দুয়ো শুনতে হলো ম্যারাডোনাকে
একসময় সাফল্য অনায়াসে এসে লুটেছে তাঁর পায়ের তলায়। বোকা জুনিয়র্স থেকে বার্সেলোনা হয়ে নাপোলি—যেখানেই গেছেন তাঁর নামে উঠেছে জয়ধ্বনি। সেই ডিয়েগো ম্যারাডোনা এখন মুদ্রার অন্য পিঠটাও দেখে নিচ্ছেন। দেখে নিতে আসলে বাধ্য হচ্ছেন। যে রোজারিও স্টেডিয়াম একসময় ‘ম্যারাডোনা’ স্লোগানে প্রকম্পিত হতো, কাল সেই মাঠেই উঠল দুয়োধ্বনির কোরাস!
১৬ বছর আগে বুয়েনস এইরেসে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কলম্বিয়ার কাছে ৫-০ গোলের সেই লজ্জার পর নিজেদের মাটিতে দ্বিতীয়বারের মতো হারল আর্জেন্টিনা। তবে কোচ ম্যারাডোনাকে ধিক্কার শুনতে হলো আসলে তাঁর অধীনে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তিন ম্যাচ হেরে যাওয়ায়। এই পরাজয়ের কোনো ব্যাখ্যা নেই তাঁর কাছেও, ‘আমরা প্রথম ২৪ মিনিট পর্যন্ত ব্রাজিলকে (বক্সে) আসতেই দিইনি। আমরা শূন্যে ভেসে আসা বলে খুবই খারাপ খেলেছি। সেটারই চড়া দাম আমাদের শোধ করতে হলো।’
ক্ষুব্ধ সমর্থকদের মধ্য থেকে বিশ্বকাপের আশা বাঁচাতে ম্যারাডোনাকে সরিয়ে বাছাইপর্বের শেষ তিন ম্যাচে অন্য কারও ওপর দায়িত্ব তুলে দেওয়ার দাবিও উঠেছে। কিন্তু ম্যারাডোনা জানাচ্ছেন, এখন হাল ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না। এই বুধবারই তো আবার ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে। ম্যারাডোনার সাফ জবাব, যেকোনো মূল্যে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য থেকে কেউ তাঁকে বিচ্যুত করতে পারবে না।
কষ্ট তো তাঁরও কম হচ্ছে না। হূদয়ে সবচেয়ে বেশি রক্তক্ষরণ হচ্ছে তাঁরই, ‘ব্রাজিলের কাছে হারা সব সময়ই কুিসত কিছু। এই ম্যাচটা জিতে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের কাছাকাছি চলে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা বেশ আত্মপ্রত্যয়ী ছিলাম। তবে আমাদের ভেঙে পড়লে চলবে না। কারণ সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ।’
৯ সেপ্টেম্বর প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটা আর্জেন্টিনার মাঠে নয়। পয়েন্ট তালিকার তিনে থাকা প্যারাগুয়েকে সামলাতে হবে ওদের ঘরে গিয়েই। যে ম্যাচে জিতে বিশ্বকাপ ওঠা নিশ্চিত করতে চাইবে স্বাগতিকেরা। এর আগে এই দুই দলের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জ আত্মঘাতী গোল না করে বসলে আর্জেন্টিনাই জিতত। কিন্তু এখন অতীত নিয়ে আফসোস করার সময়টুকুও নেই ম্যারাডোনার, ‘প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ৩ পয়েন্ট পেতে চাইলে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কাজটা কঠিন আর জটিল হবে। আর আজকের (গতকালের) পরাজয়ের পর তো সেটি আরও কঠিন হয়ে গেল।’
শিষ্যদের আড়াল করে দায়ভার নিজের কাঁধেই নিচ্ছেন কোচ, ‘দায়ভার আমারই। যা হয়েছে তার জন্য আমি তো কাউকে জেলে পাঠাতে পারি না।’ ভাগ্যকেও দুষছেন তিনি, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রথমার্ধে ম্যাক্সি (রদ্রিগেজ) আর (কার্লোস) তেভেজ দুটো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। লিওনেল মেসিকেও দোষ দেওয়া চলবে না। কারণ ওর একার পক্ষে তো আর সব করা সম্ভব নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে খুবই ধৈর্যের সঙ্গে আর্জেন্টাইন মিডিয়াকে সামলেছেন। শেষ করেছেন প্যারাগুয়ে, পেরু আর উরুগুয়ের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ের কথা জানিয়ে, ‘আমি পাগলের মতো খাটব। এই পরাজয় আমাকে দমাতে পারবে না।
