মানবাধিকার কমিশনকেই তদন্ত করতে দিন -বরিশালে ছাত্রলীগের নেতা নিখোঁজ
র্যাবের পরিচয়ে বরিশালের ছাত্রলীগের নেতা শফিক উল্লাহ মোনায়েমের অপহরণের ঘটনার তদন্তবিষয়ক খবর কার্যত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বেহাল দশাকেই স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত খবরের শিরোনাম ছিল ‘চেয়েও তদন্ত প্রতিবেদন পায়নি মানবাধিকার কমিশন’। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি আমিরুল কবীর চৌধুরী ৩০ আগস্টের মধ্যে ওই প্রতিবেদন আশা করেছিলেন। কিন্তু না পেয়ে তিনি ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে নতুন করে পত্র দিয়েছেন। এখন প্রশ্ন হলো, কমিশন যদি আজই প্রতিবেদন পেয়ে যায় এবং তাতে সন্তুষ্ট না হয়, কিংবা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদৌ প্রতিবেদন না পায়, তাহলে কমিশনের সামনে কী করণীয় থাকবে?
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বেশ ঢাকাঢোল পিটিয়ে ‘স্বাধীন’ মানবাধিকার কমিশন গঠনের আইন সংসদে পাস করা হলেও নীতিনির্ধারকদের অগ্রাধিকারের তালিকায় এই কমিশনের কোনো ঠাঁই আছে বলে মনে হয় না। সরকার এ-সংক্রান্ত আইন তৈরি প্রশ্নে আইন কমিশনের শরণাপন্ন হয়েছিল। কিন্তু তা মানবাধিকার কমিশনকে আরও উন্নত করতে, নাকি প্রচারণা-সুবিধা পেতে, তা এখন এক মস্ত প্রশ্ন বটে। মানবাধিকার কমিশন এখন পর্যন্ত গঠন করাই হয়নি। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সৌজন্যে বর্তমানে আমরা একটি কমিশন নামের অবয়ব ও নামকাওয়াস্তে তার তত্পরতা দেখতে পাচ্ছি।
সত্যি বলতে কি, মানবাধিকার কমিশনের খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পথচলার বৃত্তান্ত আমাদের জোট সরকারের আমলের বহুল আলোচিত দুদক-কাহিনী স্মরণ করিয়ে দেয়। আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি চৌধুরী অবশ্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে যথাসময়ে তা সরকারের কাছে দাখিল করেছেন। কিন্তু তা তাঁরা করলে কী হবে, লাটাই তো সরকারের হাতে। গত ২২ ডিসেম্বর মানবাধিকার কমিশনের অর্গানোগ্রাম বা সাংগঠনিক বিন্যাস সরকারের কাছে পেশ করা হয়। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর বিধিমালার খসড়া তৈরি করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। প্রথমটির ক্ষেত্রে বহু আগেই কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষ হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা চূড়ান্ত হতে পারল না।
আইনে কিন্তু বলা আছে, বরিশালের ছাত্রলীগের নেতার অপহরণ বা তথাকথিত ক্রসফায়ারের মতো ঘটনার তদন্ত কমিশন তার নিজস্ব কর্মকর্তাদের দিয়ে করাবে। এখন তার যেহেতু লোকবল নেই, তাই পত্রবাণ নিক্ষেপ করা ছাড়া তার সামনে তেমন বিকল্প নেই। বিধি প্রণয়ন প্রশ্নে সরকার মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। দুদকের বিধি নিয়ে কালক্ষেপণ জাতির জন্য এক দুর্ভাগ্যজনক বিধিলিপি লিখেছিল। জোট সরকারের আমলে দুদক ছিল। কিন্তু তাদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ললাট-লিখন কোনোক্রমেই যেন তদ্রূপ না হয়। প্রস্তাবিত বিধি জনমত যাচাইয়ের দাবি রাখে।
