটনশিল্পের বিকাশে প্রধানমন্ত্রী নিজে এই পরিষদ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে এর বাইরেও আরও দুটি কমিটি কাজ করবে। একটি হলো মন্ত্রিপরিষদ কমিটি, যার সভাপতি অর্থমন্ত্রী। অপরটি হলো পর্যটন উপদেষ্টা কমিটি। এ কমিটিতে সরকার ছাড়া বেসরকারি খাতের লোকজন অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশের পর্যটনশিল্পকে একটি পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একটি খসড়া পর্যটন নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। অচিরেই এটি চূড়ান্ত করা হবে। একই সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে প্রায় ২৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সরকারের এই নতুন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। তবে তারা মনে করে, নানা সম্ভাবনা সত্ত্বেও দেশের পর্যটনশিল্প কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে না। ভারত, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড তো বটেই, এমনকি গত এক দশকে কম্বোডিয়াও পর্যটনশিল্পে ব্যাপক উন্নতি করেছে।
এক হিসাব থেকে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে কম্বোডিয়া মাত্র ৯৬ হাজার বিদেশি পর্যটক গ্রহণ করেছে। একই সময়ে বাংলাদেশে এসেছিল এক লাখ ৫৬ হাজার। ২০০৬ সালে কম্বোডিয়ায় ২০ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেছে। আর বাংলাদেশে এসেছে মাত্র দুই লাখ। অথচ কম্বোডিয়ায় বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মতো আছে শুধু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।
সুন্দরবন, কক্সবাজারের মতো আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ তেমন কোনো পর্যটক আকৃষ্ট করতে পারছে না। ২০০৬ সালে কম্বোডিয়া পর্যটন থেকে ১০০ কোটি ডলার আয় করেছে। আর বাংলাদেশের আয় বেসরকারি হিসাবে সর্বোচ্চ নয় কোটি ডলার হতে পারে।
টোয়াবের সভাপতি তৌফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও বিনিয়োগের অভাবেই আমরা পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারছি না।
পরিষদের সদস্য হিসেবে আরও আছেন অর্থমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। পরিষদের সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনসচিব। গত ৩১ আগস্ট এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে।
পরিষদের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পর্যটন উন্নয়নসংক্রান্ত জাতীয় ও আঞ্চলিক পরিকল্পনাগুলোর নীতিগত অনুমোদন করবে পরিষদ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচার ও বিপণনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়ানো, গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থানে যাতায়াতের জন্য যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রদান, বেসরকারি খাতে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ এবং পর্যটন উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশগুলোর পর্যালোচনা ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অনুমোদন দেবে জাতীয় পর্যটন পরিষদ। ছয় মাস পর পর জাতীয় পর্যটন পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী জি এম কাদের প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় পর্যটনশিল্পের বিকাশে প্রধানমন্ত্রী নিজে এই পরিষদ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে এর বাইরেও আরও দুটি কমিটি কাজ করবে। একটি হলো মন্ত্রিপরিষদ কমিটি, যার সভাপতি অর্থমন্ত্রী। অপরটি হলো পর্যটন উপদেষ্টা কমিটি। এ কমিটিতে সরকার ছাড়া বেসরকারি খাতের লোকজন অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশের পর্যটনশিল্পকে একটি পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একটি খসড়া পর্যটন নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। অচিরেই এটি চূড়ান্ত করা হবে। একই সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে প্রায় ২৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সরকারের এই নতুন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। তবে তারা মনে করে, নানা সম্ভাবনা সত্ত্বেও দেশের পর্যটনশিল্প কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে না। ভারত, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড তো বটেই, এমনকি গত এক দশকে কম্বোডিয়াও পর্যটনশিল্পে ব্যাপক উন্নতি করেছে।
এক হিসাব থেকে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে কম্বোডিয়া মাত্র ৯৬ হাজার বিদেশি পর্যটক গ্রহণ করেছে। একই সময়ে বাংলাদেশে এসেছিল এক লাখ ৫৬ হাজার। ২০০৬ সালে কম্বোডিয়ায় ২০ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেছে। আর বাংলাদেশে এসেছে মাত্র দুই লাখ। অথচ কম্বোডিয়ায় বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মতো আছে শুধু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।
সুন্দরবন, কক্সবাজারের মতো আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ তেমন কোনো পর্যটক আকৃষ্ট করতে পারছে না। ২০০৬ সালে কম্বোডিয়া পর্যটন থেকে ১০০ কোটি ডলার আয় করেছে। আর বাংলাদেশের আয় বেসরকারি হিসাবে সর্বোচ্চ নয় কোটি ডলার হতে পারে।
টোয়াবের সভাপতি তৌফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও বিনিয়োগের অভাবেই আমরা পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারছি না।
No comments