১৬ বছর আগে বুয়েনস এইরেসে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কলম্বিয়ার কাছে ৫-০ গোলের সেই লজ্জার পর নিজেদের মাটিতে দ্বিতীয়বারের মতো হারল আর্জেন্টিনা। তবে কোচ ম্যারাডোনাকে ধিক্কার শুনতে হলো আসলে তাঁর অধীনে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তিন ম্যাচ হেরে যাওয়ায়। এই পরাজয়ের কোনো ব্যাখ্যা নেই তাঁর কাছেও, ‘আমরা প্রথম ২৪ মিনিট পর্যন্ত ব্রাজিলকে (বক্সে) আসতেই দিইনি। আমরা শূন্যে ভেসে আসা বলে খুবই খারাপ খেলেছি। সেটারই চড়া দাম আমাদের শোধ করতে হলো।’
ক্ষুব্ধ সমর্থকদের মধ্য থেকে বিশ্বকাপের আশা বাঁচাতে ম্যারাডোনাকে সরিয়ে বাছাইপর্বের শেষ তিন ম্যাচে অন্য কারও ওপর দায়িত্ব তুলে দেওয়ার দাবিও উঠেছে। কিন্তু ম্যারাডোনা জানাচ্ছেন, এখন হাল ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না। এই বুধবারই তো আবার ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে। ম্যারাডোনার সাফ জবাব, যেকোনো মূল্যে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য থেকে কেউ তাঁকে বিচ্যুত করতে পারবে না।
কষ্ট তো তাঁরও কম হচ্ছে না। হূদয়ে সবচেয়ে বেশি রক্তক্ষরণ হচ্ছে তাঁরই, ‘ব্রাজিলের কাছে হারা সব সময়ই কুিসত কিছু। এই ম্যাচটা জিতে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের কাছাকাছি চলে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা বেশ আত্মপ্রত্যয়ী ছিলাম। তবে আমাদের ভেঙে পড়লে চলবে না। কারণ সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ।’
৯ সেপ্টেম্বর প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটা আর্জেন্টিনার মাঠে নয়। পয়েন্ট তালিকার তিনে থাকা প্যারাগুয়েকে সামলাতে হবে ওদের ঘরে গিয়েই। যে ম্যাচে জিতে বিশ্বকাপ ওঠা নিশ্চিত করতে চাইবে স্বাগতিকেরা। এর আগে এই দুই দলের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জ আত্মঘাতী গোল না করে বসলে আর্জেন্টিনাই জিতত। কিন্তু এখন অতীত নিয়ে আফসোস করার সময়টুকুও নেই ম্যারাডোনার, ‘প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ৩ পয়েন্ট পেতে চাইলে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কাজটা কঠিন আর জটিল হবে। আর আজকের (গতকালের) পরাজয়ের পর তো সেটি আরও কঠিন হয়ে গেল।’
শিষ্যদের আড়াল করে দায়ভার নিজের কাঁধেই নিচ্ছেন কোচ, ‘দায়ভার আমারই। যা হয়েছে তার জন্য আমি তো কাউকে জেলে পাঠাতে পারি না।’ ভাগ্যকেও দুষছেন তিনি, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রথমার্ধে ম্যাক্সি (রদ্রিগেজ) আর (কার্লোস) তেভেজ দুটো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। লিওনেল মেসিকেও দোষ দেওয়া চলবে না। কারণ ওর একার পক্ষে তো আর সব করা সম্ভব নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে খুবই ধৈর্যের সঙ্গে আর্জেন্টাইন মিডিয়াকে সামলেছেন। শেষ করেছেন প্যারাগুয়ে, পেরু আর উরুগুয়ের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ের কথা জানিয়ে, ‘আমি পাগলের মতো খাটব। এই পরাজয় আমাকে দমাতে পারবে না।
No comments