নেদারল্যান্ডের সঙ্গী ইংল্যান্ড-স্পেন
সেই ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম। সেই দুই দল ইংল্যান্ড আর ক্রোয়েশিয়া। পার্থক্য কেবল, ২০০৮ ইউরোর বাছাইপর্বে নিজেদের মাঠে হেরে মাথানত করে মাঠ ছেড়েছিল ইংল্যান্ড। হারিয়েছিল ইউরোর চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ। আর পরশু গৌরবোদ্ধত অহংকারে উচ্ছল ওয়েইন রুনিরা। এত দিন ধরে পুষে রাখা সেই জ্বালা জুড়াল ইংল্যান্ড। ক্রোয়েশিয়াকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে নিশ্চিত করল ২০১০ বিশ্বকাপ। দুটি করে গোল করেছেন ল্যাম্পার্ড ও জেরার্ড, অন্য গোলটি রুনির।
ইউরোপ থেকে সবার আগে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছিল নেদারল্যান্ড। ইংল্যান্ড ছাড়াও দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ডাচদের সঙ্গী হয়েছে স্পেন। সেস ফ্যাব্রিগাস, কাজোরলা আর মাতার গোলে এস্তোনিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে।
প্রতিশোধের মিশন নিয়েই মাঠে নেমেছিল ইংল্যান্ড। মাত্র সাত মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নেন ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। ১১ মিনিট পর ব্যবধানটি দ্বিগুণ করেন স্টিভেন জেরার্ড। এই ছিল প্রথমার্ধের ফল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ক্রোয়েশিয়া একটা পাল্টা আঘাত হানার নিষ্ফল চেষ্টা চালায়। কিন্তু ৫৯ মিনিটে ল্যাম্পার্ড তাঁর দ্বিতীয় আর দলের তৃতীয় গোল করে ম্যাচের ভাগ্যটাও যেন বেঁধে দেন। ৭ মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন জেরার্ড। ৪-০ তে পিছিয়ে পড়া হতোদ্যম ক্রোয়েশিয়াকে ৭৩ মিনিটে সান্ত্বনাসূচক গোল এনে দেন এদুয়ার্দো। কিন্তু ৭৮ মিনিটে ওয়েইন রুনি কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিলে বড় পরাজয়ের লজ্জা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ক্রোটদের।
ক্রোয়েশিয়া অবশ্য এখনো প্লে-অফের আশা জিইয়ে রেখেছে। কিন্তু এসব ঝামেলায় না গিয়ে ‘আমরা আসছি’ বলে সগর্ব ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। বাছাইপর্বের ৮ ম্যাচেই জিতেছে ফ্যাবিও ক্যাপেলোর দল, ইউরোপে সবচেয়ে বেশি ৩১টি গোলও করেছে তারা। আর বাছাইপর্বের এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এখনই ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর দ্বিতীয় শিরোপার স্বপ্নে বিভোর করে তুলছে ইংলিশদের।
যে ক্যাপেলো সহজে তুষ্ট হন না, প্রায়ই ‘এখনো অনেক পথ বাকি’ বলে শিষ্যদের গা ঝাড়ার তাগিদ দেন, সেই ইতালীয় কোচও বলছেন, ২০১০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখতেই পারে, ‘অবশ্যই, কেন নয়? এই দলের সবাই দুর্দান্ত।’
৮ ম্যাচের সব কটিতে জয় পেয়েছে স্পেনও। ২১ গোলের বিপরীতে গোল খেয়েছে মাত্র দুটো। তার পরও ক্যাপেলোর মতো তৃপ্তি নেই স্পেনের কোচ ভিনসেন্ত দেল বস্কের কণ্ঠে, ‘আজ (পরশু) রাতে আমরা আমাদের সেরাটা খেলতে পারিনি। অবশ্য আমরা বিশ্বকাপে উঠে গেছি, এটাই আসল কথা। তার পরও এখনই আমি বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবতে রাজি নই।’ এএফপি।
চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত যাদের
ইউরোপ
নেদারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, স্পেন
এশিয়া
জাপান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, উত্তর কোরিয়া
আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকা (স্বাগতিক), ঘানা
দ. আমেরিকা
ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে
ইউরোপ থেকে সবার আগে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছিল নেদারল্যান্ড। ইংল্যান্ড ছাড়াও দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ডাচদের সঙ্গী হয়েছে স্পেন। সেস ফ্যাব্রিগাস, কাজোরলা আর মাতার গোলে এস্তোনিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে।
প্রতিশোধের মিশন নিয়েই মাঠে নেমেছিল ইংল্যান্ড। মাত্র সাত মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নেন ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। ১১ মিনিট পর ব্যবধানটি দ্বিগুণ করেন স্টিভেন জেরার্ড। এই ছিল প্রথমার্ধের ফল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ক্রোয়েশিয়া একটা পাল্টা আঘাত হানার নিষ্ফল চেষ্টা চালায়। কিন্তু ৫৯ মিনিটে ল্যাম্পার্ড তাঁর দ্বিতীয় আর দলের তৃতীয় গোল করে ম্যাচের ভাগ্যটাও যেন বেঁধে দেন। ৭ মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন জেরার্ড। ৪-০ তে পিছিয়ে পড়া হতোদ্যম ক্রোয়েশিয়াকে ৭৩ মিনিটে সান্ত্বনাসূচক গোল এনে দেন এদুয়ার্দো। কিন্তু ৭৮ মিনিটে ওয়েইন রুনি কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিলে বড় পরাজয়ের লজ্জা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ক্রোটদের।
ক্রোয়েশিয়া অবশ্য এখনো প্লে-অফের আশা জিইয়ে রেখেছে। কিন্তু এসব ঝামেলায় না গিয়ে ‘আমরা আসছি’ বলে সগর্ব ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। বাছাইপর্বের ৮ ম্যাচেই জিতেছে ফ্যাবিও ক্যাপেলোর দল, ইউরোপে সবচেয়ে বেশি ৩১টি গোলও করেছে তারা। আর বাছাইপর্বের এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এখনই ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর দ্বিতীয় শিরোপার স্বপ্নে বিভোর করে তুলছে ইংলিশদের।
যে ক্যাপেলো সহজে তুষ্ট হন না, প্রায়ই ‘এখনো অনেক পথ বাকি’ বলে শিষ্যদের গা ঝাড়ার তাগিদ দেন, সেই ইতালীয় কোচও বলছেন, ২০১০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখতেই পারে, ‘অবশ্যই, কেন নয়? এই দলের সবাই দুর্দান্ত।’
৮ ম্যাচের সব কটিতে জয় পেয়েছে স্পেনও। ২১ গোলের বিপরীতে গোল খেয়েছে মাত্র দুটো। তার পরও ক্যাপেলোর মতো তৃপ্তি নেই স্পেনের কোচ ভিনসেন্ত দেল বস্কের কণ্ঠে, ‘আজ (পরশু) রাতে আমরা আমাদের সেরাটা খেলতে পারিনি। অবশ্য আমরা বিশ্বকাপে উঠে গেছি, এটাই আসল কথা। তার পরও এখনই আমি বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবতে রাজি নই।’ এএফপি।
চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত যাদের
ইউরোপ
নেদারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, স্পেন
এশিয়া
জাপান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, উত্তর কোরিয়া
আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকা (স্বাগতিক), ঘানা
দ. আমেরিকা
ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে
No comments