প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা কি তাহলে অকার্যকর -দেশে ব্যবসা করা কঠিন হচ্ছে
পর পর দুই দিন দুটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দুটিই বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষমতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে দেশগুলোর অবস্থান চিহ্নিত করেছে; তৈরি করেছে অবস্থান সূচক। উভয় সূচকেই বাংলাদেশের যে চিত্র পাওয়া যাচ্ছে, তা খুব আশাব্যঞ্জক নয়; বিশেষ করে বিশ্বব্যাংক ও ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) সহজে ব্যবসা করার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আগের বছরের তুলনায় এবার চার ধাপ পিছিয়ে গেছে। এর বিপরীতে অবশ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশ্ব প্রতিযোগিতা-সক্ষমতায় বাংলাদেশের অবস্থান আগেরবারের তুলনায় পাঁচ ধাপ অগ্রসর হয়েছে। আপাতদৃষ্টে এই দুটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান পরস্পরবিরোধী বলে প্রতীয়মান হতে পারে। এর পেছনে অবশ্য জরিপ পরিচালনার সময়গত ব্যবধানকে দায়ী করা যেতে পারে।
তা ছাড়া একটু নিবিড় পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, উভয় প্রতিবেদনেই বাংলাদেশে ব্যবসার উপযোগী পরিবেশের প্রধান অন্তরায় হিসেবে অবকাঠামোগত দুর্বলতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সুশাসনের অভাবের মতো বিষয়গুলো উঠে এসেছে। বিশ্ব প্রতিযোগিতা-সক্ষমতার প্রতিবেদন অনুসারে, যেখানে ২০০৭ সালে দুর্নীতিকে ব্যবসার এক নম্বর অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, সেখানে ২০০৮ সালে অবকাঠামোর অপর্যাপ্ততা উঠে এসেছে এই স্থানে। আর এটি বাস্তবতার সঙ্গে যথেষ্ট সাদৃশ্যপূর্ণ। গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটে দেশে বিনিয়োগ এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়। উদ্যোক্তারা শিল্প-কারখানা চালাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন। রেল, সড়ক ও নৌযোগাযোগের দুরবস্থা বাড়াচ্ছে ব্যবসার খরচ। আর তাই দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যবসা শুরু করতে গড়ে যেখানে ২৮ দিন ব্যয় হয়, সেখানে বাংলাদেশে ব্যয় হয় ৪৪ দিন—বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের এই তথ্য অবিশ্বাস করার কোনোই কারণ নেই। একইভাবে কর প্রদান-প্রক্রিয়া ও করবিধির জটিলতা ব্যবসার অগ্রগতির বাধা হচ্ছে। অথচ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনেই বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দেওয়ার তালিকায় ১৮৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ২০তম স্থানে রয়েছে।
এসব বিবেচনায় একটা বিষয় স্পষ্ট হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে যাওয়ার ও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করার সামর্থ্যের দিকটি বাংলাদেশের একেবারেই দুর্বল নয়; বরং প্রয়োজনীয় ও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো থেকে ইতিবাচক সহায়তা ও সমর্থন পেলে প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা কার্যকর ও অর্থবহ হয়ে উঠতে পারে। বছরের পর বছর এ বিষয়গুলো উপেক্ষিত হওয়ায় সমস্যা এখন জটিলতর রূপ ধারণ করেছে। দুর্নীতির কালো থাবায় জ্বালানি ও যোগাযোগ খাত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, যার মূল্য গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়সহ সাধারণ মানুষকে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা শুধুই হয়রানি বাড়াচ্ছে।
এই প্রতিবেদনগুলোয় যা বলা হয়েছে, সেগুলো আসলে দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতারই সুসংহত রূপ, কোনো বায়বীয় আবিষ্কার নয়। তাই সরকারের উচিত হবে প্রতিবেদন দুটির সার বক্তব্য গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করা এবং এসব সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। এ জন্য ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা এবং যেসব দেশ এগিয়ে আছে, তাদের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করা যেতে পারে। টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতা অপসারণের কোনো বিকল্প নেই।
তা ছাড়া একটু নিবিড় পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, উভয় প্রতিবেদনেই বাংলাদেশে ব্যবসার উপযোগী পরিবেশের প্রধান অন্তরায় হিসেবে অবকাঠামোগত দুর্বলতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সুশাসনের অভাবের মতো বিষয়গুলো উঠে এসেছে। বিশ্ব প্রতিযোগিতা-সক্ষমতার প্রতিবেদন অনুসারে, যেখানে ২০০৭ সালে দুর্নীতিকে ব্যবসার এক নম্বর অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, সেখানে ২০০৮ সালে অবকাঠামোর অপর্যাপ্ততা উঠে এসেছে এই স্থানে। আর এটি বাস্তবতার সঙ্গে যথেষ্ট সাদৃশ্যপূর্ণ। গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটে দেশে বিনিয়োগ এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়। উদ্যোক্তারা শিল্প-কারখানা চালাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন। রেল, সড়ক ও নৌযোগাযোগের দুরবস্থা বাড়াচ্ছে ব্যবসার খরচ। আর তাই দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যবসা শুরু করতে গড়ে যেখানে ২৮ দিন ব্যয় হয়, সেখানে বাংলাদেশে ব্যয় হয় ৪৪ দিন—বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের এই তথ্য অবিশ্বাস করার কোনোই কারণ নেই। একইভাবে কর প্রদান-প্রক্রিয়া ও করবিধির জটিলতা ব্যবসার অগ্রগতির বাধা হচ্ছে। অথচ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনেই বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দেওয়ার তালিকায় ১৮৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ২০তম স্থানে রয়েছে।
এসব বিবেচনায় একটা বিষয় স্পষ্ট হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে যাওয়ার ও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করার সামর্থ্যের দিকটি বাংলাদেশের একেবারেই দুর্বল নয়; বরং প্রয়োজনীয় ও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো থেকে ইতিবাচক সহায়তা ও সমর্থন পেলে প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা কার্যকর ও অর্থবহ হয়ে উঠতে পারে। বছরের পর বছর এ বিষয়গুলো উপেক্ষিত হওয়ায় সমস্যা এখন জটিলতর রূপ ধারণ করেছে। দুর্নীতির কালো থাবায় জ্বালানি ও যোগাযোগ খাত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, যার মূল্য গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়সহ সাধারণ মানুষকে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা শুধুই হয়রানি বাড়াচ্ছে।
এই প্রতিবেদনগুলোয় যা বলা হয়েছে, সেগুলো আসলে দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতারই সুসংহত রূপ, কোনো বায়বীয় আবিষ্কার নয়। তাই সরকারের উচিত হবে প্রতিবেদন দুটির সার বক্তব্য গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করা এবং এসব সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। এ জন্য ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা এবং যেসব দেশ এগিয়ে আছে, তাদের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করা যেতে পারে। টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতা অপসারণের কোনো বিকল্প নেই।
No comments