সাম্প্রতিককালে তদন্তযোগ্য প্রচুর অভিযোগ জমা পড়ছে কমিশনে। ক্রসফায়ারের ঘটনা হঠাত্ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। অপ্রিয় হলেও সত্য, ক্রসফায়ার ও নিরাপত্তা হেফাজতে নির্যাতন এবং হত্যার মতো সংবেদনশীল মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের নিরিখেই আমরা স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন চেয়েছিলাম। প্রতিকারের ফোরাম হিসেবে জনগণ সেখানে নির্ভরতা খুঁজছে। তাই সরকারের উচিত হবে পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন, লোকবল ও বিধিসংক্রান্ত কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা। কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার উপযোগী করে গড়ে তোলা।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বেশ ঢাকাঢোল পিটিয়ে ‘স্বাধীন’ মানবাধিকার কমিশন গঠনের আইন সংসদে পাস করা হলেও নীতিনির্ধারকদের অগ্রাধিকারের তালিকায় এই কমিশনের কোনো ঠাঁই আছে বলে মনে হয় না। সরকার এ-সংক্রান্ত আইন তৈরি প্রশ্নে আইন কমিশনের শরণাপন্ন হয়েছিল। কিন্তু তা মানবাধিকার কমিশনকে আরও উন্নত করতে, নাকি প্রচারণা-সুবিধা পেতে, তা এখন এক মস্ত প্রশ্ন বটে। মানবাধিকার কমিশন এখন পর্যন্ত গঠন করাই হয়নি। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সৌজন্যে বর্তমানে আমরা একটি কমিশন নামের অবয়ব ও নামকাওয়াস্তে তার তত্পরতা দেখতে পাচ্ছি।
সত্যি বলতে কি, মানবাধিকার কমিশনের খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পথচলার বৃত্তান্ত আমাদের জোট সরকারের আমলের বহুল আলোচিত দুদক-কাহিনী স্মরণ করিয়ে দেয়। আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি চৌধুরী অবশ্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে যথাসময়ে তা সরকারের কাছে দাখিল করেছেন। কিন্তু তা তাঁরা করলে কী হবে, লাটাই তো সরকারের হাতে। গত ২২ ডিসেম্বর মানবাধিকার কমিশনের অর্গানোগ্রাম বা সাংগঠনিক বিন্যাস সরকারের কাছে পেশ করা হয়। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর বিধিমালার খসড়া তৈরি করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। প্রথমটির ক্ষেত্রে বহু আগেই কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষ হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা চূড়ান্ত হতে পারল না।
আইনে কিন্তু বলা আছে, বরিশালের ছাত্রলীগের নেতার অপহরণ বা তথাকথিত ক্রসফায়ারের মতো ঘটনার তদন্ত কমিশন তার নিজস্ব কর্মকর্তাদের দিয়ে করাবে। এখন তার যেহেতু লোকবল নেই, তাই পত্রবাণ নিক্ষেপ করা ছাড়া তার সামনে তেমন বিকল্প নেই। বিধি প্রণয়ন প্রশ্নে সরকার মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। দুদকের বিধি নিয়ে কালক্ষেপণ জাতির জন্য এক দুর্ভাগ্যজনক বিধিলিপি লিখেছিল। জোট সরকারের আমলে দুদক ছিল। কিন্তু তাদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ললাট-লিখন কোনোক্রমেই যেন তদ্রূপ না হয়। প্রস্তাবিত বিধি জনমত যাচাইয়ের দাবি রাখে।
সাম্প্রতিককালে তদন্তযোগ্য প্রচুর অভিযোগ জমা পড়ছে কমিশনে। ক্রসফায়ারের ঘটনা হঠাত্ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। অপ্রিয় হলেও সত্য, ক্রসফায়ার ও নিরাপত্তা হেফাজতে নির্যাতন এবং হত্যার মতো সংবেদনশীল মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের নিরিখেই আমরা স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন চেয়েছিলাম। প্রতিকারের ফোরাম হিসেবে জনগণ সেখানে নির্ভরতা খুঁজছে। তাই সরকারের উচিত হবে পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন, লোকবল ও বিধিসংক্রান্ত কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা। কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার উপযোগী করে গড়ে তোলা।
No comments